নারায়ণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৯ নং লাইন:
পরম উপাস্যের সর্বব্যাপী সত্ত্বাটি "নারায়ণ" নামে পরিচিত। তিনিই [[ঋগ্বেদ|ঋগ্বেদের]] [[পুরুষসূক্ত|পুরুষসূক্তে]] উল্লিখিত [[পুরুষ (হিন্দু দর্শন)|পুরুষ]]। [[যজুর্বেদ|যজুর্বেদের]] [[নারায়ণ সূক্ত|নারায়ণ সূক্তের]] পঞ্চম শ্লোকে নারায়ণকে ব্রহ্মাণ্ডের ভিতরে ও বাইরের সব কিছুর মধ্যে পরিব্যাপ্ত সত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। "নারায়ণ" শব্দের অর্থ "যিনি জলের উপর শয়ন করেন।" হিন্দুশাস্ত্র মতে, জল প্রথম সৃষ্ট বস্তু, তাই সৃষ্টিকর্তা নারায়ণ জলেই বাস করেন।<ref>Manu Smruti 1:10 " The Law Code of Manu", Published by Oxford University Press, ISBN 0-19-280271-2, page 11, also, The Laws of Manu in the 21st Century [http://www.srimatham.com/storage/docs/manu-smriti.pdf] by Pt. Sri Rama Ramanuja Acharya, page 6</ref> এই জন্য হিন্দু শিল্পকলায় নারায়ণকে প্রায়শই জলের উপর অবস্থানকারী মূর্তিতে চিত্রিত করা হয়। সংস্কৃত ভাষায় "নর" শব্দের অর্থ মানুষ। তাই "নারায়ণ" শব্দের অন্য অর্থ হল, "মানুষ যেখানে আশ্রয় গ্রহণ করে।"
 
[[ভাগবত পুরাণ|ভাগবত পুরাণে]] নারায়ণকে বলা হয়েছে [[পরব্রহ্ম]] বা সর্বোচ্চ উপাস্য। এই পুরাণ মতে, তিনি অসংখ্য জগৎ সৃষ্টি করে প্রতিটি জগতে জগদীশ্বর রূপে প্রবেশ করেছেন।<ref>Bhagavata Purana Canto 2 Chapter 10 Verse 10</ref> [[ব্রহ্মা]] রূপে [[রজঃ]] [[গুণ (হিন্দু দর্শন)|গুণ]] অবলম্বন করে তিনি চোদ্দটি জগৎ সৃষ্টি করেছেন। [[বিষ্ণু]] রূপে [[সত্ত্ব]] গুণ অবলম্বন করে তিনি সেগুলি রক্ষা করেন এবং [[শিশিব]] রূপে [[তমঃ]] গুণ অবলম্বন করে তিনি তা ধ্বংস করেন।<ref>Bhagavata Purana Canto 2 Chapter 5 Verse 16-18</ref><ref>Bhagavata Purana Canto 11 Chapter 4 Verse 5</ref><ref>Vishnu Purana 1.2.61-63</ref> এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, [[ত্রিমূর্তি]] ও [[নারায়ণ]] অভিন্ন।
 
নারায়ণের অপর নাম "মুকুন্দ"। এই শব্দের অর্থ, যিনি জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি অর্থাৎ [[মোক্ষ]] প্রদান করেন।<ref>Name No. 515 in Vishnu Sahasranama</ref>