শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Intakhab ctg ব্যবহারকারী সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ পাতাটিকে শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ শিরোনামে স্থান...
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{Infobox monarch
[[চিত্র:Iltutmush.jpg|right|thumb|সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ]]
|name = শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ
'''সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ''' দিল্লির একজন তুর্কি শাসক ছিলেন। তিনি ১১৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেণ।
|title = দিল্লির সুলতান<br/>বাদাউনের গভর্নর<br/>নাসির আমিরুল মুমিনিন
|image= Tomb of Iltutmish, Qutb Minar complex, Mehrauli.jpg
|caption =ইলতুতমিশের কবর
|reign =১২১০– ৩০ এপ্রিল ১২৩৬
|coronation =
|full name = শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ
|predecessor =[[আরাম শাহ]]
|successor(s) =[[রুকনউদ্দিন ফিরোজ]]
|spouses = কুতুব বেগম, শাহ তুরকান
|issue = [[নাসিরউদ্দিন মাহমুদ]], [[রাজিয়া সুলতানা]], [[রুকনউদ্দিন ফিরোজ]], [[মুইজউদ্দিন বাহরাম]]
|royal house =
|dynasty =[[মামলুক সালতানাত (দিল্লি)|মামলুক]]
|father =
|mother =
|birth_date =
|birth_place =
|death_date = ৩০ এপ্রিল ১২৩৬
|death_place = [[দিল্লি]]
|date of burial =
|place of burial =[[কুতুব কমপ্লেক্স]], [[মেহরাউলি]], [[দিল্লি]]
|religion = [[ইসলাম]]
}}
'''শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ''' দিল্লির [[মামলুক সালতানাত (দিল্লি)|মামলুক সালতানাতের]] একজন সুলতান ছিলেন। তিনি ১১৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
 
== জীবনী ==
তার ভাইয়েরা তার রুপ ও যোগ্যতায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে এক ক্রিতদাস বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেয়। বিক্রির পর তাকে বুখারার কাজী সদর জং কিনে নেন। বুখারায় তিনি ভাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পান। এর পরে তাকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়, সেখানে তাকে [[কুতুবউদ্দিন আইবেক]] কিনে নেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক তার যোগ্যতা খুশি হয়ে তাকে সার-জান্দার ( প্রধান প্রহরী ) হিসেবে নিয়োগ দেন। কঠোর প্ররিশ্রমের দ্বারা তিনি আমির-ই-শিকার এবং পরে গোয়ালিয়রের আমির হিসেবে উন্নিত হন। আইবেক তার কন্যাকে ইলতুতমিশের সাথে বিয়ে দেন। কুতুবউদ্দিন আইবেকের মৃত্যুর পর তার পুত্র শাসনভার গ্রহণের অযোগ্য প্রমানিত হলে তুর্কিরা তাকে সুলতান হিসেবে মনোনিত করে। ইলতুতমিশ একজন যোগ্য শাসক ছিলেন। তিনি জ্ঞানী, প্রশাষক ও উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের দেশে নিয়ে আসেন যারা মঙ্গল আক্রমণের সময় চলে গিয়েছিল। এদের নিয়ে ইলতুতমিশ এক শক্ত প্রশাষনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন।
 
== ধর্মপ্রান ইলতুতমিশ ==
তিনি ধর্মপ্রান ছিলেন এবং দরবেশদের গভীরভাবে শ্রদ্ধা করতেন। কুতুবউদ্দিন বাখতিয়ারবখতিয়ার খাকিকাকি তার সময়ের একজন বিখ্যাত দরবেশ।
 
== স্থাপত্য ==
[[কুতুবউদ্দিন আইবেক|কুতুবউদ্দিন আইবেকের]] শুরু করা কুতুব মিনারের কাজ ইলতুতমিশের সময় শেষ হয়। তিনি আজমিরে একটি বিখ্যাত মসজিদ তৈরি করেণ।করেন।
 
== অর্থনীতি ==
ইলতুতমিশ প্রথম ভারতবর্ষে আরবি খচিত রৌপ্য মুদ্রা চালু করেণ।করেন। তার সময়ে বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা মুনতানজির বিল্লাহ ১২২৯ সালে ভারতে বিপুল বিনিয়োগ করেণ।করেন।
 
== সাম্রাজ্যের বিদ্রোহ দমন ও বিস্তার ==
ইলতুতমিশ একজন মহান শাসক ছিলেন। তিনি নতুন বিজিত অঞ্চলগুলোর বিদ্রোহ থেকে সম্রাজ্যকেসাম্রাজ্যকে রক্ষা করেণ।করেন। ঘুরি বংশের নাসিরউদ্দিন কুবাচাহ নিজ রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণা করে উচ, মুলতান এবং লাহোর দখল করে নেন। অন্যদিকে, তুর্কি বংশভতবংশোদ্ভূত তাজউদ্দিন ইলদিজ গজনীতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেণ।করেন। ইলতুতমিশ দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নিয়ে তাদের উভয়কে পরাজিত করেণ।করেন। ১২২৫ সালে তিনি বাংলার খিলজী বংশের শাসক হুসামউদ্দিন ইয়াজকে পরাজিত করে বাংলা দখল করে নেন। তিনি সিন্ধুর সুম্রা শাসকের পরাজিত করেণ। ১২৩১ সালে ইলতুতমিশ গোয়ালিয়রের কেল্লা অবরুদ্ধ করেণ। গোয়ালিয়রের শাসক মঙ্গল দেব একবছর পর পলায়ন করলে ইলতুতমিশ গোয়ালিয়র শহর দখল করেণ।করেন। ইলতুতমিশ মালওয়া, বিলসা, উজ্জান দখল করেণকরেন এবং দক্ষিণে তার সাম্রাজ্য নারবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত করেণ।করেন।
 
== বৈদেশিক সম্পর্ক ==
 
ইলতুতমিশের আমলে চেঙ্গিস খান জালালউদ্দিন খোয়ারিজমিকে পরাজিত করে আতুকের নিকটে চলে আসে। জালালউদ্দিন ইলতুতমিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেণ।করেন। কিন্তু ইলতুতমিশ চেঙ্গিস খানের বিরুদ্ধে যেতে চান নাই, ফলে জালালউদ্দিনকে চিঠি লিখে জানান দিল্লি আবহাওয়া ভাল নয়, এই আবহাওয়া জালালউদ্দিন সহ্য করতে পারবেপারবেন না। তখন জালালউদ্দিন সিন্ধু হয়ে ইরাণইরান চলে যান। এভাবে ইলতুতমিশ তার নব্য মুসলিম সম্রাজ্যকে মঙ্গল আক্রমণ থেকে রক্ষা করেণ।করেন।
 
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতবর্ষের মুসলিম শাসক]]