রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Rakhaldas_bandhapadyay1.jpg" সরানো হয়েছে, কমন্স হতে INeverCry এটি মুছে ফেলেছেন কারণ: Per c:Commons:Deletion requests/File:Rakhaldas bandhapadyay1.jpg
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
|রাখাল name = রাখালদাসদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
{{Infobox actor
| bgcolour =
| name = রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
| image =
| imagesize =222px
| }}
 
রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায়
'''রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়''' (এপ্রিল ১২, ১৮৮৫ - ১৯৩০) ভারতের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ। ১৯১১ সালে তিনি ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণে যোগ দেন। ১৯২২ সালে তিনি [[হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতা|হরপ্পা সংস্কৃতির]] প্রধান কেন্দ্র [[মহেঞ্জোদাড়ো]] পুনরাবিষ্কার করেন। ১৯২৬ সালে তিনি অবসরগ্রহণ করেন।
 
ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও লিপিবিশারদ রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিটিশ ভারতের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ১৮৮৫ সালের ১২ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্বের অগ্রপথিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা সভ্যতার আবিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।
== মূখ্য কৃতিসমূহ ==
তাঁর উল্লেখনীয় কৃতিসমূহঃ ২ খন্ডে ''বাঙ্গালার ইতিহাস'', ''পাষাণের কথা'', ''শশাঙ্ক'' ও ''ধর্মপাল''।<ref>সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র (সম্পা.) (১৯৮৮) ''সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান'', কলিকাতা, পৃ.৪৬৫</ref>
তিনি [[লেখমালানুক্রমণী]] নামে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাপ্ত প্রস্তরখোদিত লিপির বর্ণনামূলক সংকলন গ্রন্থ সম্পাদনা করেন।
 
== পাদটীকা ==
<references/>
 
রাখালদাস বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ স্কুল ও কলেজ থেকে ১৯০০ সালে এনট্রান্স ও ১৯০৩ সালে এফএ পাস করেন। ১৯০৭ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক করেন এবং ১৯১০ সালের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এমএ করেন। ১৯১০ সালে কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের প্রত্নতাত্ত্বিক শাখায় সহকারী হিসেবে যোগ দেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে পশ্চিম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রত্নতত্ত্ববিদ হিসেবে নিয়োগ পান। এ সময় তিনি পাহাড়পুরের (নওগাঁ জেলা) খননে অংশ নেন। ১৯২৬ সালে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ইতিহাসবিদ]]
 
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৮৫-এ জন্ম]]
 
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩০-এ মৃত্যু]]
তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালের মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা সভ্যতার প্রধান স্থানগুলো আবিষ্কার করেন। এ সভ্যতার বিশদ ব্যাখ্যা করে কয়েকটি প্রবন্ধ ও বই লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- 'অ্যান ইন্ডিয়ান সিটি ফাইভ থাউজেন্ড ইয়ার্স এগো' (১৯২৮), 'মহেঞ্জোদারো', 'প্রিহিস্ট্রিক, অ্যানসিয়েন্ট অ্যান্ড হিন্দু ইন্ডিয়া' (১৯৩৪) এবং 'মহেঞ্জোদারো- এ ফরগোটেন রিপোর্ট' (১৯৮৪)। প্রাচীন লিপির ওপরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করেছেন তিনি। 'দ্য অরিজিন অব দ্য বেঙ্গলি স্ক্রিপ্ট' (১৯১৯) বইয়ের জন্য তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবিলি রিসার্চ পুরস্কার লাভ করেন। রাখাল দাসই প্রথমবারের মতো বাংলা লিপির মূল উৎস প্রোটো-বাংলা লিপি নিয়ে কাজ করেন। তাঁর ধ্রুপদী কাজের মধ্যে রয়েছে মধ্যযুগীর ভারতের মুদ্রা ও ভারতের মূর্তিশিল্প, বিশেষ করে গুপ্ত ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের ওপর গবেষণা। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বই ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত 'ইস্টার্ন ইন্ডিয়ান মিডায়েভ্যাল স্কুল অব স্কাল্পচার'। তিনি 'হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া' (১৯২৪) ও 'এ জুনিয়র হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া' (১৯২৮) নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুটি পাঠ্যপুস্তক লিখেছেন। এ ছাড়া রয়েছে 'বাংলার ইতিহাস' (১৯১৪ ও ১৯১৭)। এটি বাংলা ইতিহাস নিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লেখা প্রথম দিকের কাজগুলোর একটি। এ ছাড়া তিনি কিছু উপন্যাস লিখেছেন। এর মধ্যে কিছু উপন্যাস ইতিহাস আশ্রয়ী।
 
 
রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৩০ সালের ২৩ মে পরলোকগমন করেন।