লাদাখ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
JoyBot (আলোচনা | অবদান)
+
৬২ নং লাইন:
অষ্টম শতাব্দীতে লাদাখে পশ্চিম দিক থেকে [[তিব্বত|তিব্বতের]] ও মধ্য এশিয়া থেকে চীনের আধিপত্য বিস্তার শুরু হয়। ৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে [[তিব্বত সাম্রাজ্য|তিব্বত সাম্রাজ্যের]] পতন হলে অন্তিম [[তিব্বত সাম্রাজ্য|তিব্বত সম্রাট]] [[গ্লাং-দার-মা]]র পৌত্র স্ক্যিদ-ল্দে-ন্যিমা-গোন লাদাখকে নিজের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং লাদাখি রাজবংশের সুত্রপাত করেন। এই সময় সমগ্র লাদাখে [[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ ধর্মের]] প্রসার হয় এবং লাদাখে তিব্বতীদের বসবাস শুরু হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে সম্পাদিত ''লা-দ্ভাগ্স-র্গ্যাল-রাব্স'' বা লাদাখের রাজাদের ধারাবিবরণীতে বলা হয় যে রাজা স্ক্যিদ-ল্দে-ন্যিমা-গোন তাঁর তিন পুত্রের মধ্য তাঁর সাম্রাজ্য ভাগ করে দেন। এই বিবরণীতে বলা হয় তিনি তাঁর তাঁর জৈষ্ঠ্য পুত্র দ্পাল-গ্যি-ঙ্গোনকে মার‍্যুল, হ্গোগের স্বর্ন খনি, রু-থোগ, ল্দে-ম্চোগ-দ্কার-পো ও রা-বা-দ্মার-পো প্রদান করেন। এই বিবরণী থেকে বোঝা যায় যে, রু-থোগ বা [[রুদোক]] এবং ল্দে-ম্চোগ-দ্কার-পো বা দেমচোক মার‍্যুল বা লাদাখের অংশ ছিল।{{#tag:ref|''He gave to each of his sons a separate kingdom, viz., to the eldest Dpal-gyi-ngon, Maryul of Mnah-ris, the inhabitants using black bows; ru-thogs of the east and the Gold-mine of Hgog; nearer this way Lde-mchog-dkar-po; at the frontier ra-ba-dmar-po; Wam-le, to the top of the pass of the Yi-mig rock ...''<ref>Francke, A. H. (1914), 1920, 1926. ''Antiquities of Indian Tibet. Vol. 1: Personal Narrative; Vol. 2: The Chronicles of Ladak and Minor Chronicles, texts and translations, with Notes and Maps''. Reprint: 1972. S. Chand & Co., New Delhi. ([http://books.google.de/books?id=WG4J4IKd014C&dq=Antiquities+of+indian+Tibet&printsec=frontcover&source=bl&ots=BiuhhHjBgj&sig=qXScEP1IS27HYdwHmZR_IRea1dE&hl=de&sa=X&oi=book_result&resnum=5&ct=result Google Books])</ref>|group=n}}
 
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে [[ইসলামের ভারত বিজয়|ইসলামের ভারত বিজয়ের]] সময়কাল থেকে লাদাখ তিব্বতের কাছ থেকে ধর্মীয় পথপ্রদর্শনের সহায়তা নিতে থাকে। ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাজ্যগুলি বহুবার লাদাখ আক্রমণ করলে কিছু লাদাখি [[নূরবকশিয়া ইসলাম]] ধর্মগ্রহণ করেন। <ref name=Luciano>Petech, Luciano. ''The Kingdom of Ladakh c. 950 - 1842 A. D., Istituto Italiano per il media ed Estremo Oriente, 1977.</ref><ref name=Loram>Loram, Charlie. ''Trekking in Ladakh'', Trailblazer Publications, 2004</ref>
 
