সূরা কিয়ামাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩৯ নং লাইন:
এই ভাগটিতে ১৬ থেকে ১৯ পর্যন্ত [[আয়াত]]গুলো রয়েছে।এ [[আয়াত]]গুলো [[মোহাম্মদ সাঃ|নবীজি সাঃ]]কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে।
===পুরো সূরার ব্যাখ্যা===
এই সূরাটি [[কেয়ামত]] সম্পর্কে সন্দেহের অবসান ঘটিয়েছে। এই [[সূরা]]য় বলা হয়েছে আগে [[কাফের|কাফেরেরা]] ভাবত আমরা তো মরার পর পঁচে গলে যাব।তাহলে [[আল্লাহ]] তায়ালা কীভাবে আবার সৃষ্টি করবেন? কিন্তু [[কুরআন|কুরআনে]] বলা হয়েছে যে,[[আল্লাহ]] তায়ালা তাদের আঙ্গুলগুলো পর্যন্ত সন্নিবেশন করতে সক্ষম।তারা প্রশ্ন করে [[কেয়ামত]] কবে হবে?[[আল্লাহ]] তায়ালা বলেছেন যে (আমার ব্যক্তিগত ভাষায়) [[কেয়ামত]] সেদিন হবে যেদিন দৃষ্টি চমকে যাবে,[[সূর্য]] ও [[চাঁদ]] জ্যোতিহীন হয়ে যাবে,[[চাঁদ]] ও [[সূর্য]]কে একত্র করা হবে।তখন মানুষ বলবে পালানোর জায়গা কোথায়?কিন্তু তারা ঠাঁই পাবার জায়গা পাবে না একমাত্র [[আল্লাহ]]র [[আরশে আযীম]] ছাড়া।সেখানে নেকব্যক্তিরা স্থান লাভ করবে?মূলত মানুষ ভবিষ্যতেও ধৃষ্টতা দেখাতে চায়।যার কারণে তারা এসব ব্যাপারে মাথা ঘামায়।সেদিন তারা জীবনে যা করেছে তা তাদেরকে দেওয়া হবে।কিন্তু তারা এসব পাওয়ার পরও অজুহাত পেশ করবে।নবীজি সাঃ এসব [[আয়াত]] মুখস্ত করার জন্য [[জিবরাঈল আঃ]] এর সঙ্গে [[ঠোঁট]] নাড়িয়ে পড়তেন।[[আল্লাহ]] তায়ালা এর প্রেক্ষিতে বলেন যে,হে [[নবী]] আপনার এভাবে পড়ার দরকার নেই।জিবরাঈল আঃ যা কিছু বর্ণনা করেন তার দিকে অনুসরণ করুন।মুখস্ত করানোর দায়িত্ব আমার।তবুও মানুষ পরকালকে উপেক্ষা করে।আর এসব অজুহাত এসবেরই কারণ।সেদিন নেককারেরা প্রভুর দিকে উজ্জ্বল মুখমন্ডল ফিরিয়ে রাখবে।আর বদকারেরা এর বিপরীতভাবে থাকবে।তারা [[নামাজ]] পড়েনি আল্লাহর ইবাদত করে নি।আর এসবের কারণে তাদের এই পরিণতি হবে।মানুষ মনে করে তাদের এভাবে ছেড়ে দেওয়া হবে।তারা স্খলিত [[বীর্য]] ছিল।অতঃপর তারা ছিল রক্তপিন্ড এবং আল্লাহ তাঁকে সুবিন্যস্ত করেছেন।আর সৃষ্টি করেছেন [[নারী]] ও [[পুরুষ]]।তাহলে কি এভাবে তিনি মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করতে পারবেন না?অবশ্যই পারবেন।সুতরাং [[কেয়ামত]] অবশ্যই হবে।এই সূরা এসব বিষয় সম্পর্কেই বলা হয়েছে।
 
==আরও দেখুন==