উইকিপিডিয়া আলোচনা:আপনার প্রথম নিবন্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Simanta prodhan (আলোচনা | অবদান)
Moheen (আলোচনা | অবদান)
Simanta prodhan-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultan-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
১ নং লাইন:
{{আলাপ পাতা}}
 
== আমি যে কারণে নিরীশ্বরবাদী ==
 
অনেকে মাঝে মাঝে আমাকে প্রশ্ন করেন, 'আপনি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না' ? কুরআন কেন বিশ্বাস করেন না ? একমাত্র ইসলামই সত্য ধর্ম, কুরআন একমাত্র নির্ভুল আল্লার বাণী। আমি তাঁদেরকে যতোই বুঝাতে চাই যে, এগুলো ভোগাস, ভাঁওতাবাজি। তাঁরা উল্টো ক্ষেপে যেতেন। গালাগাল দিতেন। পাগল বলতেন। কাফের আর মুর্দাদ বলতেন। আমি মানুষ এটা যে আমার বড় পরিচয়, সেটা তাঁরা ভুলে গিয়ে আমাকে গাধা আর ছাগলের সাথে তুলনা করতেন। আমিও ভাবতাম, আসলে কী আমি গাধা বা ছাগল !? আমি কোন অযৌক্তিক ধ্যান ধারণার উপর, কোন আষাঢ়ে গল্পের উপর মনোনিবেশ করি নি বলেই কী আমাই গাধা আর ছাগল ! হায় রে অন্ধত্ব, বিশ্বাস ভালো অন্ধ-বিশ্বাস কখনোই ভালো নয়। অন্ধ-বিশ্বাস মানুষকে কখনোই আলোতে নয়, অন্ধকারে ঠেলে দেয়, তা মুসলিম বিশ্বের দিকে তাকালেই বুঝা যায়।
যাই হোক, কেন আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর নেই। কেন আমি বিশ্বাস করি, মানি, পেয়েছি যে কুরআন নির্ভুল কোন গ্রন্থ নয়, এটা আল্লার বাণী নয়। আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাসী না। আমি কেন কুরআনে বিশ্বাসী না। কেন আমার কাছে মনে হয় ঈশ্বর নেই। তাঁর একটা সাধারণ ব্যখ্যা করছি।
সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে। কুরআন তাই বলে। আর এটা এখনো বিশ্বাস করেন মুসলিমরা। এটা তাঁরা বিশ্বাস করেন অন্ধের মতো করেই। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে এসব মিথ্যে। সূর্য নয়, পৃথিবী ঘুরে। সূর্য যে ঘুরে তা কুরআনের আয়াত ছাড়া ইসলাম আর কোন প্রমাণ দিতে পারে নি। খৃস্টান ধর্মও ঠিক তাই বলতো। তখন ছিলো অন্ধকার যুগ। পরে অবশ্য বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে খৃষ্টান ধর্মে বিশ্বাসীরা। কিন্তু এখনো ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করতে পারেন না যে, সূর্য নয়, পৃথিবী ঘুরে। তাঁরা এখনো অন্ধত্ব বরণ করে আছেন। আর এটা স্বেচ্ছায়।
মুসলিমরা দাবী করেন, একমাত্র ইসলামই সত্য। নির্ভুল কুরআন। কুরআন আল্লা প্রদত্ত। মুহাম্মদের মাধ্যমে এটা নাজিল হইসে। এবং আল্লা এক, তাঁর কোন শরীক নাই। আল্লার আকারও নেই। তিনি নিরাকার। কিন্তু কুরআনের অযৌক্তিক কথাই আবার প্রমাণ করেন যে, আল্লা কেবল মাত্র কল্পগল্প। এমন কোন অস্তিত্ব নেই। আল্লা মানুষ বা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা নন। বরং মানব জাতিই কথিত ওই আল্লা, ব্রম্মা, ঈশ্বর বা গডকে সৃষ্টি করেছেন যুগে যুগে।
আল্লা, ব্রম্মা, ঈশ্বর বা গড'র অস্তিত্ব কোথাও নেই। তাকে সৃষ্টি করে মানুষ কেবল ব্যবসাই করেছেন এতোকাল। তবে সেটা ছিলো অন্ধকার যুগ। এখন দিন পাল্টেছে। অন্ধকার ফুঁড়ে আলো এসেছে। বিজ্ঞানের প্রসার বেড়েছে। বিজ্ঞান প্রমাণ করছে অলৌকিক বলে কিছুই নেই। যা কিছু তা সবই লৌকিক।
“আল্লাহ তাআ’লা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন। তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” (সূরা বাকারাঃ ২৫৮)। ইসলামে চিন্তাবিদরা দাবী করেন, সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠার মাধ্যমে প্রকাশ্য দলীল পাওয়া যায় যে, সূর্য পৃথিবীর উপর পরিভ্রমণ করে ।
'অতঃপর যখন সূর্যকে চকচকে অবস্থায় উঠতে দেখলেন তখন বললেনঃ এটি আমার পালনকর্তা, এটি বৃহত্তর। অতপর যখন তা ডুবে গেল, তখন বলল হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা যেসব বিষয়ে শরীক কর আমি ওসব থেকে মুক্ত।” (সূরা আনআ’মঃ ৭৮) এই আয়াতটির মাধ্যমে ইসলামী চিন্তাবিদরা আরো বলেন, এখানে নির্ধারণ হয়ে গেল যে, সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়। একথা বলা হয়নি যে, সূর্য থেকে পৃথিবী ডুবে গেল। পৃথিবী যদি ঘূরত তাহলে অবশ্যই তা বলা হত।
'তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়।” (সূরা কাহাফঃ ১৭)। ইসলাম বিশ্বাসীদের মতে, পাশ কেটে ডান দিকে বা বাম দিকে চলে যাওয়া প্রমাণ করে যে, নড়াচড়া সূর্য থেকেই হয়ে থাকে। পৃথিবী যদিনড়াচড়া করত তাহলে অবশ্যই বলতেন সূর্য থেকে গুহা পাশ কেটে যায়। উদয় হওয়া এবং অস্ত যাওয়াকে সূর্যের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এটা থেকে বুঝা যায় যে, সূর্যই ঘুরে। পৃথিবী নয়।
'এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে।” (সূরা আমবীয়াঃ ৩৩) এই আয়াতটি প্রসঙ্গে ইবনে আব্বাস বলেন, লাটিম যেমন তার কেন্দ্র বিন্দুর চার দিকে ঘুরতে থাকে, সূর্যও তেমনিভাবে ঘুরে।
'তিনি রাতকে আচ্ছাদিত করেন দিনের মাধ্যমে, দিন দৌড়ে দৌড়ে রাতের পিছনে আসে।' (সূরা আ’রাফঃ ৫৪) আয়াতে রাতকে দিনের অনুসন্ধানকারী বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
'তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন। প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।' (সূরা যুমারঃ ৫) এসমস্ত আয়াত এটাই প্রমাণ করছে যে, পৃথিবীর উপরে দিবা-রাত্রি চলমান রয়েছে। পৃথিবী যদি ঘুরতো তাহলে কুরআনে উল্লেখ থাকত, দিবা-রাত্রির উপর পৃথিবীকে ঘূরান। আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “সূর্য এবং চন্দ্রের প্রত্যেকেই চলমান”। এই সমস্ত দলীলের মাধ্যমে জানা গেল যে, সুস্পষ্টভাবেই সূর্য ও চন্দ্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করছে। এ কথা সুস্পষ্ট যে, চলমান বস্তকে বশীভুত করা এবং কাজে লাগানো একস্থানে অবস্থানকারী বস্তকে কাজে লাগানোর চেয়ে অধিক যুক্তিসঙ্গত।
