ব্যবহারকারী:আশিক/খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আশিক (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
আশিক (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১০৫ নং লাইন:
 
== নামগত উৎপত্তি ==
রাশিয়া নামটি রাশ নামক মধ্যযুগীয় একটি রাষ্ট্র থেকে এসেছে যেখানকার অধিকাংশ জনগণই ছিল ইস্ট স্লাভ গোত্রের অন্তর্গত। পরবর্তী ইতিহাসে এই নামটি আরও বিশিষ্ট হয়ে ওঠে দেশটিকে এর জনগন "Русская Земля" (russkaya zemlya) বলে ডাকতো যার অর্থ দাড়ায় রাশিয়ান ভূমি বা রাশ এর ভূমি। রাশিয়া ও এই রাষ্ট্র হতে উদ্ভূত রাষ্ট্রের নামের পার্থক্য করারা জন্য আধুনিক ইতিহাসে একে কিয়েভান রাশ বলে ডাকা হয়। রাশ নামটি রাশ নামের একটি গোত্র থেকে এসেছে যারা ছিল মূলত ভারাঞ্জিয়ানদের একটি দল (সম্ভবত সুইডিশ ভাইকিং) এবং এরাই প্রথম রাশ (Русь) নামে একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। রাশ শব্দটির পুরনো ল্যাটিন ভাষার একটি সংস্করণ ছিল রুথেনিয়া যেটি দক্ষিন ও পশ্চিম রাশে বেশি ব্যবহার করা হত এবং এই অঞ্চলটা ক্যাথলিক ইউরোপ সংলগ্ন ছিল। দেশটির বর্তমান নাম Россия (Rossiya) কিয়েভান রাশ এর বাইজান্টাইন গ্রীক শব্দ Ρωσσία Rossía (বানান- Ρωσία) (Rosía উচ্চারিত হবে [roˈsia]) থেকে এসেছে। রাশিয়ার অধিবাসীদের রাশিয়ান (Rossiyane) বলা হয়।
 
== ইতিহাস ==
===প্রাথমিক কাল===
[[File:IE expansion.png|thumb|right|[[Kurgan hypothesis]]: South Russia as the [[urheimat]] of [[Proto-Indo-Europeans|Indo-European peoples]]]]
প্রাগৈতিহাসিক সময়ে দক্ষিণ রাশিয়ার অনেক অঞ্চল বিভিন্ন যাযাবর উপজাতিদের আবাসস্থল ছিল। প্রাচীন এসব সভ্যতার অবশিষ্টাংশ রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ইপাতভ, সিনাসথা আরকাইম এবং প্যাজিরিকে আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব অঞ্চলে বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহের চিহ্ন যাযাবর জাতিদের উপস্থিতি নির্দেশ করে। প্রাচীনশাস্ত্র অনুযায়ী রাশিয়ার পন্টিক প্রান্তর সাইথিয়া নামে পরিচিত ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতক থেকে প্রাচীন গ্রীক বণিকরা টানাইস ও ফানাগরিয়া অঞ্চলে বাজার স্থাপন করেছিল। রোমানরা কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম অংশে বসতি স্থাপন করেছিলো যেখানে তাদের সম্রাট পূর্বদিকে রাজ্য বিস্তার করেছিলো। তৃতীয় থেকে চতুর্থ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে আধা-কাল্পনিক রাজ্য অইয়াম এর অস্তিত্ব ছিল। পরে হানরা রাজ্যটি জয় করে নেয়। তৃতীয় ও ষষ্ঠ শতকের মাঝে গ্রীক উপনিবেশের ফলে বস্পরিয়ান নামক গ্রীক রাজ্য সৃষ্টি হয়। এই গ্রীক রাজ্যটি যুদ্ধপ্রিয় অনেক জাতি যেমন হান ও ইউরেশীয় আভারসদের দ্বারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তুর্কী রাজা খাজার ১০ম শতক পর্যন্ত কাস্পিয়ান ও ব্ল্যাক সীর মধ্যবর্তী ভলগা নদীর নিম্ন অববাহিকার অঞ্চলগুলি শাসন করেন। আধুনিক রাশিয়ানদের পূর্বপুরুষরা স্লাভিক গোত্রের অন্তর্ভুক্ত যাদের বাসস্থান ছিল কাষ্ঠনির্মিত নগরী পিন্সক মার্সে বলে কিছু বিশিষ্টজন মনে করেন। ইস্ট স্লাভরা রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে দুইভাগে প্রবেশ করে। একদল কিয়েভ থেকে বর্তমান সুজদাল ও মরুমের দিকে ও আরেকদল পলতস্ক থেকে নভোগোরদ ও রোস্তভে প্রবেশ করে। সপ্তম শতাব্দীর পরে ইস্ট স্লাভরা পশ্চিম রাশিয়াতে বিস্তীর্ণ জনবসতি গড়ে তোলে। তারা ধীরে ধীরে স্থানীয় ফিন-আজ্রিক জাতিদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। স্থানীয় ফিন-আজ্রিক জাতিদের মধ্যে অন্তুর্ভুক্ত ছিল মেরিয়া, মুরমিয়ান ও মেশ্ছের গোত্র।
 
===কিয়েভান রাশ===
[[File:Kievan Rus en.jpg|thumb|Kievan Rus' in the 11th century]]
নবম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত ইস্ট স্লাভদের রাজ্যের ইতিহাস ভারাঞ্জিয়ানদের আগমনের সাথে মিলে যায় যারা মূলত ছিল বাল্টিক সাগরের অঞ্চল থেকে আসা বণিক, যোদ্ধা ও ঔপনিবেশিক। প্রাথমিকভাবে তারা ছিল স্ক্যান্ডেনেভিয়ান ভাইকিংস যারা পূর্ব বাল্টিক সাগর থেকে কাস্পিয়ান ও ব্ল্যাক সি পর্যন্ত জলপথ বরাবর রাজ্য প্রসারিত করেছিলো। পূর্ববর্তী ইতিহাস থেকে জানা যায় যে ৮৬২ সালে নভোগোরদের শাসক হিসেবে রাশদের ভিতরে রুরিক নামে একজন নির্বাচিত হয়েছিল। ৮৮২ সালে তার উত্তরাধিকারীরা অলেগ দক্ষিণদিকে যান ও কিয়েভ জয় করেন যা পূর্বে খাজারকে কিয়েভান রাশ নামে রাজস্ব হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে অলেগ, রুরিকের পুত্র ইগর ও ইগরের পুত্র ভিয়াতস্লাভ স্থানীয় ইস্ট স্লাভদের দমন করে কিয়েভান শাসনের অন্তর্ভুক্ত করেন। তারা খাজার খাগানাত জাতিকে ধ্বংস করেন ও বাইজান্টাইন ও পারস্য সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। দশম থেকে একাদশ শতাব্দীর ভিতর কিয়েভান রাশ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে গড়ে ওঠে। ভ্লাদিমির দি গ্রেট (শাসনকাল ৯৮০-১০১৫) ও তার পুত্র বিজ্ঞ ইয়ারস্লাভ (শাসনকাল ১০১৯-১০৫৪) এর শাসনামলটি কিয়েভের স্বর্ণযুগ বলা হয়। এসময়ে গোঁড়া খ্রিস্টান নীতি চালু হয় ও ইস্ট স্লাভ কতৃক লিখিত প্রথম বিধিবদ্ধ আইন দি রুস্কায়া প্রাভদা তৈরি করা হয়।
 
 
 
 
== ইতিহাস ==
== রাজনীতি ==
== প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ==