হরিবংশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৭ নং লাইন:
 
হরিবংশ পর্বে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি এবং কৃষ্ণের জন্ম পর্যন্ত পৌরাণিক সূর্য ও চন্দ্রবংশীয় রাজাদের বর্ণনা পাওয়া যায়। বিষ্ণু পর্বে মহাভারতের মূল ঘটনার আগে পর্যন্ত কৃষ্ণের জীবন বর্ণিত হয়েছে।<ref name=mw426/> ভবিষ্য পর্বে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির একটি বিকল্প তত্ত্ব, শিব ও বিষ্ণুর স্তোত্রাদি এবং [[কলিযুগ|কলিযুগের]] বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।<ref>Maurice Winternitz (1981), History of Indian Literature, Vol. 1, Delhi, Motilal Banarsidass, ISBN 978-0836408010, pages 432-435</ref> হরিবংশে বিষ্ণুর অবতার হিসেবে কৃষ্ণের উৎস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি পাওয়া যায়। তবে এই পুরাণ আগে লেখা কোনো গ্রন্থ থেকে অনুপ্রাণিত কিনা বা কৃষ্ণের উৎস-সংক্রান্ত তথ্যের অন্যতম আকর [[ব্রহ্মপুরাণ|ব্রহ্মপুরাণের]] সঙ্গে এর কী সম্পর্ক তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতভেদ আছে।<ref>Ruben 115.</ref>
==কালপঞ্জি==
{{stack begin | float = left}}
{{Location map | India Gujarat
| alt = Dwarka is on sea coast
| float = left
| caption =
| label = Dwarka
| lat_deg = 22.23
| lon_deg = 68.97
}}
[[File:Dwarka1.jpg|thumb|left|230px|[[দ্বারকা]] হল হরিবংশের একাধিক অধ্যায়ের প্রেক্ষাপট।<ref>Manmatha Nath Dutt, [https://archive.org/stream/Vishnupurana-English-MnDutt#page/n15/mode/2up Vishnu Purana], Harivamsa (1896), pages 283-286</ref> শহরটি সমুদ্রতীরবর্তী বলে বর্ণিত। এটি অধুনা [[গুজরাত]] রাজ্যের অন্তর্গত; উনবিংশ শতাব্দীর একটি ছবিতে দ্বারকা (নিচে)।]]
{{stack end}}
[[পুরাণ|পুরাণের]] "পঞ্চলক্ষণ" প্রথার দুটি হরিবংশে দেখা যায়। একটি হল "বংশ" বা রাজাবলি প্রথা। অপরটিতে রাখাল বালক হিসেবে কৃষ্ণের জীবন বর্ণিত হয়েছে।
 
হরিবংশের আখ্যানভাগ বেশ জটিল। এর কিছু কিছু অংশ খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় বা প্রথম শতাব্দীতে রচিত হয় বলে অনুমান করা হয়। হরিবংশের উৎস জানা যায় না। তবে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর আগেই হরিবংশ মহাভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। কারণ, "কবি অশ্বঘোষ মহাভারতের শ্লোক বলে কয়েকটি শ্লোক উদ্ধৃত করেছেন। এই শ্লোকগুলি শুধু হরিবংশেই পাওয়া যায়।" (দত্ত, ১৮৫৮)
 
হপকিনসের মতে, হরিবংশ মহাভারতের সর্বশেষ পর্ব। হরিবংশে [[রাসলীলা|রাসলীলার]] উল্লেখ পাওয়া যায়। তাই হাজরার মতে হরিবংশ খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের রচনা। তিনি মনে করেন, [[বিষ্ণুপুরাণ]] ও [[ভাগবত পুরাণ]] যথাক্রমে খ্রিস্টীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতাব্দীতে রচিত। দীক্ষিতের মতে, [[মৎস্য পুরাণ|মৎস্য পুরাণের]] রচনাকাল খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী। হরিবংশে উল্লিখিত কৃষ্ণের জীবনকাহিনিগুলি তুলনা করলে বোঝা যায় এগুলি পূর্বোক্ত গ্রন্থগুলি থেকে গৃহীত। তাই বিষ্ণুপর্ব ও ভবিষ্যপর্বের রচনাকাল সম্ভবত তৃতীয় শতাব্দী।
 
হরিবংশ পর্বের রচনাশৈলী ও বিষয়বস্তু বিষ্ণুপর্ব ও ভবিষ্য পর্বের পূর্ববর্তী সময়ে রচিত। [[অশ্বঘোষ]] এই পর্ব থেকেই শ্লোক উদ্ধৃত করেছিলেন। সেই হিসেবে হরিবংশ পর্বটিকে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে রচিত বলা চলে।
==পাদটীকা==
<references/>