রাজা ল্হাচেন ভগন ১৪৭০ খ্রিষ্টাব্দে [[লাদাখের নামগ্যাল রাজবংশ|নামগ্যাল রাজবংশ]] স্থাপন করে লাদাখ থেকে মধ্য এশিয়ার আক্রমণকারীদের বিতাড়িত করে নেপা পর্যন্ত তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তার করেন <ref name="LoramCharlie"/> সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিক পর্যন্ত লাদাখের সীমা [[জাংস্কার]] ও [[স্পিটি]] পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই সময় মুসলমানদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বৌদ্ধ বিহার ও কারুকীর্তিগুলির পুনর্নির্মাণ করা হয়।
 
১৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বালটি রাজা [[আলি শের খান আনচান]] লাদাখ আক্রমণ করলে লাদাখের রাজা শান্তির প্রার্থনা করেন। এতে আলি শের খান লাদাখের কাছ থেকে [[গানোখ]] ও গাগ্রা নুল্লাহ অঞ্চল দুটি [[স্কার্দু]]র অধীনে নিয়ে আসেন এবং লাদাখের রাজার কাছ থেকে বার্ষিক কর প্রদানের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। লাদাখের রাজা [[লামায়ুরু বৌদ্ধবিহার|লামায়ুরু বৌদ্ধবিহারের]] মাধ্যমে স্কার্দুর রাজদরবারে এই কর পদান করতেন। <ref>{{cite web|title=The great empire of Maqpon |url=http://www.mybaltistan.com/History/History%20of%20Emporor/Maqpon/English/011.htm}}</ref>
 
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে [[তিব্বত|তিব্বতের]] সাথে [[ভূটান|ভূটানের]] দ্বন্দ্ব শুরু হলে লাদাখ [[ভূটান|ভূটানের]] পক্ষ নেয়। এর ফলে [[তিব্বত]] লাদাখ আক্রমণ করলে ১৬৭৯ থেকে ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিব্বত-লাদাখ-মুঘল যুদ্ধ হয়। <ref>Halkias, T. Georgios(2009) "Until the Feathers of the Winged Black Raven Turn White: Sources for the Tibet-Bashahr Treaty of 1679-1684," in ''Mountains, Monasteries and Mosques'', ed. John Bray. Supplement to Rivista Orientali, pp. 59-79</ref> <ref> Emmer, Gerhard(2007) "Dga' ldan tshe dbang dpal bzang po and the Tibet-Ladakh-Mughal War of 1679-84," in ''The Mongolia-Tibet Interface. Opening new Research Terrains in Inner Asia'', eds. Uradyn Bulag, Hildegard Diemberger, Leiden, Brill, pp. 81-107</ref><ref> Ahmad, Zahiruddin (1968) "New Light on the Tibet-Ladakh-Mughal War of 1679-84." ''East and West'', XVIII, 3, pp. 340-361</ref><ref> Petech, Luciano(1947) "The Tibet-Ladakhi Moghul War of 1681-83." ''The Indian Historical Quarterly'', XXIII, 3, pp. 169-199.</ref> এই যুদ্ধে [[কাশ্মীর]] লাদাখকে সহায়তার বিনিময়ে [[লেহ]] শহরে মসজিদ নির্মাণ ও লাদাখের রাজা দেলদান নামগ্যালকে [[ইসলাম]] ধর্মগ্রহণের শর্ত রাখে। <ref>[http://warburg.sas.ac.uk/islamtibet/indexit.htm See ''Islam-Tibet, Cultural Interactions (8th-17th centuries)'']</ref> ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দে টিংমোসগাংয়ের চুক্তিতে লাদাখ ও [[তিব্বত|তিব্বতের]] মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান হলেও লাদাখের স্বাধীনতা এতে অনেকাংশে খর্ব হয়। ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে [[ডোগরা]] সেনাপতি [[জোরাওয়ার সিং কাহলুরিয়া]] লাদাখ আক্রমণ করে কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে লাদাখে ইউরোপীয়দের আনাগোনা শুরু হয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে লেহ শহরে দপ্তর খোলা হয়।
 
