ভবানীপুর শক্তিপীঠ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Reverted good faith edits by 180.211.189.136 (talk): Tone of Language. (TW)
ইংরেজী প্রবন্ধ en:Bhabanipur_Shaktipeeth এর অনুবাদ
২ নং লাইন:
 
== গুরুত্ব ==
[[চিত্র:Dakshayani.jpg|right|240px|thumb|সতীর শব স্কন্ধে শিব]]
সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর [[সতী]] মাতা দেহ ত্যাগ করলে [[শিব|মহাদেব]] সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করলে [[বিষ্ণু]] দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত হয় এবং এ সকল স্থানসমূহ [[শক্তিপীঠ]] হিসেবে পরিচিতি পায়।<ref>http://www.sacred-texts.com/tantra/maha/maha00.htm</ref> বিভিন্ন সূত্র মতে, [[করতোয়া নদী|করতোয়াতটের]] এ ভবানীপুরে সতী মাতা তারার বাম পায়ের অলঙ্কার বা বাম পাঁজর বা ডান চোখ বা বিছানা পড়েছিল বলে জানা যায়। ভবানীপুর বাংলাদেশ তথা [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] বিখ্যাত শক্তিপীঠসমূহের মধ্যে অন্যতম। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের ভক্তরা সারা বছর এখানে তীর্থে আসেন।
 
== শক্তি দেবী ও ভৈরব ==
এই [[শক্তিপীঠ|শক্তিপীঠের]] শক্তি দেবী '''অর্পণা''' এবং ভৈরব '''বামন''' নামে পরিচিত।
 
== লোককাহিনী ==
{{হিন্দুধর্ম}}
কথিত আছে যে এখানে একদা একজন শাঁখাওয়ালা (শাঁখা নির্মাতা) ভবানীপুর মন্দিরের ধারের গভীর জঙ্গলের পাশের একটি পুকুরের ধার অতিক্রম করছিলেন। এমন সময় সিঁথিতে সিঁদুর দেয়া একটি ছোট মেয়ে তার কাছে গিয়ে বলেছিল যে সে [[নাটোর জেলা|নাটোর]] রাজবাড়ির রাজকন্যা। সে শাঁখাওয়ালার কাছ থেকে এক জোড়া শাঁখা কিনল এবং বলল যে শাঁখাওয়ালা যেন [[নাটোরের মহারানী|নাটোরের মহারাণীকে]] বলেন যে প্রাসাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা ঝুড়ি থেকে তার শাঁখার দাম দিয়ে দেন। শাঁখাওয়ালা মেয়েটির বিনীত কথায় মুগ্ধ হয়ে তাকে শাঁখা দিয়ে দিলেন। শাঁখাওয়ালার মুখ থেকে ছোট মেয়েটির কথা শুনে মহারাণী লোকজন ও সেই শাঁখাওয়ালাকে নিয়ে মেয়েটির বলা জায়গায় গেলেন। শাঁখাওয়ালার প্রার্থনা শুনে মা ভবানী সেই শাঁখা-পুকুর থেকে তার দুই হাতের শাঁখা তুলে দেখালেন। মহারানী ও সেখানে উপস্থিত লোকজন এতে বিস্মিত হলেন এবং মা ভবানীর (মা তারার) মহিমা এই উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ল। এই কিংবদন্তির শাঁখা-পুকুরে তীর্থযাত্রীরা স্নান করেন।
 
১৭ ⟶ ১৯ নং লাইন:
 
== উত্সব/পার্বণ ==
[[মাঘী পূর্ণিমা]] (মাঘ-ফাল্গুন), [[রাম নবমী]] (চৈত্র-বৈশাখ), [[শারদীয় দুর্গোত্সব]], [[দীপান্বিতা শ্যামাপূজা]] এবং [[নবান্ন]] (অগ্রহায়ণ মাসে তিথি অনুযায়ী)।
 
==যোগাযোগ/যাতায়াত==
[[ঢাকা]] থেকে আগত ভক্তরা [[যমুনা সেতু]] অতিক্রম করার পর [[সিরাজগঞ্জ]] জেলার চান্দাইকোনা হয়ে একই মহাসড়কের ঘোঘা বটতলা বাস স্টপেজ থেকে ভ্যান অথবা স্কুটারে করে ভবানীপুর মন্দির প্রাঙ্গনে পৌঁছাতে পারেন। [[বগুড়া]] জেলার উত্তরে অবস্থিত জেলার ভক্তগণ বগুড়া জেলার শেরপুর এবং মির্জাপুর অতিক্রম করে ঘোঘা বটতলা বাস স্টপেজ হয়ে ভবানীপুর মন্দির প্রাঙ্গনে উপস্থিত হতে পারেন।
 
 
== মন্দির তত্ত্বাবধান ==
১৯৯১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভবানীপুর মন্দির সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির দ্বারা মা ভবানীর সম্পত্তিসমূহ তত্ত্বাবধানসহ মন্দিরের সমস্ত কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্ত্তু দেবোত্তর বা অর্পিত সম্পত্তি আইনের অপপ্রয়োগের কারণে মা ভবানীর অনেক সম্পত্তি অবৈধভাবে বেহাত হয়েছে বা বেহাত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।<ref>http://hrcbmdfw.org/photos/sree_sree_ma_bhabani_temple/images/618/original.aspx</ref><ref>http://hrcbmdfw.org/photos/sree_sree_ma_bhabani_temple/images/619/original.aspx</ref> এছাড়া ২০০৪ সালের ২রা অক্টোবর বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন কমিটির প্রাক্তন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী আততায়ীদের হাতে নিহত হওয়ার পর ৯ বছর ১১ মাস গত হলেও তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ ও দন্ডিত করা হয়নি।<ref>হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজ অফ ডালাস/ফোর্টওয়ার্থ এর [http://hrcbmdfw.org/blogs/rajshahi_division_news/archive/2006/05/07/353.aspx প্রতিবেদন]</ref> তদুপরি ২০০৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী তৎকালীনতত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন যৌথ বাহিনী (বিশেষবাংলাদেশ আইনসেনাবাহিনীর শৃংখলাকতিপয় বাহিনীসদস্য) ভক্তদের জন্য নির্মাণাধীন অতিথিশালা অবৈধভাবে ভেঙ্গে ফেলেন।<ref>এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনেরকমিশন (www.humanrights.asia) এর [http://www.humanrights.asia/news/forwarded-news/FA-006-2007 প্রতিবেদন]</ref><ref>html www.hindujagruti.org এর [http://www.hindujagruti.org/news/2746.html প্রতিবেদন]</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==