বাইক্কা বিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিংক
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১ নং লাইন:
'''বাইক্কা বিল''', [[ঢাকা]] থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে [[মৌলভীবাজার জেলা|মৌলভীবাজার জেলার]] প্রখ্যাত চা-সমৃদ্ধ শহর [[শ্রীমঙ্গল|শ্রীমঙ্গলের]] হাইল হাওড়ের পূর্বদিকের প্রায় ১০০ হেক্টর<ref>[http://iasc2008.glos.ac.uk/conference%20papers/papers/T/Thompson_220701.pdf Conserving and Restoring the benefits from Bangladesh wetlands]</ref> আয়তনের একটি জলাভূমির নাম<ref>[http://www.dcmoulvibazar.gov.bd/home/Tourism/ বাইক্কা বিল]</ref>। [[জুলাই ১|১ জুলাই]] [[২০০৩]] তারিখে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিলটিকে মৎস্য সম্পদের একটি অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। আইড়, কই, মেনি, ফলি, পাবদাসহ আরো অনেক প্রজাতির মাছ এখানে বংশবৃদ্ধি করে পুরো হাওড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিল মাছের জন্যেই শুধু নয়, পাখি এবং অন্যান্য অনেক প্রাণীর জন্যও একটি চমৎকার নিরাপদ আবাসস্থল। এটি একটি নয়নাভিরাম জলাভূমি যেখানে হাজারো [[শাপলা]] আর [[পদ্ম]] ফুল ফোটে। এছাড়া এই বিলের বুনো বাসিন্দা আর শীতে আগত পরিযায়ী পাখিদের ভালোভাবে দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
 
== দর্শনীয় বস্তু ==
বিলের কিনারে ফোটে হাজারো পানা, শাপলা আর পদ্মফুল।<ref>[http://www.thedailystar.net/holiday/2009/01/01/holiday.htm দ্য ডেইলীস্টার]</ref>বিলের পানিতে সকাল-সন্ধ্যা চলে রঙ্গীন [[ফড়িং|ফড়িংয়ের]] বিরতিহীন উড়াউড়ি। বৃষ্টিহীন উষ্ণদিনে বিলের ফুলের পাশে আসে আরো একদল পতঙ্গপ্রজাতি। প্রকৃতিপ্রেমীর চোখে পাখিই এই অভয়াশ্রমের সেরা প্রাণী। শীত মৌসুমে এখানে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। এই বিলের উল্লেখযোগ্য পাখি- [[পানকৌড়ি]], [[দেশি কানিবক|কানিবক]], ধলাবক, গোবক, ধুপনিবক, [[রাঙা মানিকজোড়|রাঙ্গাবক]], দলপিপি, নেউপিপি, পান মুরগি, [[বেগুনি কালেম]], [[কালোমাথা কাস্তেচরা]], [[শঙ্খ চিল]], [[কুড়া|পালাসী কুড়া ঈগল]]। শীতের অতিথি হয়ে এই বিলে আসে অনেক জাতের সৈকত পাখি। এদের মধ্যে- গেওয়ালা বাটান, মেটেমাথা চিটি আর কালাপঙ্খ ঠেঙ্গী, ধলা বালিহাঁস, পাতি সরালী, রাজসরালী, মরচেরং, ভূতিহাঁস, গিরিয়াহাঁস, ল্যাঙ্গাহাঁস, গুটি ঈগল ।
 
== পরিযায়ী পাখির সমাগম ==
বাইক্কা বিলে প্রতি বছর শীত মৌসুমে প্রচুর পরিযায়ী পাখির সমাগম ঘটে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের এক গবেষণায় বাইক্কা বিলে ২০৩টি প্রকার পাখি শনাক্ত করা হয়েছে যার মধ্যে [[পাখি পরিযায়ন|পরিযায়ী পাখি]] ১৫৩টি এবং স্থায়ী বসবাসকারী পাখি ৫০টি। বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করায় পাখির সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার অনেক বেড়েছে। দেশীয় ও পরিযায়ী পাখির চলাচল, গতিবিধি, পর্যবক্ষেণ ও পাখির জীবনাচরণের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং দীর্ঘমেয়াদি গবেষেণার জন্য পাখিদের পায়ে রিং পরানো হয়েছে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ৩১ প্রজাতির পাখির পায়ে শনাক্তকারী আংটি পরানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৭ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এবং ১৪ প্রজাতির স্থায়ী বসবাসকারী পাখি। ২০১১ সালে নতুন ৪টি পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পাখি পর্যবেক্ষকদের মতে ওগুলেো হলো: ‘[[বড়ঠুঁটি নলফুটকি]], ‘[[উদয়ী নলফুটকি]]’,’ [[বৈকাল ঝাড়ফুটকি]]’ ও ‘[[সাইক্সের ফুটকি]]’। <ref>[http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/12/26/123956 বাংলাদেশে আরও ৪টি নতুন পাখির সন্ধান]</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}