রফিকুল ইসলাম (বীর বিক্রম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট ওয়েব লিঙ্ক ঠিক করেছে
৪০ নং লাইন:
 
==মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা==
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১২-১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আখাউড়ার পতনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল [[ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা|ব্রাহ্মণবাড়িয়ার]] [[সরাইল উপজেলা|সরাইল উপজেলার]] চান্দুরায় অগ্রসর হন। দলে ছিলেন নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর এস ফোর্সের অধীন মুক্তিযোদ্ধারা। 'এ' দলের অধিনায়ক ছিলেন [[এ এস এম নাসিম]] ([[বীর বিক্রম]])। সামনে থাকা ‘সি’ (চার্লি) দলের সদস্য ছিলেন রফিকুল ইসলাম। চার্লি দলের অধিনায়ক ছিলেন [[মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া]] ([[বীর প্রতীক]])। চার্লি দলের দায়িত্ব ছিল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ [[শাহবাজপুর টাউন|শাহবাজপুর সেতু]] দ্রুত দখল করা। সবশেষে ছিল ‘ডি’ (ডেল্টা) দল। এই দলে ছিলেন এস ফোর্সের অধিনায়ক [[কে এম শফিউল্লাহ]] ([[বীর উত্তম]]) এবং ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক। <ref>{{cite book |title= বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ (দলিলপত্র: নবম খন্ড)|last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=১৯৮৪ |publisher= তথ্য মন্ত্রনালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |location= |isbn= |page= ৭৭|pages= |accessdate= |url=}}</ref>
রফিকুল ইসলাম ও তাঁর সহযোদ্ধারা ধর্মনগর-হরষপুর-পাইকপাড়া হয়ে অগ্রসর হন সামনের দিকে। মুক্তিযোদ্ধাদের তিনটি দলের মধ্যে এ ও ডি দলের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব ছিল এবং এই দুই দল যখন চান্দুরার কাছে ইসলামপুরে পৌঁছালে তখন একদল পাকিস্তানি সেনা উপস্থিত হয় সেখানে। শুরু হয় যুদ্ধ। সে সময় রফিকুল ইসলামের দল ছিল বেশ সামনে। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন এবং পাকিস্তানিদের আক্রমণের প্রচণ্ডতায় দলের মুক্তিযোদ্ধারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে একটি প্লাটুন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পাশের তিতাস নদীর অপর পারে অবস্থান নেয়। এতে করে বাকি দুই প্লাটুনের একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অক্ষত থাকা প্লাটুনেই ছিলেন রফিকুল ইসলাম। তিনি ও তাঁর অল্প কয়েকজন সহযোদ্ধা সাহসিকতার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করে প্রতিরোধ করেন। তাঁদের সাহসিকতায় বেঁচে যায় [[কে এম শফিউল্লাহ|কে এম শফিউল্লাহর]] জীবন, কিন্তু যুদ্ধের একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন রফিকুল ইসলাম। সেদিন যুদ্ধে রফিকুল ইসলামসহ দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং এ এস এম নাসিমসহ ১১ জন আহত হন এবং [[পাকিস্তান]] সেনাবাহিনীর ২৫ জন নিহত ও ১৪ জন বন্দী হয়। শহীদ দুই মুক্তিযোদ্ধাকে চান্দুরায় সমাহিত করেন। তাঁদের সমাধি সংরক্ষিত রয়েছে।