ভীষ্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
TanmayM (আলোচনা | অবদান)
TanmayM (আলোচনা | অবদান)
১৫ নং লাইন:
অম্বা যখন ভীষ্মের বিনাশের জন্য পাগলপ্রায় হয়ে উঠেছিলেন, সেই সময় অম্বা ভীষ্মের গুরুদেব পরশুরাম মুনির কাছেও গিয়েছেলেন। পরশুরাম মুনি তাঁর শিষ্য ভীষ্মকে অম্বাকে বিবাহের আদেশ দিলেন। ভীষ্ম প্রতিজ্ঞার প্রসঙ্গ তুলে গুরুদেবের আদেশ মানতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে তিনি গুরুদেবের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত আছেন, তবু প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করতে পারবেননা। যথারীতি গুরুদেব শিষ্যর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। এই যুদ্ধ ২৩ দিন ব্যাপী চলেছিল যেখানে একাধারে পরশুরাম ছিলেন চিরঞ্জীবি (অমর), অন্যদিকে ভীষ্মের ছিল স্বেছামৃত্যুর বর। যাই হোক, এই যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে দুই রকমের মতবাদ পাওয়া যায়।
 
এক মত অনুযায়ী, ২২তম দিনে ভীষ্ম যুদ্ধে জিততে সাহায্য পাবার জন্য তাঁর পুর্বপরুষদের প্রার্থনা শুরু করলেন। পূর্বপুরুষরা তাঁকে [[Pashupatastra|পশুপতাস্ত্র]] নামে এক অস্ত্র প্রদান করলেন। এই অস্ত্র প্রয়োগে তিনি পরশুরামকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারতেন। আর, বেদ অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রে ঘুমিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার বিধি ছিল। কিন্তু এই অস্ত্রের ব্যবহার ভীষ্ম পূর্বজন্মে জানতেন। এই জন্মে তা তিনি ভুলে গেছিলেন। অপর পক্ষে, দেবতারাও তাঁকে এই অস্ত্র প্রপ্রয়োগে মানা করছিলেন। কারণ, গুরুদেবের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র হানা গুরুদেবের পক্ষে বড়ই অপমানজনক কান্ড। পশুপতাস্ত্র ক্ষেপন না হাওয়ায় পরশুরাম তাঁর শিষ্যের জন্য খুব গর্ব বোধ করলেন। কিন্তু তিনি বললেন, হয় তিনি মরবেন নাহলে ভিশ্মকেভীষ্মকে মরতে হবে এই যুদ্ধে। শেষমেষ ২৩তম দিনে ভীষ্ম যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করে বললেন যে, তিনি কোনদিন-ই তাঁর গুরুদেবের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের পক্ষে ছিলেননা। তিনি গুরুর আদেশ পালন করতে গিয়ে যুদ্ধে বাধ্য হয়ছিলেন মাত্র।
 
এদিকে অম্বা বিফলমনোরথ হয়ে শিবের প্রার্থনা শুরু করলেন। মহাদেব খুশি হয়ে তাঁকে বর দিলেন যে, পরের জন্মে অম্বা তাঁর পূর্বজন্মের কথা মনে করতে পারবেন এবং সেই কারণে ভীষ্মের মৃত্যুর কারণ হবেন।
 
==তথ্যসূত্র==