এডি পেন্টার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রারম্ভিক জীবন - নতুন অনুচ্ছেদ সৃষ্টি করা হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্মাননা - নতুন অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৫৬ নং লাইন:
}}
 
'''এডওয়ার্ড এডি পেন্টার''' ([[জন্ম]]: [[৫ নভেম্বর]], [[১৯০১]] - [[মৃত্যু]]: [[৫ ফেব্রুয়ারি]], [[১৯৭৯]]) ল্যাঙ্কাশায়ারের অসওয়াল্ডটুইসল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত [[ইংল্যান্ড|ইংরেজ]] [[ক্রিকেট|ক্রিকেটার]] ছিলেন। [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন '''এডি পেন্টার'''। দলে তিনি আক্রমণধর্মী বামহাতি [[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটসম্যান]] ও ফিল্ডার হিসেবে নিপুণতা দেখান।<ref name="may">{{cite web |url=http://www.espncricinfo.com/ci/content/player/18475.html |title=player profile of eddie paynter |accessdate=9 May 2015 |work=ESPN Cricinfo}}</ref> কাউন্টি ক্রিকেটে [[Lancashire County Cricket Club|ল্যাঙ্কাশায়ারের]] প্রতিনিধিত্ব করেন।
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
জুলাই ১৯২৬ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর [[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টি ক্রিকেটে]] অভিষেক ঘটে তাঁর। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে বেশ ধীরলয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরফলে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত দলের মূল একাদশে খেলার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। পরের বছরের জুলাই মাসে নিজ ৪৮তম [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট]] খেলায় [[Warwickshire County Cricket Club|ওয়ারউইকশায়ারের]] বিপক্ষে তিনি তাঁর প্রথম [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|শতরান]] করেন। এর পরপরই সফরকারী নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ১০২ রান তোলেন। ১৯৩৭ সালে নিজ কাউন্টির পক্ষে ২,৯০৪ রান তোলেন। তন্মধ্যে [[Sussex County Cricket Club|সাসেক্সের]] বিপক্ষে পাঁচ ঘন্টা সময় নিয়ে ত্রি-শতক হাঁকান।
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
১৫ আগস্ট, ১৯৩১ তারিখে [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ড দলের]] বিপক্ষে তাঁর [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] অভিষেক ঘটে। কিন্তু নির্ধারিত ৩-দিনের টেস্টের প্রথম দুইদিন বৃষ্টির কারণে খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। একমাত্র ইনিংসে তিনি মাত্র ৩ রান তোলেন। ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় [[Bodyline|বডিলাইন সফরে]] অনুষ্ঠিত টেস্টে অংশগ্রহণ করে সবিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ব্রিসবেনে অবস্থানকালে [[tonsillitis|টনসিলে]] আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। ঐ সময় অস্ট্রেলিয়ার ৩৪০ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ২১৬/৬ থাকাবস্থায় ব্যাটিংয়ে নামেন। হাসপাতালে রাত কাটিয়ে ৮৩ রান করলে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যায়। এছাড়াও তিনি কয়েক ঘন্টা ফিল্ডিং করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে [[Stan McCabe|স্টান ম্যাকাবি’র]] বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়সূচক রান করেন। এ সফরে তিনি ৫ ইনিংসে ৬১.৩৩ গড়ে রান তোলেন।
 
এরপর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু কাউন্টি ক্রিকেটে সফলতার ফলে তাঁকে পুণরায় দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয় ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে ১০১.৭৫ গড়ে চমৎকার ফলাফল লাভ করেন। তন্মধ্যে নটিংহামে অপরাজিত ২১৬* তোলেন যা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ]] টেস্টে ঐ সময়ের সর্বাধিক রানের রেকর্ড ছিল। এছাড়াও লর্ডসে আঘাতপ্রাপ্ত [[উইকেট-কিপার]] [[Les Ames|লেস অ্যামিসের]] পরিবর্তে উইকেট-কিপারের দায়িত্ব পালন করেন। পরের মৌসুমে [[দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল|দক্ষিণ আফ্রিকার]] বিপক্ষেও নিজেকে মেলে ধরেন। ঐ সিরিজে তিন শতক ও দুই অর্ধ-শতকসহ মোট আট ইনিংসে ৮১.৬২ গড়ে রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, [[Durban|ডারবানে]] সর্বোচ্চ ২৪৩ তোলেন।
তাঁর টেস্ট [[batting average|ব্যাটিং গড়]] ছিল ৫৯.২৩ যা সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ৫ম। ইংরেজ ক্রিকেটারদের মধ্যে [[হার্বার্ট সাটক্লিফ|হার্বার্ট সাটক্লিফের]] পর তাঁর অবস্থান দ্বিতীয়। কেবলমাত্র [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষেই তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৮৪.৪২।
 
== সম্মাননা ==
{{Test cricket batting averages}}
 
তাঁর টেস্ট [[batting average|ব্যাটিং গড়]] ছিল ৫৯.২৩ যা সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ৫ম।৫ম ও বর্তমানে ৬ষ্ঠ।<ref name="mi">{{cite web |url=http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/282910.html |title= Records / Test matches / Batting records / Highest career batting average |accessdate= 9 May 2015 |work=ESPN Cricinfo}}</ref> ইংরেজ ক্রিকেটারদের মধ্যে [[হার্বার্ট সাটক্লিফ|হার্বার্ট সাটক্লিফের]] পর তাঁর অবস্থান দ্বিতীয়। কেবলমাত্র [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষেই তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৮৪.৪২।
 
১৯৩৮ সালে [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেন]] কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত হন পেন্টার।
 
== অবসর ==
[[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] কারণে প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে তাঁর। যুদ্ধ পরবর্তীতে তিনি কয়েকটি অনানুষ্ঠানিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে [[Commonwealth XI cricket team|কমনওয়েলথ একাদশের]] পক্ষে বোম্বে গভর্নর একাদশের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ইনিংসে অংশ নেন। ১৯৫১ সালে এক মৌসুমের জন্য প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে [[আম্পায়ার|আম্পায়ারেরও]] দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
৭৭ বছর বয়সে ইয়র্কশায়ারের কেইলতে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
 
== বহিঃসংযোগ ==