কাজী নূরুজ্জামান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট ওয়েব লিঙ্ক ঠিক করেছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১৩ নং লাইন:
}}
 
কর্নেল (অব.) '''কাজী নূরুজ্জামান''' (জন্ম [[মার্চ ২৪]] [[১৯২৫]] - মৃত্যু [[মে ৬]], [[২০১১]]<ref>[http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=29676 Sector commander Nuruzzaman passes away]</ref>)<ref>[http://www.unbconnect.com/component/news/task-show/id-46995 UNBconnect... - PM shocked at death of Kazi Nuruzzaman]</ref> [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের]] অন্যতম [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টরসমূহের তালিকা|সেক্টর কমান্ডার]]। ১৯৭১ সালের [[২৬ সেপ্টেম্বর]] ৭নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর [[নাজমুল হক]] ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা মারা যাওয়ার পর কর্ণেল নূরুজ্জামানকে এই সেক্টরের অধিনায়ক করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের জন্য তাকে [[বীর উত্তম]] উপাধিতে ভূষিত করা হয়।<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-05-07/news/255688 দৈনিক প্রথম আলো]</ref> কাজী নূরুজ্জামানের জন্ম [[যশোর]] জেলায়। তার পিতার নাম খান সাহেব কাজী সদরুলওলা এবং মাতা রতুবুন্নেসা।
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
কাজী নূরুজ্জামান ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম খান সাহেব কাজী সদরুলওলা এবং মাতার নাম রতুবুন্নেসা। কাজী নূরুজ্জামানের পড়াশোনা কলকাতায়। সেখানে [[সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ|সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে]] রসায়নে পড়ার সময় ১৯৪৩ সনে ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দেন।<ref>[http://www.thedailystar.net/magazine/2010/11/01/profile.htm A Citizen Soldier]</ref> দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি [[মায়ানমার|বার্মা]]র উপকূল ও [[সুমাত্রা]]য় যুদ্ধ করেন। ১৯৪৬ সালে [[পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু]]র আহবানে অনেকে নৌবাহিনী থেকে ভারতীয় সেনবাহিনীতে চলে আসে। কাজী নূরুজ্জামান তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রশিক্ষণের জন্য কাজী নূরুজ্জামান [[দেরাদুন|দেরাদুনে]] রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে চলে যান। ১৯৪৭ সালে তিনি এই একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেন। ১৯৪৭ এর ১৫ আগস্টের পর কাজী নুরুজ্জামানের পরিবার পাকিস্তানে আসার সিদ্ধান্ত নিলে নুরুজ্জামান পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নবীন অফিসার হিসাবে যোগ দেন।
 
== শিক্ষা ও কর্মজীবন ==
কাজী নূরুজ্জামানের পড়াশোনা কলকাতায়। সেখানে [[সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ|সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে]] রসায়নে পড়ার সময় তিনি ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনী, রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে যোগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি [[মায়ানমার|বার্মার]] উপকূল ও [[সুমাত্রা|সুমাত্রায়]] যুদ্ধ করেন। ১৯৪৬ সালে [[জওহরলাল নেহ্‌রু|পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু'র]] আহবানে অনেকে নৌবাহিনী থেকে ভারতীয় সেনবাহিনীতে চলে আসে। কাজী নূরুজ্জামান তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি রয়্যাল ইন্ডিয়ান আর্মিতে চাকরি স্থানান্তরিত করে রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন এবং প্রশিক্ষণের জন্য [[দেরাদুন|দেরাদুনে]] রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে চলে যান। ১৯৪৭ সালে তিনি এই একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেন। ১৯৪৭ এর ১৫ আগস্টের পর কাজী নূরুজ্জামানের পরিবার পাকিস্তানে আসার সিদ্ধান্ত নিলে নূরুজ্জামান পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নবীন অফিসার হিসাবে যোগ দেন।১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডে আর্টিলারি কোর্স সমাপ্ত করে আসার পর তিনি পাকিস্তানের নওশেরায় আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুলে প্রশিক্ষক নিয়োজিত হন। পরের বছর হোন অফিসার ট্রেনিং স্কুলের ইনস্ট্রাক্টর। ১৯৫৬ সালে মেজর পদে পদোন্নতি পান এবং ১৯৫৮ সালে স্টাফ কলেজ সম্পন্ন করেন। ১৯৫৮ সালে সেনাপ্রধান আইয়ুব খান দেশে সামরিক আইন জারি করলে তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়ে পড়েন। তখন (১৯৬২ সালে) তাকে প্রেষণে ইস্ট পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনে (ইপিআইডিসি) পাঠানো হয়। এরই মধ্যে তিনি লেফটেনেন্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান। ইপিআইডিসি থেকে তিনি স্বল্প সময় পরে তিনি সেনাবাহিনীতে ফিরে আসেন এবং স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় তিনি আবার সেনাবাহিনীতে ফিরে যান এবং যুদ্ধকালীন সময়ের পরপরই পুনরায় সিভিল পেশায ফেরত আসেন।
 
== সাংস্কৃতিক সক্রিয়তা ==
৪২ নং লাইন:
* 'একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ: একজন সেক্টর কমান্ডারের স্মৃতিকথা',
* 'মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনীতি',
* বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতি'
* 'স্বদেশ চিন্তা'