চিত্রা হরিণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
দ্ব্যর্থতা নিরসন
মামুলি সম্পাদনা
২৭ নং লাইন:
}}
 
'''চিত্রা হরিণ''', '''চিত্রল হরিণ''', '''চিত্রযার মৃগ'''বৈজ্ঞানিক বানাম '''চিতল''' (''Axis axis'') সম্ভবত উপমহাদেশীয় [[হরিণ]] প্রজাতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর।দৃষ্টিনন্দন। এর অন্যান্য নাম '''চিত্রল হরিণ''', '''চিত্র মৃগ''', '''চিতল''' ইত্যাদি।, এর ইংরেজী chital (বা cheetal) নামটি এসেছে বাংলা ''চিত্রা'' বা ''চিত্রল'' থেকে, যার অর্থ ''ফোঁটা বা ছোপযুক্ত''। [[ভারত]], [[বাংলাদেশ]], [[শ্রীলঙ্কা]], [[নেপাল]] ও [[ভুটান|ভুটানের]] বনাঞ্চলগুলো চিত্রা হরিণের স্থায়ী আবাসস্থল। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিত্রা হরিণ ছাড়া হয়েছে। এর দুটি উপপ্রজাতি রয়েছে- ''Axis axis axis'' (ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে দেখা যায়) ও ''Axis axis ceylonensis'' ([[শ্রীলঙ্কান চিত্রা হরিণ]], কেবল শ্রীলঙ্কায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের [[টেক্সাস]] অঙ্গরাজ্যে ছাড়া হয়েছে)।
 
== আবাসস্থল ==
 
ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানে চিত্রা হরিণ দেখা যায়। ভারতের [[আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ]] ও বাংলাদেশের [[নিঝুম দ্বীপ|নিঝুম দ্বীপে]] চিত্রা হরিণ অবমুক্ত করা হয়েছে।<ref name="নিঝুম">[http://www.nishorga.com/article/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE], '''চিত্রা হরিণ: সংকট ও সম্ভবনা''', সীমান্ত দীপু, ২৫ জুন, ২০০৯।</ref> এছাড়া [[আর্জেন্টিনা]], [[আর্মেনিয়া]], [[অস্ট্রেলিয়া]], [[ইউক্রেন]], [[উরুগুয়ে]], [[ব্রাজিল]], [[ক্রোয়েশিয়া]], [[পাকিস্তান]], [[পাপুয়া নিউগিনি]], [[মলদোভা]] ও [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] (টেক্সাস ও [[হাওয়াই]]) এদের অবমুক্ত করা হয়েছে।<ref name=iucn/>
 
== শারীরিক গঠন ==
 
চিত্রা হরিণের দেহ লালচে বাদামী লোমযুক্ত চামড়া দ্বারা আবৃত যাতে সাদা সাদা ফোঁটা দেখা যায়। ফোঁটাগুলো ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত না থেকে আনুভূমিক রেখার উপর অনিয়মিতভাবে বিন্যাস্ত রয়েছে বলে মনে হয়। গলার নীচে, পেট, লেজের নীচে ও চার পায়ের ভেতরের চামড়ার বর্ণ সাদা। হাঁটু থেকে পায়ের খুর অবধি হাল্কা সাদা বা ধুসর রং রয়েছে।এদের কাঁধ বরাবর একটি গাঢ় রেখা পিঠ দিয়ে লেজ পর্যন্ত চলে গিয়েছে। পুরুষ হরিণের রেখাটি অধিক দৃশ্যমান আর গাঢ় হয়।
 
৪৪ ⟶ ৪২ নং লাইন:
== খাদ্যাভ্যাস ==
 
ঘাস, গুল্ম আর গাছের পাতা চিত্রা হরিণের প্রধান খাদ্য। গাছের বাকল ও মূলও এরা খায়। [[বানর]] ও [[হনুমান]] অনেকসময় গাছের ডালপালা ও ফল নীচে ফেলে আর এরা তা খায়। এরা পেছনের দুপায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ায় আর গাছের নিম্নবর্তী ডালগুলো থেকে কচি পাতা ছিঁড়ে খায়। পুরুষ হরিণের ক্ষেত্রে এ অভ্যাসটা বেশি দেখা যায়। অনেকসময় এরা এদের পড়ে যাওয়া শিংও খায়। [[সুন্দরবন|সুন্দরবনের]] চিত্রা হরিণ মূলত কেওড়া, বাইন, গেওয়া, ওড়া, গরান, এবং কাঁকড়া গাছের ছোট চারা ও কচি পাতা এমনকি ছাল (বাকল) খেয়ে থাকে।
 
৫০ ⟶ ৪৭ নং লাইন:
 
== প্রজনন ==
 
চিত্রা হরিণের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে চিত্রা হরিণ বংশবৃদ্ধি করে। তবে বর্ষার পূর্বে যখন সবুজ ঘাসের সমারোহ ঘটে এবং গাছের চারা ও লতা-পাতায় বন ছেয়ে যায় তখনই বাচ্চা প্রসবের প্রকৃষ্ট সময়।প্রজনন ঋতুতে পুরুষ চিত্রা হরিণ উত্তেজিত হয় ও দলে একাধিক পুরুষ হরিণ থাকলে তারা একের সাথে অপরের শিং ঠেকিয়ে দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। প্রচন্ড লড়াইয়ের সময় অনেক সময় শিং ভেঙে যায় বা খসে পড়ে।
 
৫৮ ⟶ ৫৪ নং লাইন:
 
== আরো দেখুন ==
 
* [[সম্বর হরিণ]]
* [[প্যারা হরিণ]]
* [[মায়া হরিণ]]
* [[বারশিঙ্গা]]
* [[সুন্দরবন]]
 
== তথ্যসূত্র ==