অ্যাস্কি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Amire80 (আলোচনা | অবদান)
Amire80 ব্যবহারকারী অ্যাস্‌কি পাতাটিকে অ্যাস্কি শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন: making it look like a proper ligature
Amire80 (আলোচনা | অবদান)
remove the joiner from the article text
১ নং লাইন:
{{Unreferenced|date=মার্চ ২০১০}}
 
[[চিত্র:ASCII full.svg|frame|মূল অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি কোডে ৯৫টি ছাপারযোগ্য অক্ষর রয়েছে ৩২(দশমিক) থেকে ১২৬(দশমিক) এর মধ্যে।]]
'''অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি''' বা '''ASCII''', আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা অনু্যায়ী /'æski/([http://www.m-w.com/cgi-bin/audio.pl?ascii001.wav=ASCII|audio])। এর পূর্ণরূপ হল '''American Standard Code for Information Interchange'''। [[কম্পিউটার]] ও বিভিন্ন ধরনের টেলিযোগাযোগের যন্ত্র সহ অন্যান যেসব যন্ত্রে বর্ণভিত্তিক (Text Based) ইন্টারফেস দরকার হয় তাতে ব্যবহারের জন্য [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি ভাষার]] উপর ভিত্তি করে তৈরি করা একধরনের character encoding এই অ্যাস্‌কি।অ্যাস্কি। [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]] ছাড়াও অন্যান ভাষার সুবিধা দিতে পারে যেসব আধুনিক character encoding তাদেরও অনেকে ঐতিহাসিক দিক থেকে অ্যাস্‌কিরঅ্যাস্কির সাথে কোনভাবে সম্পর্কিত।
 
অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি নিয়ে প্রথম কাজ শুরু হয় ১৯৬০ সালে, ১৯৬৩ সালে প্রথম সংষ্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ তে বড়সড় ধরনের পরিমার্জন করা হয়। সর্বশেষ সংষ্করণ প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৬ সালে। সর্বশেষ প্রকাশিত সংষ্করণ অনুযায়ী অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি কোডের ধারণক্ষমতা ১২৮ টি বর্ণ, তার মধ্যে ৯৫টি ছাপারযোগ্য বর্ণ এবং ৩৩টি নিয়ন্ত্রণ সংকেত (control characters) হিসেবে ব্যাবহৃত হয়।
 
অন্যান্য সকল বর্ণ প্রকাশকারী কম্পিউটার কোডের মত অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি কোডেও নির্দিষ্ট কিছু বিট প্যাটার্নের মাধ্যমে একটি করে বর্ণ প্রকাশ করা হয়। অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি কোডে প্রতিটি বর্ণ ৭ বিট দীর্ঘ, কাজেই সর্বমোট ১২৮টি বর্ণ প্রকাশ করা সম্ভব। কম্পিউটারে (বা অন্যকোন যন্ত্রে) একএকটি বর্ণ সংরক্ষণ করা হয় ০ থেকে ১২৭(দশমিক) পর্যন্ত সংখ্যা হিসেবে । মানুষের লৈখিক ভাষার একটি বর্নকে প্রকাশ করার জন্য যেই অক্ষর গুলো ব্যাবহৃত হয় তার একটি চিত্রও সংরক্ষণ করা হয়, একে বলে গ্লিফ (glyph)। কম্পিউটারের মনিটরে বা অন্যকোন যন্ত্রের পর্দায়
দেখানর সময় ০ থেকে ১২৭ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর সাথে সম্পৃক্ত গ্লিফটিকে দেখান হয়। অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি কোডে ০ থেকে ৩১ পর্যন্ত এবং ১২৭- এই সংখ্যাগুলো ব্যাবহৃত হয় নিয়ন্ত্রন সংকেত হিসেবে। অবশিষ্ট ৩২ থেকে ১২৬ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো ব্যাবহৃত হয় ছাপারযোগ্য বর্ণ সমূহের জন্য।
 
== ইতিহাস ==
অ্যাস্‌কিরঅ্যাস্কির প্রচলন যখন শুরু হয়, তখন অধিকাংশ কম্পিউটারে আভ্যন্তরীন data structure হিসেবে ৮ বিট দীর্ঘ বাইট বা অষ্টক ব্যবহৃত হত। একটি অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি অক্ষর সংরক্ষণের পরে অবশিষ্ট অষ্টম বিট তখন ব্যবহার করা হত প্যারিটি বিট হিসেবে। যেসব যন্ত্রে প্যারিটি পরীক্ষার ব্যাবস্থা ছিলনা তারা অষ্টম বিটে ০ রেখে দিত।
 
== অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি নিয়ন্ত্রণ সংকেত সমূহ ==
অ্যাস্‌কিতেঅ্যাস্কিতে ০ থেকে ৩১ সংখ্যাগুলো এবং ১২৭ কে ব্যবহার করা হয় নিয়ন্ত্রণ সংকেত হিসেবে। এদের জন্য কোন ছাপারযোগ্য বর্ণ নেই। ছাপার যোগ্য বর্ণগুলোকে ঠিকমত সাজিয়ে প্রকাশ করা ও অন্যান আনুষঙ্গিক কাজের জন্য যেমন, backspace ইত্যাদি প্রকাশ করতে এসব সংকেত ব্যবহৃত হয়।
 
{| class="wikitable" style="text-align: center"
২২৫ নং লাইন:
|}
 
== ছাপারযোগ্য অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি বর্ণসমূহ ==
ছাপারযোগ্য অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি বর্ণসমূহের মধ্যে রয়েছে ইংরেজি বর্ণমালার ছোট হাতের ও বড় হাতের বর্ণসমূহ, ০ থেকে ৯ পর্যন্ত অঙ্ক, বিরাম চিহ্ন, ফাঁকা স্থান (space) ইত্যাদি।
 
{| class="wikitable" style="text-align: center; float:left;"
৪৩৪ নং লাইন:
 
== গঠনগত বৈশিষ্ট্য ==
* ০ থেকে ৯ পর্যন্ত অঙ্কগুলোকে চার বিটের বাইনারিতে রূপান্তর করে তার সামনে ০০১১ জোড়া দিয়ে দিলে তাদের অ্যাস্‌কিঅ্যাস্কি প্রতীক পাওয়া যায়। এর ফলে BCD থেকে অ্যাস্‌কিতেঅ্যাস্কিতে রূপান্তর করা সহজ হয়েছে।
* ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর ও ছোট হাতের অক্ষরের মধ্যে পার্থক্য রাখা হয়েছে মাত্র একটি বিটে। বড় হাতের অক্ষরগুলোর সপ্তম বিটে ০ এবং ছোট হাতের অক্ষরগুলোর সপ্তম বিটে ১ রয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র একটি বিট পরিবর্তনের মাধ্যমেই বড় হাতের অক্ষরকে ছোট হাতের অক্ষরে ছোট হাতের অক্ষর থেকে বড় হাতের অক্ষরে রূপান্তর করা সম্ভব।