উইকিপিডিয়া:ভালো নিবন্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sajedul Islam Abir (আলোচনা | অবদান)
বিজয়ের মাস
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Sajedul Islam Abir-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultan-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
১ নং লাইন:
{{pp-semi-vandalism|small=yes}}
এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা আসে ৬ ডিসেম্বর রাতে। বিজয়নগরে এক বন্ধুর বাসা থেকে রাস্তায় নেমে দেখি চারপাইসলা.মর ঘরদুয়ার খুলে বেরিয়ে আসছে দলে দলে মানুষ। বিশাল এক উল্লাস আর বিজয়ানন্দের মিছিলের অংশ হয়ে এক নিমেষে পৌঁছে যাই জাতীয় প্রেসক্লাবে। জাতীয় নেতাদের মধ্যে সেখানে সবচেয়ে আগে পৌঁছান ড. কামাল হোসেন। তিনি আসামাত্র মানুষের করতালি আর স্লোগান। তিনি একটি চেয়ারে দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনাময় এক বাংলাদেশের স্বপ্নের ছবি আঁকলেন।
{{উইকিপিডিয়া:প্রস্তাবিত ভালো নিবন্ধ/ট্যাব হেডার}}
আমাদের বা অন্য কারও কোনো সন্দেহই ছিল না তিনি খুবই সত্যি এবং খুবই বাস্তব এক ভবিষ্যতের কথাই বললেন। বাংলাদেশে সত্যিকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার আসবে, কালো আইন বাতিল হবে, রেডিও-টিভির স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা হবে, দুর্নীতি আর দুঃশাসনের অবসান ঘটবে।
{{উইকিপিডিয়া:ভালো নিবন্ধ/সারাংশ|shortcuts=on}}<!-- full text of nearly entire page, text found in the green box -->
এরশাদ পতনের ২৫ বছর পর আমাদের আর সেই বিজয়ের অনুভূতি আছে কি? এরশাদকে আমরা বলতাম ‘স্বৈরাচার’। কিন্তু তাঁর পরের শাসকেরাও স্বৈরাচারী আচরণ করেছেন। আমরা এই ভেবে সান্ত্বনা পেতাম যে, এঁরা অন্তত নির্বাচিত স্বৈরাচার। সেই সান্ত্বনাও এখন বিলীন হয়েছে অনেকের কাছে। নির্বাচনব্যবস্থা এখন বিতর্কিত, অগ্রহণযোগ্য ও একতরফা হয়ে গেছে। সুশাসন আর শান্তি-স্বস্তির বিচারে আমরা আদৌ এগোলাম কি না, তা নিয়ে আক্ষেপ করারও বহু কারণ জন্মেছে বিগত বছরগুলোতে।
__NOTOC__
<div style="clear:both;">
<!-- DO NOT REMOVE THIS DIV, USED TO FORCE IE TO DISPLAY BACKGROUND FOR ARTS DIV -->
</div>
<br />
 
<!-- end of list -->
২.
{{উইকিপ্রকল্প পরিষ্করণ তালিকা|ভালো নিবন্ধ}}
এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ছিলেন। সে তুলনায় দুই নেত্রী জনমানুষের নেত্রী, জনগণের ভোট পেয়ে তাঁরা ক্ষমতায় এসেছিলেন। শাসক হিসেবে জন্ম নিয়ে দুই নেত্রীর গৌরবান্বিত বোধ করা স্বাভাবিক। যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের একটি বিশাল অংশ তাঁদের পেছনে রয়েছে সব সময়ই। এরশাদের সঙ্গে তাঁদের এসব পার্থক্য অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু কর্মের ক্ষেত্রে তাঁদের আমলের পার্থক্য কতটা ইতিবাচক?
