আইসোটোপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''সমস্থানিক''' হল একই [[মৌলিক পদার্থ|মৌলিক পদার্থের]] ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু যাদের [[পারমাণবিক সংখ্যা]] একই তবে নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন। আইসোটপসমূহেরসমস্থানিকসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু [[ভর সংখ্যা]] ভিন্ন। প্রোটনের সংখ্যা একই থাকায় সমস্থানিকসমূহের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মে অনেক সাদৃশ্য বিদ্যমান। যেমন- কার্বন-১২, কার্বন-১৩, কার্বন-১৪ তিনটি সমস্থানিক যারা একই পদার্থ কার্বন হতে উৎপন্ন, এদের ভর সংখ্যা যথাক্রমে ১২, ১৩ ও ১৪।কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা ৬, তাই এসকল সমস্থানিকে নিউট্রনের সংখ্যা হল যথাক্রমে ১২-৬=৬, ১৩-৬=৭ এবং ১৪-৬=৮। সংক্ষেপে, সমস্থানিকসমূহ ভিন্ন নিউট্রন সংখ্যা বিশিষ্ট একই পদার্থের পরমাণু। এদের [[প্রোটন]] ও [[ইলেকট্রন]] সংখ্যা একই।
 
প্রোটন ও নিউট্রনের সুনির্দিষ্ট বিন্যাস সম্বলিত নিউক্লিয়াসকে বলা হয় নিউক্লাইড। নিউক্লাইডের ধারণা রাসায়নিক বৈশিষ্টের চেয়ে নিউক্লিয়ার বৈশিষ্টকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করে, পক্ষান্তরে সমস্থানিক করে তার উল্টোটি। নিউট্রনের সংখ্যা পরমাণুর নিউক্লিয়ার বৈশিষ্টকে অনেক বেশি প্রভাবিত করলেও তা রাসায়নিক বৈশিষ্টকে অতটা প্রভাবিত করে না। যেহেতু সমস্থানিক ঐতিহাসিকভাবে সুপরিচিত, তাই যে ক্ষেত্রে যেখানে ''নিউক্লাইড'' ব্যবহার করা অধিকতর যুক্তিসঙ্গত কোন কোন সময় সেসব জায়গায় ''সমস্থানিক'' ব্যবহৃত হয়, যেমন- [[নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি|নিউক্লিয়ার প্রযুক্তিতে]]।