দোয়েল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Devkanya (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
কিছু সম্পাদনা
১৯ নং লাইন:
}}
 
'''দোয়েল''' প্যাসেরিফরম (অর্থাৎ [[চড়াই]]-প্রতিম) বর্গের অন্তর্গত একটি পাখি। [[বাংলাদেশ]] ও [[ভারত|ভারতের]] জনবসতির আশেপাশে দেখতে পাওয়া ছোট পাখীদের মধ্যে দোয়েল অন্যতম। নানা রকম সুরে ডাকাডাকির জন্য দোয়েল সুপরিচিত। অস্থির এই পাখীরা সর্বদা গাছের ডালে বা মাটিতে লাফিয়ে বেড়ায় খাবারের খোঁজে। কীট পতঙ্গ, ছোট ছোট শুঁও পোকা এদের প্রধান খাদ্য। কখনো কখনো সন্ধ্যার আগে আগে এরা খাবারের খোঁজে বের হয়। পুরুষ দোয়েল স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য মিষ্টি সুরে ডাকাডাকি করে। তবে স্ত্রী দোয়েলও পুরুষ দোয়েলের উপস্থিতিতে ডাকতে পারে। এটি [[বাংলাদেশের]] জাতীয় পাখি। এটি একটি আকর্ষনীয় পাখি । সাদা ও কালোর সংমিশ্রণ পাখিটির গায়ের রং । বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বত্রই দোয়েল দেখা যায় ।
 
বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বত্রই দোয়েল দেখা যায় । এটি [[বাংলাদেশের]] জাতীয় পাখি। এটি একটি আকর্ষর্ণীয় পাখি ।
[[চিত্র:A male Oriental magpie robin, in Kochbihar, India.JPG|thumbnail|পুরুষ দোয়েল,ভারত]]
 
দোয়েলের বৈজ্ঞানিক নাম ''Copsychus saularis'' । উল্লেখযোগ্য যে এই পাখির বাংলা নামটির সঙ্গে ফরাসী ও ওলন্দাজ নামের মিল আছে। ফরাসী ভাষায় একে বলা হয় Shama dayal এবং ওলন্দাজ ভাষায় একে বলা হয় Dayallijster।
 
== প্রাপ্তিস্থান ==
নাতিশীতোষ্ণ দক্ষিণ এশিয়ায় মূলত: [[বাংলাদেশ]], [[ভারত]], [[পাকিস্তান]], [[শ্রীলংকা]], [[ইন্দোনেশিয়া]], [[মালয়েশিয়া]], [[চীন|চীনের]] দক্ষিণাঞ্চল ও [[ফিলিপাইন|ফিলিপাইনে]] এদের পাওয়া যায়। সাধারণত কাঠসমৃদ্ধ বন, চাষাবাদকৃত জমির আশেপাশে ও জনবসতিতে মানুষের কাছাকাছি এদের দেখতে পাওয়া যায়।
৩০ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
[[চিত্র:Oriental Magpie Robin (juvenile).jpg|thumb|অপ্রাপ্তবয়স্ক দোয়েল]]
দক্ষিণ এশিয়ায় দোয়েলের প্রজননকাল মার্চ থেকে জুলাই; আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জানুয়ারি থেকে জুলাই। প্রজনন সময় পুরুষ দোয়েলের শরীরের রঙ উজ্জ্বলতর হয়। গাছের ডালে বসে স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য হরেকরকম সুরে ডাকাডাকি করে। ডিম দেয়ার এক সপ্তাহ আগে এরা গাছের কোটরে বা ছাদের কার্ণিশে বাসা বানায়। সাধারণত ৪/৫টি ডিম দেয়। ডিমের রং ফিকে নীলচে-সবুজ, তার উপর বাদামী ছোপ থাকে। স্ত্রী দোয়েল ডিমে তা দেয়; ৮ থেকে ১৪ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। প্রজননকালে পুরুষ দোয়েল আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তখন বাসার আশেপাশে অন্য পাখিদের আসতে দেয়না।
 
== স্বভাব-প্রকৃতি ==
নানা রকম সুরে ডাকাডাকির জন্য দোয়েল সুপরিচিত। অস্থির এই পাখীরা সর্বদা গাছের ডালে বা মাটিতে লাফিয়ে বেড়ায় খাবারের খোঁজে। কীট পতঙ্গ, ছোট ছোট শুঁও পোকা এদের প্রধান খাদ্য। কখনো কখনো সন্ধ্যার আগে আগে এরা খাবারের খোঁজে বের হয়। পুরুষ দোয়েল স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য মিষ্টি সুরে ডাকাডাকি করে। তবে স্ত্রী দোয়েলও পুরুষ দোয়েলের উপস্থিতিতে ডাকতে পারে।
 
== আরো দেখুন ==