মির্জা গালিব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১ নং লাইন:
{{Infobox Writer <!-- for more information see [[:Template:Infobox Writer/doc]] -->
| name = মূঘল আমলের [[উর্দূ]] কবি<br /> '''মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালিব'''
| color = #B0C4DE
 
৪০ নং লাইন:
গালিব কখনো তার জীবিকার জন্য কাজ করেননি। সাড়া জীবনই তিনি হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অথবা ধার কর্য করে নতুবা কোনো বন্ধু উদারতায় জীবন যাপন করেন। তার খ্যাতি আসে তার মৃত্যুর পর। তিনি তার নিজের সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি বেঁচে থাকতে তার গুণকে কেউ স্বীকৃতি না দিলেও, পরবর্তী প্রজন্ম তাকে স্বীকৃতি দিবে। ইতিহাস এর সত্যতা প্রমান করেছে। উর্দু কবিদের মধ্যে তাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি লেখা হয়েছে।
 
== কবি জীবন ==
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
গালিব [[১৭৯৭]] সালে আগ্রায় জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পূর্বপুরুষরা আগ্রার আদি বাসিন্দা ছিলেন না৷ তাঁর দাদা কাকান বেগ খান সামরিক উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি হিসেবে সমরকন্দ থেকে ভারতে আগমণ করার পর বিভিন্ন সময়ে [[পাঞ্জাব|পাঞ্জাবের]] গভর্ণর, [[মোগল]] [[সম্রাট শাহ আলম]] ও জয়পুরের মহারাজার অধীনে সামরিক দায়িত্ব পালন করেন৷ কাকান বেগের বিরাট পরিবারের মধ্যে তার দুই পুত্র আবদুল্লাহ বেগ খান ও নসরুল্লাহ বেগ খান তার পদাংক অনুসরণ করে সৈনিকের পেশা গ্রহণ করেছিলেন বিভিন্ন শাসকের অধীনে৷ অষ্টাদশ শতাব্দীর ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতে এই পেশা অত্যন্ত অনিশ্চিত ও বিপজ্জনক ছিল৷ গালিবের পিতা আবদুল্লাহ বেগ খানের মৃত্যুর সময় তার বয়স মাত্র চার বছর৷ ভাই এর পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নসরুল্লাহ বেগ খান৷ ১৮০৬ সালে নসরুল্লাহ খান মারাঠাদের অধীনে আগ্রা দুর্গের অধিনায়ক হন এবং এক পর্যায়ে বৃটিশের কাছে দুর্গ সমর্পণ করলে তিনি বৃটিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুরস্কৃত হন৷ চাচার মৃত্যুর সময়ে গালিবের বয়স নয় বছর৷
 
মির্জা গালিবের পিতা আগ্রার এক অভিজাত পরিবারে বিয়ে করেছিলেন৷ সৈনিক জীবনের অনিশ্চয়তার কারণে তিনি তার স্ত্রীকে আগ্রায় পিতার পরিবারেই অবস্থানের অনুমতি দিয়েছিলেন৷ মামার বাড়িতেই গালিবের জন্ম এবং তুলনামূলকভাবে তিনি আরামদায়ক শৈশব কাটান, যা তাঁর পিতা ও চাচার মৃত্যুর পরও ব্যাহত ছিল৷ কিন্তু পিতা ও চাচার অকাল মৃত্যুতে তার মধ্যে বঞ্চনার স্থায়ী প্রভাব হয়নি৷ তাছাড়াও বংশের ঐতিহ্যের কারণে অহংকারী গালিবের মধ্যে তার মায়ের পিতৃগৃহে অবস্থানের প্রভাব নেতিবাচক ছিল৷ কিন্তু সৌভাগ্যবশত: শৈশবে তার শিক্ষা এমন ছিল যে তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ব্যাহত হয়নি৷ আগ্রার খ্যাতিমান পন্ডিত [[শেখ মোয়াজ্জেম]] তার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ এছাড়া সম্ভবত: তিনি মীর আযম আলী পরিচালিত একটি মাদ্রাসায়ও যেতেন৷ তিনি [[যুক্তিবিদ্যা]], [[জ্যোতির্বিদ্যা]], [[চিকিত্‍সাশাস্ত্র]] ও [[অধিবিদ্যা]] ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে পড়াশুনা করেন৷ কিন্তু তার ঝোঁক ছিল ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি, এবং বিশেষত: ফারসি ভাষার প্রতি৷ এসময়ে আরবি ও ফারসি ভাষায় দক্ষ আবদুস সামাদ নামে এক জ্ঞানী ব্যক্তি [[আগ্রা]] সফর করেন৷ গালিব তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন৷ আবদুস সামাদ গালিবের মামার বাড়িতে দুই বছর অতিবাহিত করেন৷ গালিব কখনো কাউকে তার 'উস্তাদ' বলে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে আবদুস সামাদের উল্লেখ করেছেন অত্যন্ত প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার সাথে৷
 
নয় বছর বয়সেই গালিব [[ফারসি|ফারসিতে]] কবিতা লিখতে শুরু করেন৷ পুরো জীবন ধরে তিনি ফারসিকে তার প্রথম প্রেম বলে বর্ণনা করেছেন৷ কিন্তু তিনি যে শৈশবেই উর্দুতে কবিতা লিখতেন তারও দৃষ্টান্ত রয়েছে৷ কবি আলতাফ হোসেন হালীর বর্ণনা অনুসারে কানাইয়া লাল নামে এক লোক গালিবের একটি মসনবী সংরক্ষণ করেছিলেন যা গালিবের আট বা নয় বছর বয়সে লিখা৷ এটির অস্তিত্ব গালিব বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু পরে যখন তাকে এটি দেখানো হয় তখন তিনি অত্যন্ত ব্যগ্রতার সাথে সেটি পাঠ করেন৷
১২০ নং লাইন:
কিন্তু এর চাইতে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছিল৷ তা ছিল [[১৮৫৭]] সালের [[সিপাহী বিদ্রোহ]], যার ফলে জীবনের পরিচিত সবকিছু তছনছ হয়ে যায় এবং বিদ্রোহের পর বৃটিশ কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা চালু করে তা ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবনকে পুরোপুরি পাল্টে দেয়৷ মোগল বাদশাহ'র সময়ে তিনি যে ভাতা লাভ করতেন, তা বৃটিশ কর্তৃপক্ষ বাতিল করেন৷ ফলে মির্জা গালিবকে নতুন করে আর্থিক সংকটে পড়তে হয়৷ ভাতা পুনর্বহালের জন্যে তিনি বৃটিশ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ে তদবির করেন, কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি৷ [[১৮৬৯]] সালের [[ফেব্রুয়ারি ১৫|১৫ই ফেব্রুয়ারি]] গালিব ইন্তেকাল করেন এবং তাকে [[নয়া দিল্লী|দিল্লীর]] [[নিজামউদ্দিন আউলিয়া|নিজামউদ্দিন আউলিয়ার]] মাজারের কাছে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়৷
 
== তথ্যসূত্র ==
<references/>
 
[[categoryবিষয়শ্রেণী:উর্দু কবি]]
[[categoryবিষয়শ্রেণী:১৭৯৭-এ জন্ম]]
[[categoryবিষয়শ্রেণী:১৮৬৯-এ মৃত্যু]]