অষ্টাঙ্গিক মার্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
লিঙ্ক +
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Dharma Wheel.svg|thumb| [[ধর্মচক্র]], যা ''অষ্টাঙ্গিক মার্গ'' উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।]]
'''অষ্টাঙ্গিক মার্গ''' [[গৌতম বুদ্ধ]] দ্বারা বর্ণিত দুঃখ-নিরোধ মার্গ বা দুঃখ নিরসনের উপায়কে '''অষ্টাঙ্গিক মার্গ''' বলা হয়।উপায়। এটি [[বৌদ্ধধর্ম|বৌদ্ধধর্মের]] মূলকথা [[চতুরার্য সত্য|চতুরার্য সত্যের]] চতুর্থতম অংশ। এর আটটি উপদেশকে সম্যক [[প্রজ্ঞা (বৌদ্ধ ধর্ম)|প্রজ্ঞা]], সম্যক [[শীল (বৌদ্ধ ধর্ম)|শীল]] ও সম্যক [[সমাধি (বৌদ্ধ ধর্ম)|সমাধি]] এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
 
==সম্যক প্রজ্ঞা==
সম্যক [[প্রজ্ঞা (বৌদ্ধ ধর্ম)|প্রজ্ঞা]] দুই প্রকার- সম্যক দৃষ্টি ও সম্যক সঙ্কল্প। কায়িক, বাচনিক ও মানসিক কর্মের সঠিক জ্ঞানকে সম্যক দৃষ্টি বলে। অহিংসা, চুরি না করা, অব্যভিচার ও সত্যভাষণ হল কায়িক সুকর্ম, নিন্দা না করা, মধুর ভাষণ ও লোভহীনতা হল বাচনিক সুকর্ম এবং মিথ্যা ধারণা না করা ও প্রতিহিংসাপরায়ণ না হওয়া হল মানসিক সুকর্ম।<ref name="রাহুল">দর্শন দিগদর্শন- রাহুল সাংকৃত্যায়ন, অনুবাদ ছন্দা চট্টোপাধ্যায়, প্রথম প্রকাশ জুলাই, সেপ্টেম্বর ১৯৮৮, চিরায়ত প্রকাশন প্রাইভেট লিমিটেড, ১২, বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রীট, কলিকাতা - ৭৩</ref>
 
==সম্যক শীল==
সম্যক [[শীল (বৌদ্ধ ধর্ম)|শীল]] তিন প্রকার- সম্যক বাক্য, সম্যক কর্ম ও সম্যক জীবিকা। মিথ্যা কথা, পরনিন্দা, কটুবাক্য ও অতিকথন ত্যাগ করে সত্যভাষণ ও মধুর বচনকে সম্যক বাক্য বলে। অহিংসা, চুরি না করা, অব্যভিচারকে সম্যক কর্ম এবং অসৎ পন্থা ত্যাগকে সম্যক জীবিকা বলে। [[গৌতম বুদ্ধ]] অস্ত্র ব্যবসা, প্রাণী ব্যবসা, মাংস বিক্রয় এবং মদ ও বিষের বানিজ্যকে মিথ্যা জীবিকা বলে উল্লেখ করেছেন।<ref name="রাহুল"/>
 
==সম্যক সমাধি==
সম্যক [[সমাধি (বৌদ্ধ ধর্ম)|সমাধি]] তিন প্রকার- সম্যক প্রযত্ন, সম্যক স্মৃতি ও সম্যক সমাধি। ব্যায়াম, ইন্দ্রিয় সংযম, কুচিন্তা ত্যাগ এবং সৎ চিন্তার চেষ্টা ও তাকে স্থায়ী করার চেষ্টাকে সম্যক প্রযত্ন বলে। কায়া, বেদনা, চিত্ত ও মনের ধর্মের সঠিক স্থিতিসমূহ ও তাদের ক্ষণবিধ্বংসী চরিত্রকে সদা স্মরণে রাখাকে সম্যক স্মৃতি এবং চিত্তের একাগ্রতাকে সম্যক সমাধি বলে।<ref name="রাহুল"/>
 
== তথ্যসূত্র ==