[[বিষয়শ্রেণী:উইকিপ্রকল্প ভালো নিবন্ধ|ভালো নিবন্ধ]]
এরশাদের পতনের পর কতটুকু এগোলাম—এই আলোচনায় দুই নেত্রীর আমলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা অনেকে বলেন। আসলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রতি দশকেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে ১ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। তবে নব্বইয়ের দশকের পর কখনো কখনো এই বৃদ্ধির হার বেশি ছিল। বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের একটি দেশ হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। দুই নেত্রীর আমলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিদেশি বিনিয়োগ আগের আমলগুলোর তুলনায় কিছুটা অধিক হারে বেড়েছে। দুই নেত্রীর ‘গণতান্ত্রিক শাসনের’ সঙ্গে এর সম্পর্কের কথা বলেন অনেকে। হয়তো তা সত্যিও। কিন্তু অবাধ দলীয়করণ, ব্যাপক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় সম্পদ অব্যবস্থাপনার কারণে এই উন্নয়নের সুফল কতটা সাধারণ মানুষ পেয়েছে আর কতটা ক্ষমতাসীনেরা পেয়েছে আর এর ফলে সমাজে কতটা অর্থনৈতিক অসাম্য সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
<!--{{User:WolterBot/Cleanup listing subscription|wgcat=Wikipedia good articles}}-->
দুই নেত্রীর আমল সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে সুশাসনের সূচকগুলোর মানদণ্ডে। সুশাসনের সবচেয়ে বড় শর্ত হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি। সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জবাবদিহি চর্চায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে দেশের বিচার বিভাগ। এরশাদের আমলে বিচার বিভাগ বিরোধী নেতাদের অবাধে জামিন প্রদান, ডিটেনশন বাতিল এমনকি এরশাদের সংবিধান সংশোধনী বাতিল করে দিয়েও নিরাপদ থেকেছে। খালেদা জিয়ার আমলে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সাজানো নির্বাচনের চেষ্টায় সহযোগী হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন আইনজীবীদের একটি অংশ। বর্তমান সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জের রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। আবার র্যাবের বিরুদ্ধে একই ধরনের একটি রায় দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। আমরা জানি যে সরকারি দলের উদ্যোগে সংবিধান সংশোধন করার ফলে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা এখন সংসদের কাছে। অন্যদিকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে নিম্ন আদালতের বিচারকের মামলা আমলে নেওয়ার ক্ষমতা।
দুই নেত্রীর শাসনামলে দেশের শীর্ষ আইনজীবীরা উচ্চ আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে যে ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করেছেন, তা এরশাদের আমলে ছিল না। স্বচ্ছতা আর জবাবদিহি চর্চার অংশ হিসেবে এরশাদের আমলে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ যতটা তার সমালোচনা করতে পারত, রাজপথে বিরোধী দল ও নাগরিক সংগঠনগুলো যেভাবে সোচ্চার থাকতে পারত, তা আজ অসম্ভব বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
এরশাদের আমলে বিরোধীদের আন্দোলন দমন করার জন্য হত্যাকাণ্ডের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু দুই নেত্রীর আমলে তা ক্রমান্বয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। এরশাদের আমলে বিরোধীদের আন্দোলন দমন করতে মূলত নিবর্তনমূলক আটকাদেশ দেওয়া হতো, খালেদার আমলে করা হতো ক্রসফায়ার, আর বর্তমান আমলে করা হয় পুরোপুরি গুম।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার অন্যতম জায়গা হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ। এরশাদ নিজে দুর্নীতিবাজ ছিলেন, তিনি দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই নেত্রীর আমলেই আমরা দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গ্লানি ও লজ্জা ভোগ করেছি। দুই নেত্রীর আমলে উচিত ছিল এরশাদের প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক ভিতকে আঘাত করা, দুর্নীতির প্রকোপ হ্রাস করা। তাঁদের আমলে কি তা হয়েছে? দলীয়করণ, সন্ত্রাস আর ক্ষমতার অতিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রেও আমরা কি প্রত্যাশিত সাফল্য পেয়েছি তাঁদের আমলে? রাজনৈতিক সংস্কৃতি আর শিষ্টাচারের ক্ষেত্রেও কি একটুও উন্নতি হয়েছে আমাদের?
এরশাদ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪। দুই নেত্রীর আমলে এ ধরনের বহু নিপীড়নমূলক আইন (র্যাবের দায়মুক্তি আইন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, সন্ত্রাস দমন আইন এবং যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন) হয়েছে, নতুন এসব আইনের মতো পুরোনো পেনাল কোডের মানহানি-সংক্রান্ত বিধানের নজিরবিহীন ও অস্বচ্ছ প্রয়োগ করে বহু মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন আর ভয়ভীতির কবলে মানুষের কথা বলার সাহস এখন উবে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের জবাবদিহির প্রতিষ্ঠানগুলো গলা চেপে ধরে সমালোচক আর ভিন্নমতের কণ্ঠ। এরশাদের আমলে সংসদে না হোক, সংসদের বাইরে (রাজপথে, সভা-সেমিনারে, শহীদ মিনার-টিএসসিতে) জবাবদিহির দাবির সুযোগ অন্তত এখনকার চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে অবারিত ছিল।
 
৩.