সূর্য অস্ত যাওয়া সম্পর্কে মুহাম্মদ আবু যরকে বলেছেন___ হে আবু যর! তুমি কি জান সূর্য যখন অস্ত যায় তখন কোথায় যায়? আবু যার বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তখন নবী বললেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আরশের নীচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়। অতঃপর তাকে অনুমতি দেয়া হয়। সে দিন বেশী দূরে নয়, যে দিন অনুমতি চাবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফেরত যাও। অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকেই উদিত হবে।' এটি হবে কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে। আল্লাহ সূর্যকে বলবেন, যেখান থেকে এসেছ সেখানে ফেরত যাও, অতঃপর সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সূর্য পৃথিবীর উপরে ঘুরছে এবং তার এই ঘুরার মাধ্যমেই উদয়-অস্ত সংঘটিত হচ্ছে।
তাহলে এখানে কী দাঁড়ালো ? কুরআন ও হাদিস প্রমাণ করে যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে__ না। তাহলে বিজ্ঞান আর হাদিসের সাথে বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক। কিন্তু বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে সূর্য নয়, পৃথিবী ঘুরে। আর এতে স্পষ্ট আল্লা নির্দেশ বলে মুহাম্মদ যে প্রচার চালিয়েছে তা নিতান্তই মিথ্যে। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।
স্বাভাবিক অর্থে দেখলে বুঝা যায় যে, সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী ঘুরে ! এটা আবার কেমন করে ? তখন মনে হয়, নাহ, পৃথিবী নয়, সূর্য ঘুরে পৃথিবীর চারপাশে। কিন্তু আদৌ কী তা সম্ভব ? মুহাম্মদ যখন এসমস্ত কথা প্রচার করেছিলেন, তখন তিনি স্বাভাবিক দৃষ্টি কোন থেকেই দেখেছেন, পৃথিবীর চারদিকে সূর্য ঘুরে, এবং তা পূবে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়। মুহাম্মদ অক্ষর জ্ঞানহীণ হলেও, তিনি ছিলেন যথেষ্ট চতুর শ্রেণীর। আর তাই তিনি এ কথাগুলো তাঁর নিজের দাবী না করে অলৌকিক স্রষ্টার কথা বলে দাবী করেছেন। ফলে সাধারণ মানুষ সহজেই তা লুফে নেন।
মুহাম্মদ যখন এসমস্ত কথা প্রচার চালাতেন, তখন যুগটা ছিলো অন্ধকার যুগ। তিনি এ সমস্ত প্রচার করতেন তাঁর অনুগতদের মাঝে। আর তাঁর অনুগতরা ছিলেন মুহাম্মদের অন্ধ ভক্ত। মুহাম্মদ যা বলতেন, তাঁর অনুগতরা তাই বিশ্বাস করতেন। যা এখনো মুহাম্মদের অনুগতরা মেনে আসছেন, বিশ্বাস করছেন। কিন্তু এটা কী সত্যই যে, পৃথিবী নয় সূর্য ঘুরে ? যদি এটা সত্য হয়ে থাকে তবে ঈশ্বর আছেন। কিন্তু 'পৃথিবীর চারপাশে সূর্য ঘুরে' এটা যে মিথ্যে, তা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছেন, বিজ্ঞান প্রমাণ করেছেন___ সূর্য নয়, পৃথিবী ঘুরছে। তাহলে কুরআনে সূর্য সম্পর্কে যে কথা বলা হইছে আল্লার বাণী হিসেবে তা মিথ্যে ? সেই সাথে এটাও মিথ্যে আল্লা বলতে আসলেই কিছু নেই, এ সবই ভ্রম ? কিন্তু ইসলাম বিশ্বাসীরা এখনো কেন এটা মানতে পারছেন না ? তাঁরা আর কতোকাল জেগে ঘুমাবেন ? সত্য তো সত্যই, তাই নয় কী ? সত্য বলার দায়ে কারো কল্লা কেটে নিলে, কাউকে লৌহ ঘরে আটকে আগুনে পুড়ে মারলেই কী সত্য মিথ্যে হয়ে যায় ?
"আপনার প্রথম নিবন্ধ" প্রকল্প পাতায় ফিরুন।