মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৬ নং লাইন:
আল-ইমাম আল-হাফেজ হুজ্জাতুল ইসলাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ আল-কুশিয়ারী আন-নায়সাবুরী ২০২/৮১৭ মতান্তরে ২০৬/৮২১ অথবা ২০৪/৮১৯ সনে খুরাসানের অন্তর্গত নায়সাবুরে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি নির্ভেজাল আরব বংশজাত । তার পরিবারের আদি বাসস্থান নায়সাবুর । শৈশবকাল হতেই তিনি হাদীস শিক্ষায় আত্মনিয়োগ করেন ।
 
== সফরসফরসমুহ ==
হাদীস শিক্ষার উদ্দেশে তৎকালীন মুসলিম জাহানের সবগুলি কেন্দ্রেই গমন করেন । বিশেষতঃ ইরাক, হিজায, মিশর প্রভৃতি অঞ্চল ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করে তথায় অবস্থানকারী হাদীসের শ্রেষ্ঠ উস্তাদ ও মুহাদ্দিসের নিকট হতে হাদীস শিক্ষা ও সংগ্রহ করেন । তিনি এ সকল স্থানের ইমাম বুখারীর (মৃত্যুঃ ২৫৬ হিঃ) অনেক উস্তাদ এবং অন্যদের নিকট থেকেও হাদিস শ্রবণ ও গ্রহণ করেন । ইমাম মুসলিম সর্বপ্রথম ২১৮/৮১৩ সনে হাদিসের দারসে বসতে শুরু করেন । ইয়াহইয়া আত-তামীমী আন-নায়সাবুরী, আল-কা’নাবী, আহমাদ ইবনে ইউনুস, ইসমা’ঈল ইবনে আবী উইয়াস, সা’ঈদ ইবনে মানসূর, আউন ইবনে সাল্লাম, আহমাদ ইবনে হাম্বল – এ সকল প্রখ্যাত হাদিসবিদ ছাড়া আরও অনেকের নিকট তিনি হাদিসের পাঠ গ্রহণ করতেন । তাছাড়া ইমাম শাফি’ঈ-এর শাগরিদ হারমালা এবং প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইসহাক ইবনে রাহুইয়াহ-র নিকট থেকেও তিনি হাদিস শোনেন । তিনি একাধিকবার বাগদাদ সফর করেন । তাঁর সর্বশেষ বাগদাদ সফর ছিল হিজরী ২৫৯ সনে । বাগদাদের হাদিসবিদরা তাঁর নিকট থেকে শ্রুত হাদিস বর্ণনা করেছেন।
 
৮৩ নং লাইন:
ইমাম মুসলিম ২৬১/৮৭৫ সনের ২৫শে রজব রোববার নায়সাবূরে ইন্তেকাল করেন । নায়সাবূরের শহরতলী নাসরাবাদে ২৬শে রজব সোমবার তাঁকে দাফন করা হয় । তাঁর জন্মের সন সম্পর্কে মতভেদ থাকায় মৃত্যুকালে তাঁর সঠিক বয়স সম্পর্কেও মতপার্থক্য দেখা যায় । ইবনে হাজার মুসলিমের মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে একটি বিবরণ প্রদান করেছেন । মুসলিমের জন্য হাদিস বিষয়ক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । সেই মজলিসে একটি হাদিস আলোচিত হয় । হাদিসটি মুসলিমের জানা ছিল না । মজলিস শেষে বাড়ি ফিরে রাতে এক ঝুরি খুরমা সামনে নিয়ে হাদিসটি তালাশ করতে বসেন । একটি একটি করে খুরমা মুখে দিচ্ছেন আর হাদিসটি অনুসন্ধান করছেন । এভাবে সকাল হয়ে যায়, খুরমাও শেষ হয় এবং হাদিসটিও তিনি পেয়ে যান । এই অতিরিক্ত খুরমা ভক্ষণই তাঁর মৃত্যুর বাহ্যিক কারণ ।
 
== ঈমামইমাম মুসলিম সম্বন্ধে অনান্য মুসলিম মনিষীর বক্তব্য ==
 
[[হাকেম]] বলেন, ‘মুসলিম ছিলেন দীর্ঘাকৃতির । মাথার চুল ও দাড়ি ছিল সাদা । পাগড়ির একটি দিক দু’কাধের মাঝখানে ছেড়ে দিতেন । তিনি ছিলেন কাপড়ের ব্যবসায়ী’ ।