কালভৈরব মন্দির, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Armaanaziz (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Kal Bhairab in Brahmanbaria, Bangladesh.jpg|thumb|250px|কালভৈরব মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ কালভৈরব]]
'''কালভৈরব মন্দির''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা|ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায়]] অবস্থিত অন্যতম ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মূলত এটি শ্রীশ্রী কালভৈরবের মূর্তি। শ্রী শ্রী কালভৈরব হচ্ছে হিন্দু দেবতাবিশেষ। শিবের অংশ থেকে বা দেহ থেকে জাত ভৈরববিশেষ। ধারণা করা হয় যে, [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] সবচেয়ে উঁচু [[মূর্তি]] বা [[বিগ্রহ]] হিসেবে শ্রীশ্রী কালভৈরবের অবস্থান। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র হিসেবে মূর্তিটির অবস্থান [[ব্রাহ্মণবাড়িয়া]] শহরের অদূরে [[মেড্ডা]] এলাকায়। [[তিতাস নদী|তিতাস নদীর]] কূল ঘেঁষে অবস্থিত কালভৈরব একটি ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী [[মন্দির]] হিসেবে বিখ্যাত। মন্দিরটির প্রধান আকর্ষণই হচ্ছে কালভৈরব বা [[শিব]] মূর্তি। সুবিশাল মূর্তিটির উচ্চতা ২৮ ফুট। বিশাল আকৃতিবিশিষ্ট ও চোখ ধাঁধানো মূর্তিটি ১৯০৫ সালে তৈরী করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম দর্শনে যে কেউই [[ভয়]] পেয়ে যেতে পারেন বিরাট আকারের মূর্তি দেখে। মূর্তিটির ডান পাশে রয়েছে একটি [[কালী]] মূর্তি এবং বাম পাশে [[পার্বতী]] দেবী।
 
== ইতিহাস ==
১২ নং লাইন:
বাংলাদেশের মহান [[স্বাধীনতা যুদ্ধ|স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সময় কালভৈরবের বিগ্রহটি [[পাক হানাদার বাহিনী]]র নজরে এলে তারা বৈদ্যুতিক [[ডিনামাইট|ডিনামাইটের]] আঘাতে শিব ও পার্বতী মূর্তির অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরে বিশ্ববরেণ্য [[দার্শনিক]] [[ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী]] মহারাজের অনুপ্রেরণায় ও স্থানীয় কর্মীদের নিরলস কঠোর প্রচেষ্টা এবং সর্বস্তরের জনগণের সাহায্য ও সক্রিয় সহযোগিতায় সূদীর্ঘ চার বছর কাজের পর আবারো ২৪ ফুট উঁচুবিশিষ্ট উপমহাদেশের বিশালতম এই কালীশ্বর শ্রীশ্রী কালভৈরবের বিগ্রহ ও মন্দির পুণরায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
শ্রীশ্রী কালভৈরব মূর্তিটির পাশে ছিল শ্রীশ্রী কৈলাশ্বেশ্বর শিবলিঙ্গ, যা ১০৫ বছরের পুরনো। এটি ১১ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি। মন্দিরের বাম পাশে এই শিবলিঙ্গ মন্দিরটি আলাদা ভবনে অবস্থিত। ১২ জুন, ২০০৯ইং তারিখে মন্দিরের [[তালা]] ভেঙে ভোররাতে শত বছরের পুরনো শিবলিঙ্গটি কে বা কারা [[চুরি]] করে নিয়ে যায়। ১৯ অক্টোবর, ২০০৯ইং তারিখে [[কষ্টি পাথর|কষ্টি পাথরের]] শিবলিঙ্গটি তিন মাস পর উদ্বার করে র‌্যাব-৯ এর সদস্যরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়ীয়া শহরের পুনিয়াউট এলাকা থেকে শিবলিঙ্গটি উদ্বার করা হয়। পাচারের অভিযোগে করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে [[র‌্যাব]] এর একটি চৌকস দল তাদের কাছে কষ্টি পাথরটি কিনতে যায় ও মূর্তিটি ২ কোটি টাকা মূল্য দিয়ে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলে ২ জনকে [[গ্রেফতার]] করে সদর থানায় সোপর্দ করে।
 
== অবস্থান ==
কালভৈরব মন্দিরের স্থানটি সরাইলের বিখ্যাত জমিদার [[নূর মোহাম্মদ]] দান করেছিলেন। [[ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়ীয়া]] শহর প্রতিষ্ঠার পূর্বে মেড্ডা ছিল তিতাস তীরবর্তী [[বাজার]]। এই মন্দিরের মূল কালভৈরবের বয়স প্রায় তিনশ' বছর। শহরের উত্তর সীমানায় শান্ত তিতাস নদীর পশ্চিম পার্শ্বে মেড্ডা গ্রামের এই জায়গা তখন ছিল পঞ্চবটের জন্য বিখ্যাত। সেখানেই পঞ্চবটির মূলে স্ব-মহিমায় আবির্ভূত হন কালীশ্বর শ্রীশ্রী কালভৈরব।
 
== অনুষ্ঠানমালা ==
৪০ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় স্থাপনা]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দু ধর্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা]]