উইকিপিডিয়া:সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Fahim molla (আলোচনা | অবদান)
সমকালীন রাজনিতী
Fahim molla (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
''টাইটানিক''
'''১৪ এপ্রিল, ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ। সময় রাত ১১টা ৪০ মিনিট। নিকষ কালো অন্ধকার রাত। আটলান্টিক মহাসমুদ্রের বিশাল জলরাশির ঢেউ কেটে এগিয়ে চলেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী জাহাজ আর এম এস টাইটানিক। ১০ এপ্রিল যাত্রা শুরু করার পর কেটে গেছে চারটি দিন। জাহাজটি ইতোমধ্যে অতিক্রম করেছে ৩৭৫ মাইল অর্থাৎ ৬০০ কিলোমিটার পথ। প্রায় ৮৮৩ ফুট লম্বা ৪৬ হাজার ৩২৪ টন ওজন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ও ১০ তলাবিশিষ্ট সেই সময়ের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও আধুনিক এই জাহাজটিতে কী নেই! প্রথম শ্রেণীর কেবিনগুলো তৈরি করা হয়েছিল লন্ডনের অন্যতম নামকরা পাঁচ তারকা হোটেল রিটজের আদলে। এ ছাড়া জাহাজটিতে ছিল সর্বোচ্চ আধুনিক ব্যায়ামাগার, দৃষ্টিনন্দন স্নানাগার, সুইমিংপুল, থিয়েটার, ওয়াটারপ্রুফ দরজাসহ আরও বহু কিছু। জাহাজটির পানশালায় রাতদিন ভিড় লেগে থাকত। চলত বিরামহীন শূরা পান। কিন্তু যে জিনিসটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল অর্থাৎ পর্যাপ্ত লাইফবোট সেটিই অনুপস্থিত ছিল জাহাজটিতে। ১৪ এপ্রিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটে জাহাজটি যখন নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের কাছাকাছি পেঁৗছল ঠিক সে সময় সাগরজলের নিচে ডুবে থাকা বিশাল হিমশৈলের আঘাতে জাহাজটির তলদেশ ফেটে হুড়মুড় করে ঢুকতে শুরু করল পানি। কিছুক্ষণের মধ্যেই জাহাজটির ক্যাপ্টেন এন্ড্রুস বুঝে গেলেন কিছুতেই রক্ষা করা যাবে না এই বিলাসবহুল স্বপ্নতরণী। যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেটি নিতে হবে তৎক্ষণাৎ। একটিই পথ খোলা_ শিশু ও মেয়েদের বাঁচাতে হলে দেড় হাজার পুরুষকে জাহাজের সঙ্গে ডুবে মরতে হবে। কারণ আগেই উল্লেখ করেছি অত মানুষকে বাঁচানোর মতো লাইফবোট নেই জাহাজটিতে। জাহাজটির প্রায় সব পুরুষ দেখালেন মানবতার এক চরম উদাহরণ। সেই দেড় হাজার পুরুষ স্বেচ্ছায় মেনে নিলেন এই মৃত্যু। দেড় হাজার পুরুষ নিয়ে টাইটানিক জাহাজটি তলিয়ে গেল মহাসাগরের অতল গহিনে।
 
ফাহিম
১৪ এপ্রিল, ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ। সময় রাত ১১টা ৪০ মিনিট। নিকষ কালো অন্ধকার রাত। আটলান্টিক মহাসমুদ্রের বিশাল জলরাশির ঢেউ কেটে এগিয়ে চলেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী জাহাজ আর এম এস টাইটানিক। ১০ এপ্রিল যাত্রা শুরু করার পর কেটে গেছে চারটি দিন। জাহাজটি ইতোমধ্যে অতিক্রম করেছে ৩৭৫ মাইল অর্থাৎ ৬০০ কিলোমিটার পথ। প্রায় ৮৮৩ ফুট লম্বা ৪৬ হাজার ৩২৪ টন ওজন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ও ১০ তলাবিশিষ্ট সেই সময়ের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও আধুনিক এই জাহাজটিতে কী নেই! প্রথম শ্রেণীর কেবিনগুলো তৈরি করা হয়েছিল লন্ডনের অন্যতম নামকরা পাঁচ তারকা হোটেল রিটজের আদলে। এ ছাড়া জাহাজটিতে ছিল সর্বোচ্চ আধুনিক ব্যায়ামাগার, দৃষ্টিনন্দন স্নানাগার, সুইমিংপুল, থিয়েটার, ওয়াটারপ্রুফ দরজাসহ আরও বহু কিছু। জাহাজটির পানশালায় রাতদিন ভিড় লেগে থাকত। চলত বিরামহীন শূরা পান। কিন্তু যে জিনিসটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল অর্থাৎ পর্যাপ্ত লাইফবোট সেটিই অনুপস্থিত ছিল জাহাজটিতে। ১৪ এপ্রিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটে জাহাজটি যখন নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের কাছাকাছি পেঁৗছল ঠিক সে সময় সাগরজলের নিচে ডুবে থাকা বিশাল হিমশৈলের আঘাতে জাহাজটির তলদেশ ফেটে হুড়মুড় করে ঢুকতে শুরু করল পানি। কিছুক্ষণের মধ্যেই জাহাজটির ক্যাপ্টেন এন্ড্রুস বুঝে গেলেন কিছুতেই রক্ষা করা যাবে না এই বিলাসবহুল স্বপ্নতরণী। যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেটি নিতে হবে তৎক্ষণাৎ। একটিই পথ খোলা_ শিশু ও মেয়েদের বাঁচাতে হলে দেড় হাজার পুরুষকে জাহাজের সঙ্গে ডুবে মরতে হবে। কারণ আগেই উল্লেখ করেছি অত মানুষকে বাঁচানোর মতো লাইফবোট নেই জাহাজটিতে। জাহাজটির প্রায় সব পুরুষ দেখালেন মানবতার এক চরম উদাহরণ। সেই দেড় হাজার পুরুষ স্বেচ্ছায় মেনে নিলেন এই মৃত্যু। দেড় হাজার পুরুষ নিয়ে টাইটানিক জাহাজটি তলিয়ে গেল মহাসাগরের অতল গহিনে।
এম.এ.(দর্শন বিভাগ )
বি.এল.কলেজ'''