পরাগায়ন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ... |
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
||
১ নং লাইন:
[[
'''পরাগায়ন''' ({{lang-en|Pollination}}), [[উদ্ভিদ|গাছের]] প্রজননের একটি মৌলিক প্রক্রিয়াবিশেষ। যে পদ্ধতিতে ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়ে ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে, তাকে পরাগায়ন বলা হয়।<ref name=Text-book-of-Bangladesh>''মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান বই'' (অধ্যায়-১১; পৃষ্ঠা-১৬০ থেকে ১৬৭), ড. ইকবাল আজীজ মুত্তাকী, নাসিম বানু, ড. মো: আবুল হাসান, গুল আনার আহমেদ; সম্পাদনা: ড. সৈয়দ হাদীউজ্জামান, জাহান আফরোজ বেগম হাবিয়া। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ঢাকা থেকে প্রকাশিত। সংস্করণ: ডিসেম্বর, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ: ১২ এপ্রিল ২০১২।</ref>
৬ নং লাইন:
* পর-পরাগায়ন
== স্ব-পরাগায়ন ==
[[পরাগধানী]] হতে পরাগরেণু আপনাআপনি স্থানান্তরিত হয়ে যখন একই [[ফুল|ফুলের]] বা একই গাছের অন্য কোনো ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে তখন তাকে স্ব-পরাগায়ন বা সেল্ফ পলিনেশন বলে।<ref>{{Cite book | author=Cronk, J. K.; Fennessy, M. Siobhan | authorlink= | coauthors= | title=Wetland plants: biology and ecology | year=2001 | publisher=Lewis Publishers | location=Boca Raton, Fla. | isbn=1-56670-372-7 | page=166}}</ref> স্ব-পরাগায়নে দুটি ফুলের [[জিনোটাইপ]] একই রকম হয় তাই উৎপন্ন ফলে যে [[বীজ]] হয় তাতে জিনোটাইপের কোনো পরিবর্তন হয় না। ফলস্বরূপ ঐ বীজ থেকে পরবর্তীতে যে গাছ হয় তারও বৈশিষ্ট্য মাতৃ-উদ্ভিদের মত হয়। বলা যায়, এ পদ্ধতিতে প্রজাতির বিশুদ্ধতা অটুট থাকে বা রক্ষিত হয়।<ref name="Text-book-of-Bangladesh"/>
==== উপকারিতা ====
[[
* এ পরাগায়নে উদ্ভিদের প্রজাতির বিশুদ্ধতা রক্ষিত হয়।
* পরাগায়ন প্রায় নিশ্চিত।
১৬ নং লাইন:
* এক্ষেত্রে বাহকের প্রযো়জন হয় না বললেই চলে।
==== অপকারিতা ====
* সাধারণত বংশানুক্রমে কোনো নতুন গুণের আবির্ভাব হয় না।
* নতুন বংশধরদের [[অভিযোজন ক্ষমতা]] বা নতুনের সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা কমে।
২২ নং লাইন:
* গাছের ফল-এ কম সহনশীল ও কম জীবনীশক্তিসম্পন্ন বীজের সৃষ্টি হয়।
== পর-পরাগায়ন ==
[[
যখন পরাগধানী হতে পরাগরেণু কোনো মাধ্যমের বা বাহকের দ্বারা স্থানান্তরিত হয়ে একই প্রজাতির অন্য একটি গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে তখন তাকে পর-পরাগায়ন বা ক্রস পলিনেশন বলে। বাহকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো [[বায়ু|বাতাস]], [[পোকামাকড়]] ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ফুলগুলোতে জিনোটাইপের ভিন্নতা থাকে বিধায় এর ফল থেকে যে [[বীজ]] উৎপন্ন হয় তাতেও জিনোটাইপের পরিবর্তন হয়। ফলস্বরূপ এ বীজ থেকে যে গাছ হয় তার বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি মাতৃ-উদ্ভিদের মতো হয় না; পরবর্তী বংশধরদের মাঝে নতুন প্রকরণ কিংবা নতুন প্রজাতিরও উদ্ভব হতে পারে।<ref name="Text-book-of-Bangladesh"/>
==== উপকারিতা ====
* নতুন বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণ ঘটে।
* ভিন্ন প্রকরণ বা ভিন্ন প্রজাতির সৃষ্টি হতে পারে।
৩২ নং লাইন:
* নতুন বংশধরদের অভিযোজন ক্ষমতা বা নতুনের সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
==== অপকারিতা ====
* এ পরাগায়ন বাহকের উপর নির্ভরশীল।
* বাহক-নির্ভর পরাগায়ন বলে এ পরাগায়ন প্রায় অনিশ্চিত।
৩৮ নং লাইন:
* প্রজাতির বিশুদ্ধতা রক্ষিত হয় না।
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
|