মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
চিত্র
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
৪ নং লাইন:
== স্থাপত্য তাৎপর্য ==
 
===১. লাল মঞ্চ (স্বাধীনতার রক্তাক্ত সূর্য)===
স্মৃতিসৌধটি ২৩ টি ত্রিভূজাকৃতি দেয়ালের সমন্বয়ে গঠিত। যা বৃত্তাকার উপায়ে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে। ২৩ টি দেয়াল [আগষ্ট ১৯৪৭] থেকে [র্মাচ ১৯৭১]- এই ২৩ বছরের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের স্থানে ২৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্থ সিরামিক ইটের তৈরী আয়তকার এই লাল
[[File:Mujibnogor smritisoudho lal monch.jpg|thumb|লাল মঞ্চ]]
মঞ্চটিকে স্থান দেয়া হয়েছে [[মুজিবনগর]] স্মৃতিসৌধের মূল ভিতের মাঝখানে। এখানে দাঁড়িয়েই অধ্যাপক ইউসুফ আলী [[স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র]] পাঠ করেন।
 
===২. ২৩টি স্মৃতি স্তম্ভ===
স্বাধীনতার রক্তাক্ত সূর্য হতে বিচ্ছুরিত ২৩টি রশ্নির শেষাংশ দ্বারা ২৩টি স্তম্ভ বোঝানো হয়েছে যা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্থানি শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙ্গালির স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক। দেয়ালগুলোর প্রথমটির উচ্চতা ৯ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। পরবর্তী প্রতিটি দেয়াল ক্রমান্বয়ে দৈর্ঘ্য ১ ফুট ও উচ্চতা ৯ ইঞ্চি করে বেড়ে গেছে। যার অর্থ হলো বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার জন্য ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করেছিল। শেষ দেয়ালের উচ্চতা ২৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট। প্রতিটি দেয়ালের ফাঁকে অসংখ্য ছিদ্র আছে যেগুলোকে পাকিস্থানি শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচারের চিহ্ন হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে।
===৩. ১ লক্ষ বুদ্ধিজীবির খুলি===
স্মৃতিসৌধের ভূতল থেকে ২ ফুট ৬ ইঞ্চি উঁচু বেদীতে অসংখ্য গোলাকার বৃত্ত দ্বারা ১ লক্ষ বুদ্ধিজীবির খুলি বোঝানো হয়েছে।
===৪. ৩০ লক্ষ শহীদ===
স্মৃতিসৌধের ভূতল থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বেদীতে অসংখ্য পাথর দ্বারা ৩০ লক্ষ শহীদ ও মা-বোনের সম্মানের প্রতি ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও স্মৃতিচারণা প্রকাশ করা হয়েছে। পাথরগুলো মাঝখানে ১৯টী রেখা দ্বারা তৎকালীন (পূর্ব বাংলার, যা পূর্ব পাকিস্থান নামে পরিচিত ছিলো) ১৯টি জেলা বুঝানো হয়েছে।
===৫. ১১টি সিঁড়ি===
স্মৃতিসৌধের বেদীতে আরোহণের জন্য ১১টি সিঁড়ি রয়েছে। যা মুক্তিযুদ্ধকালীন সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল তা বুঝানো হয়েছে।
===৬. বঙ্গোপসাগর===
স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশের আম বাগান ঘেঁষা যে স্থানটি মোজাইক করা আছে তার দ্বারা বঙ্গোপসাগর বোঝানো হয়েছে। যদিও [[বঙ্গোপসাগর]] বাংলাদেশের দক্ষিণে, তবুও শপথ গ্রহণ মঞ্চটির সাথে স্মৃতিসৌধের সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য এটিকে উত্তরে স্থান দেয়া হয়েছে।
===৭. ২১ শে ফেব্রুয়ারির প্রতীক===
স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক থেকে যে রাস্তাটি মূল স্মৃতিসৌধের রক্তের সাগর নামক ঢালকে স্পর্শ করেছে সে-রাস্তাটি ভাষা আন্দোলনের বা [[২১শে ফেব্রুয়ারি]]র প্রতীকি অর্থে বাবহৃত হয়েছে। এ রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।
===৮. রক্তের সাগর===
পশ্চিম পাশে স্মৃতিসৌধের প্রথম দেয়ালের পাশ দিয়ে শহীদের রক্তের প্রবাহ বয়ে গেছে যাকে রক্তের সাগর বলা হয়।
===৯. সাড়ে সাত কোটি ঐক্যবদ্ধ জনতা===
লাল মঞ্চ থেকে যে ২৩টি দেয়াল সৃষ্টি হয়েছে তার ফাঁকে অসংখ্য নুরি-পাথর দ্বারা মোজাইক করা আছে। এটা সাড়ে সাত কোটি ঐক্যবদ্ধ জনতার প্রতীক।
 
==আরও দেখুন==