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত স্বাধীন হলে কাশ্মীরের ডোগরা শাসক [[হরি সিং]] [[অন্তর্ভুক্তি চুক্তি (জম্মু ও কাশ্মীর)|অন্তর্ভুক্তি চুক্তিতে]] সই করে কাশ্মীর রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেন। এই সময় [[পাকিস্তানী সেনাবাহিনী]] লাদাখ ও কাশ্মীরের অন্যান্য অংশ দখল করে নিলে [[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭|ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের]] মাধ্যমে এই এলাকা পাকিস্তানী দখলমুক্ত হয়। <ref name = "Madras_Sappers">Menon, P.M> & Proudfoot, C.L., ''The [[Madras Sappers]], 1947-1980'', 1989, Thomson Press, Faridabad, India.</ref>
৮০ নং লাইন:
<ref>{{cite web | last =| first =| authorlink = | coauthors = | url = http://www.india-travel-agents.com/ladakh/ladakh-tourism/fauna-ladakh.html| title = Flora and fauna of Ladakh| work = | publisher = India Travel Agents | accessdate = 2006-08-21}}</ref>
 
[[লাদাখ|লাদাখের]] সাথে [[মধ্য এশিয়া|মধ্য এশিয়ার]] বন্যপ্রাণীদের মধ্যে অদ্ভুত মিল লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে [[তিব্বত|তিব্বতী]] মালভূমিতে যে সমস্ত বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়, তাদের অধিকাংশই লাদাখের উপত্যকাগুলোতে দেখা যায়। তবে কয়েক প্রজাতির পাখি এখানে দেখা যায় যেগুলো আবার তিব্বতী মালভূমি বা মধ্য এশিয়ার কোনখানেই দেখা যায় না। এসব পাখি শীতের পরে [[ভারত|ভারতের]] উষ্ণতর অঞ্চলগুলো থেকে এখানে [[পাখি পরিযান|পরিযান]] করে আসে। রুক্ষ অঞ্চল হলেও লাদাখে বসবাসকারী পাখি প্রজাতির সংখ্যা অনেক বেশি; এ পর্যন্ত মোট ২২৫ প্রজাতির পাখি এখান থেকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন পাখিদের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির [[তুতি]], রবিন, লালগির্দি (যেমন কালো লালগির্দি) আর [[মোহনচূড়া]] এখানে সচরাচর দেখা যায়। এছাড়া এ সময় চুংথাং অঞ্চলের হ্রদগুলোতে আর [[সিন্ধু নদ|সিন্ধু নদে]] প্রায়ই [[খয়রামাথা গাঙচিল|খয়রামাথা গাঙচিলকে]] বিচরণ করতে দেখা যায়। আবাসিক পাখির মধ্যে রয়েছে [[চখাচখি|খয়েরি চখাচখি]] ও [[দাগি রাজহাঁস]] ([[Ladakhi|লাদাখি]]: ''ngangpa'')। তিব্বতী মালভূমির বিরল [[কালোঘাড় সারস|কালোঘাড় সারসকে]] (''trhung-trhung'') গ্রীষ্মকালে লাদাখের বেশ কিছু অংশে প্রজনন করতে দেখা যায়। অন্যান্য পাখির মধ্যে র‍্যাভেন, [[তিব্বতী তুষারমোরগ]] ও [[চুকার বাতাই]] (''srakpa'') প্রধান।<ref>Namgail, T. (2005). Winter birds of the Gya-Miru Wildlife Sanctuary, Ladakh, Jammu and Kashmir, India. Indian Birds, 1: 26-28.</ref> শিকারী পাখির মধ্যে [[গৃধিনী]] ও [[সোনালি ঈগল]], এই দু'টি প্রজতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
[[Image:Black-necked Crane Tso Kar Ladakh Jammu and Kashmir India Asia 12.08.2013.png|thumb|left|প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক [[কালোঘাড় সারস]] লাদাখে আসে প্রজননের উদ্দেশ্যে; ছবিটি সো কার, লাদাখ থেকে তোলা]]
 
১১৪ নং লাইন:
 
{{লাদাখ}}
[[categoryবিষয়শ্রেণী:ভারতের জেলাসমূহ]]