বাংলাদেশের লোক সাহিত্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৩৫ নং লাইন:
জারি শব্দটির অর্থ বিলাপ বা ক্রন্দন। এ শব্দটির উৎস-মূল ফার্সি ভাষা। তবে, বাংলায় এসে শব্দটি অর্থ ব্যাপকতা লাভ করেছে। বাংলাদেশে মহররমের বিশেষ দিনে কারবালার শোকাবহ ঘটনা অবলম্বনে নৃত্যগীত সহকারে যে কাহিনী পরিবেশিত হয় তা সাধারণভাবে জারিগান বলে পরিচিত। ১৭শ শতক থেকে বাংলায় এই গানের ধারা প্রচলিত।
 
===উল্লেখযোগ্য পালাগান===
===গীতি কাব্য===
====মৈমনসিংহ গীতিকা====
মূল নিবন্ধঃ [[গীতি কাব্য]]।<br />
মূল নিবন্ধঃ [[মৈমনসিংহ গীতিকা]]।<br />
[[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]] বলেন,
[[ময়মনসিংহ]] অঞ্চলের প্রচলিত [[পালাগান|পালাগানগুলোকে]] একত্রে '''মৈমনসিংহ গীতিকা''' বলা হয়। এই গানগুলো প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে আসছে। তবে [[১৯২৩-৩২]] সালে [[দীনেশচন্দ্র সেন|ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন]] এই গানগুলো সম্পাদনা করে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] হতে প্রকাশ করেন। বর্তমান [[নেত্রকোনা জেলা|নেত্রকোনা]] জেলার আইথর নামক স্থানের আধিবাসী চন্দ্রকুমার দে এসব গাঁথা সংগ্রহ করছিলেন।
{{উক্তি|বক্তার ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটন মাত্র যাহার উদ্দেশ্য, সেই কাব্যই গীতিকাব্য।}}
 
====পূর্ববঙ্গ-গীতিকা====
মূল নিবন্ধঃ [[পূর্ববঙ্গ-গীতিকা]]।<br />
[[পূর্ববঙ্গ]] অঞ্চলের প্রচলিত লোকসাহিত্যকে একত্রে '''পূর্ববঙ্গ গীতিকা''' বলা হয়। প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে আসা পালাগুলি বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। ১৯২৬ সালে [[দীনেশচন্দ্র সেন|ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন]] [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অর্থ সাহায্যে পালাগুলো সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন। পরে ১৯৭১-১৯৭৫ সালে ক্ষিতীশচন্দ্র মৌলিক ও সাত খন্ডে প্রাচীন পূর্ববঙ্গ গীতিকা প্রকাশ করেন।
 
====সিলেট গীতিকা====
মূল নিবন্ধঃ [[গীতিসিলেট কাব্যগীতিকা]]।<br />
সিলেটের লোকমানুষের রচিত মৌখিক কেচ্ছা, কাহিনী, যাত্রা-পালা ইত্যাদি লোকভাণ্ডারকে এক সাথে '''সিলেট গীতিকা''' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। [[সিলেট]] অঞ্চলের প্রাচীন লোকমানুষের দৈনন্দিন জীবনধারা, আদিবাসী মানুষের জীবন-জীবিকা, সামন্ততান্ত্রিক শাসন প্রণালী, গ্রামীণ লোকচার, আবেগ অনুভূতি, প্রেম-বিরহ, যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং মানবিকতা সম্মেলিত গাঁথাকেই সিলেট গীতিকার উত্স বলে ধরা হয়। অধ্যাপক আসদ্দর আলীর পদত্ত তালিকা অনুসারে ১২০টি লোকগাথাকে সিলেট গীতিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে <ref>সিলেট গীতিকাঃ সমাজ ও সংস্কৃতি, ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ; প্রস্তাবনা ২, প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারী ২০০৫।</ref> এছাড়া গোলাম আকবর চৌধুরী ১৯৬৮ সালে [[বাংলা একাডেমী]] থেকে ১০ টি গীতিকা নির্বাচন করে একত্রে '''সিলেট গীতিকা''' নাম দিয়ে প্রকাশ করেন।<ref>সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত: '''প্রাচীন লোকসাহিত্য''', মোহাম্মদ মুমিনুল হক, গ্রন্থ প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০০১; পৃষ্ঠা ৩৫৪।</ref>
 
==তথ্যসূত্র==