আতাউর রহমান খান খাদিম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
 
'''আতাউর রহমান খান খাদিম''' ([[১লা ফেব্রুয়ারি]], [[১৯৩৩]] - [[২৬শে মার্চ]], [[১৯৭১]]) ছিলেন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] শিক্ষাবিদ। তিনি [[কুমিল্লাত্রিপুরার জেলা|কুমিল্লার]] আখাউড়ার কারামপুরখড়গপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। খান খাদিম [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] হতে [[পদার্থ বিজ্ঞান|পদার্থ বিজ্ঞানে]] [[১৯৫৩]] সালে বি.এসসি (অনার্স) এবং [[১৯৫৪]] সালে এম.এসসি. ডিগ্রি লাভ করেন এবং [[ফিলিপস্‌ ইলেকট্রিক কোম্পানি|ফিলিপস্‌ ইলেকট্রিক কোম্পানিতে]] এক্স-রে ইঞ্জিনীয়ার পদে যোগ দান করেন। [[১৯৫৯]] - [[১৯৬০]] সালে [[জার্মানি|পশ্চিম জার্মানীর]] [[গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়েবিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে [[তত্ত্বীয়কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানথিওরী]] বিষয়ে পড়াশোনাপি.এইচ.ডি. করেন। তারপরপরবর্তীতে দেশে ফিরেতিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েবিশ্ববিদ্যালয়ের]] তত্ত্বীয়পদার্থ [[পারমাণবিকবিজ্ঞান পদার্থবিজ্ঞান]]বিভগে বিষয়ে গবেষকপ্রভাষক হিসেবে নিযুক্তশিক্ষকতা হন।শুরু ১৯৬৫ সালের ৫ই ডিসেম্বরকরেন। [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের১৯৭১]] পদার্থসালের বিজ্ঞান২৫ বিভাগেরমার্চ প্রভাষককালরাতে হিসেবেইতিহাসের নিযুক্তজঘন্যতম হন।গণহত্যার [[১৯৭১]]সূত্র সালেরধরে ২৬ মার্চ সকালে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানী]] বাহিনী তাঁকেআক্রমণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের [[শহীদুল্লাহ হল|শহীদুল্লাহ‌ হলেরহলে]] সামনেএবং হত্যা করে।করে শহীদুল্লাহ্‌ হলের তৎকালীন মেধাবী এই আবাসিক শিক্ষককে। উল্লেখ্য, খান খাদিম ছাড়াও সেদিন পাক-বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন শহীদুল্লাহ্‌ হলের আরও একজন আবাসিক শিক্ষক গণিত বিভাগের
[[শরাফত আলী|শরাফত আলী]]।
 
আতাউর রহমান খান খাদিমের পিতার নাম দৌলত আহমদ খাদিম এবং মাতার নাম আঞ্জুমান নিসা। ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনায় আগ্রহী খান খাদিম ১৯৪৮ ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র জর্জ এইচ স্কুল থেকে প্রথম শ্রেণীতে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা কলেজ হতে ঢাকা বোর্ড হতে প্রথম শ্রেণীতে ১১তম স্থান নিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। এর পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন সম্মান শ্রেনীতে। ছাত্রাবস্থায় খান খাদিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি বিএসসি(সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রথম শ্রেণীতে ২য় স্থান লাভ করে। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৫৪ সালে এম.এস.সি পাশ করেন ২য় শ্রেণীতে ১ম স্থান লাভের মাধ্যমে।
৮ ⟶ ৯ নং লাইন:
শিক্ষক থাকাকালীন অবস্থায় খান খাদিম থাকতেন তৎকালীন ঢাকা হলের(বর্তমান শহীদুল্লাহ্ হল) ওয়েস্ট হাউজের বাবুর্চি খানার উপর ২য় তলায়।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতেও তিনি একই ভবনে অবস্থান করছিলেন।প্রতক্ষ্যদর্শীর ভাষ্যমতে,২৬ মার্চ সকালে যখন পাকিস্তানী বাহিনী চানখাঁর-পুল এলাকা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতে চায়, তখন প্রথম প্রতিরোধটি আসে শহীদুল্লাহ হল থেকেই। এতে পাক-হানাদার বাহিনী সরাসরি আক্রমণ চালায় শহীদুল্লাহ্ হলের অভ্যন্তরে।মূহুর্তেই মারা যায় শহীদুল্লাহ্ হলের নাম না জানা অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এবং দুজন আবাসিক শিক্ষক।সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে হানাদার বাহিনীর গুলিতে মারা যান পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অকৃতদার এই শিক্ষক আতাউর রহমান খান খাদিম। এছাড়াও শহিদ হন গণিত বিভাগের শিক্ষক শরাফত আলী। ১০-১১ দিন লাশ একই অবস্থায় পড়ে থাকার পর গলিত,পচে যাওয়া লাশ নিয়ে যাওয়া হয় দাফনের জন্য।
খান খাদিমের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের মাইনর ল্যাবটির নামকরন করা হয় “খান খাদিম ল্যাবরেটরী”, যেখানে প্রথম তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পাঠদান শুরু করেন। এছাড়াওএছাড়া, শহীদুল্লাহ্‌ হলের আবাসিক এই শিক্ষকের স্মরণে শহীদুল্লাহ্‌ হল ডিবেটিং ক্লাব খান খাদিমের নামকরণে প্রতি বছর আয়োজন করে "খান খাদিম অন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা"। এছাড়া শহীদুল্লাহ্‌ হলের ওয়েস্ট হাউজের কাছাকাছি ২৫ মার্চ রাতের শহিদ শহীদুল্লাহ্‌ হলের আবাসিক শিক্ষকদের একটি নামফলক থাকলেও ২০০৭ সালে তা সংস্কারের নামে সরিয়ে ফেলা হয়, যা পরবর্তীতে আর পুনঃস্থাপন করা হয় নি।