সুশাসনের আরেকটি বড় শর্ত হচ্ছে শাসনপ্রক্রিয়ায় জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ। এই অংশগ্রহণই গণতন্ত্র এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা। এরশাদ পতনের পর অন্তত চারটি জাতীয় নির্বাচনে (খালেদা জিয়ার আমলের ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাদে) আমরা জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তাদের প্রতিনিধিত্বের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকারই হারিয়েছেন। যাঁদের অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল তাঁদের অধিকাংশ হতাশ হয়ে ভোটদান করা থেকেই বিরত ছিলেন। এর পরের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে জনগণের অংশগ্রহণের (ভোট দেওয়া এবং সেই ভোট বিবেচিত হওয়া) অধিকারের মারাত্মক ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।
এরশাদ তবু ছাত্রসংসদ নির্বাচন করতে দিতেন। দুই নেত্রীর আমলে এসব নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাহসই হয়নি কারও। এরশাদের আমলে তবু সব আসনে নির্বাচন হতো। দুই নেত্রীর আমলেই প্রথমে প্রায় অর্ধশত এবং পরে দেড় শতাধিক আসনে কোনো নির্বাচনই হয়নি। এরশাদের আমলে তবু ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল ছিল সংসদে। এখন তা-ও নেই, আছে ‘সরকারি’ বিরোধী দল! প্রবল প্রশ্নবিদ্ধ বিভিন্ন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ‘নির্বাচিত স্বৈরাচার’ আর ‘অনির্বাচিত স্বৈরাচারের’ মধ্যে পার্থক্য এখন আর কতটুকু অবশিষ্ট আছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
 
৪.
এরশাদের আমলের তুলনায় আমাদের পিছিয়ে পড়ার আরও উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। যাঁরা আশাবাদী বা অনেক জ্ঞানী মানুষ তাঁরা এরশাদের তুলনায় আমাদের এগিয়ে থাকার অনেক উদাহরণও দিতে পারেন। তবে আমার মতে, যেটিতে সবাই সম্ভবত একমত পোষণ করতে পারেন তা হচ্ছে এরশাদের আমলের তুলনায় আমরা নিঃসন্দেহে পিছিয়েছি প্রতিবাদের অধিকার চর্চায় সামর্থ্যের ক্ষেত্রে।
এরশাদের আমলে নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও ছাত্রসমাজ এক কণ্ঠে, জোরালো ও অব্যাহতভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার যে উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছিলেন, এখন তা ক্রমেই ধুলোয় ধূসরিত হয়েছে। এখন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি থেকে পিঠটান দেন সাংবাদিকেরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ-যৌন নিপীড়নের বিচারের দাবি ভুলে যান ছাত্ররা, আইনজীবী আর শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতের আক্রমণ হলে প্রতিবাদ হয় না তেমন, দেশের স্বার্থ শিকেয় তুলে নামমাত্র মাশুলে ভারতকে ট্রানজিট দিলে প্রতিবাদ করার লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। ধর্ম কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সুবিধামাফিক ব্যাখ্যা দিয়ে, মনগড়া ইতিহাসচর্চায় নিয়োজিত করে, বিভিন্ন অবৈধ বা অনৈতিক সুবিধা বিতরণ করে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানের ভীতিকর ব্যবহার করে ক্রমান্বয়ে মানুষের প্রতিবাদ করার নৈতিকতা, সাহস ও উদ্যমকে বিপর্যস্ত করা হয়েছে এরশাদ-উত্তর যুগে।
আমাদের তথ্যমন্ত্রী বলছেন জনগণের টাকায় চলা বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসনের এখন দরকার নেই আর। অনেকে এ-ও বলছেন, বেশি গণতন্ত্রেরও দরকার নেই, দরকার নেই অবাধ নির্বাচনের। অনেকে বলছেন উন্নয়নই বেশি প্রয়োজন, গণতন্ত্র নয়।
এভাবে বলতে থাকলে আমার আশঙ্কা আজ ও আগামী দিনের এরশাদেরা বলা শুরু করবেন যে তাহলে তো আমরাই ভালো ছিলাম!
 
৫.
গণতন্ত্র আর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই পরে মুখ থুবড়ে পড়েছে এমন বহু উদাহরণ পৃথিবীতে আছে। ‘আরব বসন্ত’ এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। তবে বাংলাদেশেও যদি তা হয়, তাহলে তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, এই জাতি হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসর জামায়াত-রাজাকার চক্রের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল অবাধ ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার, সম্পদের সুষম বণ্টন এবং অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। এরশাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইও ছিল এসবের জন্যই।
পাকিস্তানি হানাদার আর এরশাদ পতনের গৌরবদীপ্ত ডিসেম্বর মাসে আমাদের কি সত্যি মনে পড়ে এসব...সাজেদুল ইসলাম আবীর