তড়িৎ পরিবাহী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১ নং লাইন:
[[Fileচিত্র:Electrical wires near Putim.jpg|thumb|right| তড়িৎ পরিবাহী তারের মাধ্যমে দূর দূরান্তে [[তড়িৎ]] বা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়]]
[[পদার্থবিজ্ঞান| পদার্থবিজ্ঞানের]] এবং [[তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল| তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলের]] দৃষ্টিকোন থেকে '''তড়িৎ পরিবাহী''' বা '''বিদ্যুৎ পরিবাহী''' বা '''তড়িৎ পরিবাহক''' হলো সেই বস্তু যার মধ্য দিয়ে খুব সহজেই অর্থাৎ খুব অল্প বাধায় বা [[রোধক| রোধে]] [[তড়িৎ]] বা বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে।<ref>[http://scienceworld.wolfram.com/physics/ElectricalConductor.html সায়েন্সওয়ার্ল্ড ওয়েবসাইট]</ref> প্রধানত [[ধাতু| ধাতব]] পদার্থগুলো যেমন [[তামা]] বা [[রূপা]] ইত্যাদির [[তড়িৎ পরিবাহিতা]] খুব ভালো হয় কারন এদের [[পরমাণু| পরমাণুর]] গঠন অনুযায়ী সর্ব বহিঃস্থ খোলকে একটি করে [[ইলেকট্রন]] থাকে যা খুব সহজেই বা অল্প প্রণোদনাতেই ঐ পরিবাহীর পরমাণু থেকে পরমাণুতে চলাচল করতে পারে<ref>[http://hyperphysics.phy-astr.gsu.edu/hbase/electric/conins.html হাইপার ফিজিক্স ওয়েবসাইট]</ref>। যেহেতু [[তড়িৎ প্রবাহ]] হচ্ছে আসলে [[চার্জ]] যুক্ত [[তড়িৎ আধান| আধানের]] প্রবাহ তাই এই সহজে চলাচলে সক্ষম ইলেকট্রন খুব সহজে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহে সহায়তা করে। ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনই শুধু নয়, [[স্ফটিক]] সজ্জার মধ্য দিয়ে ধনাত্মক আধানও পরমাণুর আকারে প্রবাহিত হতে পারে যেটা [[ইলেকট্রন হোল]] নামে পরিচিত। আবার [[তড়িৎ কোষ| তড়িৎ কোষের]] (battery) মধ্যে দিয়ে [[আয়ন| আয়নের]] আকারেও আধান প্রবাহিত হতে পারে। এই সকল ধরণের আধানের প্রবাহই তড়িৎ প্রবাহ, তাই যার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হতে পারে তাকে তড়িৎ পরিবাহী বলা যায়। কিন্তু সাধারণভাবে তড়িৎ পরিবাহী বলতে ইলেকট্রন প্রবাহ করতে সক্ষম পদার্থকেই বোঝায়। দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ পরিবহনকারী ''তার''কে ''বিদ্যুৎ পরিবাহী''র প্রতিশব্দ হিসেবেও দেখা হয়।
 
== প্রকারভেদ ==
তড়িৎ পরিবাহী পদার্থসমূহকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়: সুপরিবাহী, অর্ধপরিবাহী, কুপরিবাহী।
* ''সুপরিবাহী:'' যে বস্তুর মধ্য দিয়ে বিদ্যুত সহজেই প্রবাহিত হতে পারে বা চলাচল করতে পারে, তাকে সুপরিবাহী বলে। যেমন: [[লোহা]], [[তামা]], [[রূপা]], [[সোনা]] ইত্যাদি।
* ''[[অর্ধপরিবাহী]]:'' যে বস্তুর মধ্য দিয়ে নির্ধারিত মাত্রার বিদ্যুত প্রবাহিত হতে পারে তাকে অর্ধপরিবাহী বলে। যেমন: [[অ্যালকোহল]], [[আর্সেনিক]] ইত্যাদি।
* ''[[অন্তরক]]:'' যে বস্তুর মধ্য দিয়ে বিদ্যুত প্রবাহিত হতে পারে না তাকে অন্তরক বা কুপরিবাহী বলে। যেমন: [[কাঠ]], [[প্লাস্টিক]], [[কাগজ]] ইত্যাদি।
এছাড়া [[অতিপরিবাহী]] একটি বিশেষ প্রকারের পরিবাহী যার [[রোধ]] শূণ্য।
 
 
== আরো দেখুন ==
* [[রোধ]]
* [[অন্তরক]]
* [[অতিপরিবাহী]]
* [[অর্ধপরিবাহী]]
 
== তথ্যসূত্র ==
<references/>