আতাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
Diptanu09 (আলোচনা | অবদান)
আরও তথ্য যোগ করা হয়েছে।
১ নং লাইন:
'''আতাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে''' ([[ইংরেজি ভাষায়]]: Atacama Large Millimeter Array) বা '''আলমা''' [[চিলি|চিলির]] [[আতাকামা মরুভূমি|আতাকামা মরুভূমির]] কাইনান্তোর (Chajnantor[[ইংরেজি]] ঃChajnantor) উপত্যকায় স্থাপিত একটি [[বেতার দুরবিন]] যা দিয়ে বিভিন্ন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু থেকে আসা মিলিমিটার ও সাবমিলিমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ সনাক্ত করা সম্ভব। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উপত্যকাটি প্রায় ৫ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এটি [[ইউরোপ]], [[উত্তর আমেরিকা]], পূর্ব এশিয়া এবং স্বাগতিক দেশ চিলির যৌথ অংশগ্রহণে পরিচালিত একটি প্রকল্প। প্রাথমিকভাবে এতে ৬৬ টি খুবই সূক্ষ্ণ রিজল্যুশনের বেতার দুরবিন থাকবে যার সবগুলো দিয়ে একসাথে ব্যতিচারমিতিক (ইন্টারফেরোমেট্রি) প্রক্রিয়ায় একটি বস্তু পর্যবেক্ষণ করা যাবে। অধিকাংশ দুরবিনের এন্টেনার ব্যাসই ১২ মিটার, তবে কিছু ৭ মিটার ব্যাসের এন্টেনাও রয়েছে।<ref>[http://www.almaobservatory.org/ Atacama Large Millimeter Array এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট]</ref>
[[ইউরোপ]], [[উত্তর আমেরিকা]], পূর্ব [[এশিয়া]] এবং স্বাগতিক দেশ [[চিলি]]র আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বে স্থাপিত আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূ্র্ণ এক মহাকাশ বিদ্যা –প্রকল্প। চিলির আতাকামা মরুভূমির ৫ কিমি উচ্চতায় স্থাপিত কাইনান্তোর উপত্যকায় প্রতিষ্ঠিত এই বেতার দূরবীনে রয়েছে ৬৬ টি অতি সূক্ষ রিজোলিউশানের এন্টেনা যার সাহায্যে একসাথে ব্যতিচারমিতিক (ইন্টারফেরোমেট্রি) প্রক্রিয়ায় একটি বস্তু পর্যবেক্ষণ করা যাবে। অধিকাংশ দুরবিনের এন্টেনার ব্যাসই ১২ মিটার, তবে কিছু ৭ মিটার ব্যাসের এন্টেনাও রয়েছে।<ref>[http://www.almaobservatory.org/ Atacama Large Millimeter Array এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট]</ref>পূর্বকালীন মহাকাশের বিভিন্ন নক্ষত্র-জন্মের বিস্তৃত বিবরণ সরবরাহ করবে এই আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে। মহাজাগতিক নিয়মে মহাকাশের যে সকল নক্ষত্রেরা হারিয়ে গেছে, তাদের জন্ম-বিস্তৃতির বিস্তারিত প্রতিমূর্তি তুলে ধরাই আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারের মূল লক্ষ্য।
 
২০১১ সালের দ্বীতিয়ার্ধে আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে তার বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ শুরু করে এবং ৩ রা মার্চ ,২০১১ প্রথমবারের মতো সংবাদ-মাধ্যমে আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারের পর্যবেক্ষণের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়। মার্চ,২০১৩ এই বেতার দুরবীন তার সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু করে। <ref>{{cite web|title=Alma telescope: Ribbon cut on astronomical giant|url=http://www.bbc.co.uk/news/science-environment-21774448|publisher=BBC|accessdate=13 March 2013}}</ref><ref>{{cite doi|10.1117/2.3201407.14}}</ref>
 
== খর্চাবহন ==
যুক্তরাষ্ট্রের মিলিমিটার এ্যারে,ইয়ুরোপের লার্জ সাউদার্ন এ্যারে এবং জাপানের লার্জ মিলিমিটার এ্যারে ---- এই তিনটি প্রকল্পের ত্রিবেণী সঙ্গমেই তৈরী হয়েছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রখ্যাত প্রকল্প --আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে।<ref>[http://www.alma.nrao.edu/partners/ ALMA Partners<!-- Bot generated title -->]</ref> তার নির্মাণ ও কার্যসম্পাদনের দায়িত্বে রয়েছে জয়েন্ট আ.ল.ম.এ অবসারভেটরী।সব মিলিয় দুরিবন অবসারভেটরী নির্মাণে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে।<ref>[http://bigstory.ap.org/article/chiles-alma-probes-origins-universe Chile's ALMA probes for origins of universe], [[Associated Press]]</ref> যেসব সংগঠ্ন আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে, তারা হল—
 
(১)ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবসারভেটরী, ইউরোপ।
 
(২)ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশান, উত্তর আমেরিকা।
 
(৩)ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল, কানা।
 
(৪)ন্যাশনাল সায়েন্স কাউন্সিল ও অ্যাকাডেমিকা সিনিকা, তাইওয়ান।
 
(৫)ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ্ সায়েন্সেস, জাপান।
 
 
 
 
 
সব মিলিয়ে দুরবিন অ্যারেটি নির্মাণে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি খরচ হবে। এখনও এর নির্মাণকাজ চলছে। তবে কিছু এন্টেনা দিয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করা শুরু হয়ে গেছে। [[অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স]] জার্নালের ফেব্রুয়ারি ২০১২ সংখ্যায় আলমা থেকে পাওয়া ফলাফল নিয়ে প্রথম কোন রেফারিড গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রথম প্রকাশের কৃতিত্ব চিলির তরুণ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ''সিনথিয়া হেরেরা''। এই গবেষণাপত্রে [[এন্টেনা ছায়াপথদ্বয়|এন্টেনা ছায়াপথদ্বয়ের]] [[কার্বন মনোক্সাইড]] নিঃসরণের মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছে।<ref>Jonathan Amos, "[http://www.bbc.co.uk/news/science-environment-17539317 Chilean astronomer makes her mark]", বিবিসি, ৩০ মার্চ ২০১২</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==