বিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rubinbot (আলোচনা | অবদান)
r2.5.4) (বট যোগ করছে: pa:ਵਿਗਿਆਨ
ছবি, তথ্যসূত্র +
১ নং লাইন:
{{pp-semi-indef}}{{pp-move-indef}}
[[File:Scientists montage.jpg|right|thumb|350px|বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বিখ্যাত ও প্রভাবশালী কয়েকজন বিজ্ঞানীর ছবি[[:Category:বিজ্ঞানী]]। বাম থেকে ডানে:<br>শীর্ষ সারিতে- [[আর্কিমিডিস]], [[এরিস্টটল]], [[আলহাজেন]], [[লিওনার্দো দা ভিঞ্চি]], [[গালিলেও গালিলেই]], [[অ্যান্থনি ভন লিউয়েনহুক]]; <br>দ্বিতীয় সারিতে- [[আইজাক নিউটন]], [[জেমস হাটন]], [[অ্যান্থনি ল্যাভয়সিয়ে]], [[জন ডাল্টন]], [[চার্লস ডারউইন]], [[গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল]]; <br>তৃতীয় সারিতে- [[লুই পাস্তুর]], [[জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল]], [[অঁরি পোয়াঁকারে]], [[সিগমুন্ড ফ্রয়েড]], [[নিকোলা টেসলা]], [[মাক্স প্লাংক]]; <br>চতুর্থ সারিতে- [[আর্নেস্ট রাদারফোর্ড]], [[মারি ক্যুরি]], [[আলবার্ট আইনস্টাইন]], [[নিলস বোর]], [[এরভিন শ্রোডিঙার]], [[এনরিকো ফের্মি]]; <br>নিচের সারিতে- [[জে. রবার্ট ওপেনহাইমার ]], [[অ্যালান টুরিং]], [[রিচার্ড ফাইনম্যান]], [[ই. ও. উইলসন]], [[জেন গুড্যাল]], [[স্টিফেন হকিং]]]]
 
{{Science}}
ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম '''বিজ্ঞান'''। বাংলায় বিজ্ঞান শব্দটির অর্থ ''বিশেষ জ্ঞান''<ref>মাধ্যমিক বিজ্ঞান নবম ও দশম শ্রেণি, প্রকাশক জাতীয় ও টেক্সটবুক বোর্ড</ref>। বিজ্ঞানীরা বিশেষ [[বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] অনুসরণ করে জ্ঞান অর্জন করেন এবং প্রকৃতি ও সমাজের নানা মৌলিক বিধি ও সাধারণ সত্য আবিষ্কারের চেষ্টা করেন।করেন<ref>"... modern science is a discovery as well as an invention. It was a discovery that nature generally acts regularly enough to be described by laws and even by mathematics; and required invention to devise the techniques, abstractions, apparatus, and organization for exhibiting the regularities and securing their law-like descriptions."&nbsp;—p.vii, [[J. L. Heilbron]], (2003, editor-in-chief) ''The Oxford Companion to the History of Modern Science'' New York: Oxford University Press ISBN 0-19-511229-6--></ref>। বর্তমান বিশ্ব এবং এর প্রগতি নিয়ন্ত্রিত হয় বিজ্ঞানের মাধ্যমে। তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যাপক অর্থ যে কোন জ্ঞানের পদ্ধতিগত বিশ্লেষণকে বিজ্ঞান বলা হলেও এখানে আরেকটি সূক্ষ্ণ অর্থে শব্দটি ব্যবহার করা হবে।
 
বিজ্ঞানের ক্ষেত্র মূলত দুটি: [[সামাজিক বিজ্ঞান]] এবং [[প্রাকৃতিক বিজ্ঞান]]। [[জীববিজ্ঞান]], [[পদার্থবিজ্ঞান]], [[রসায়ন]] সহ এ ধরনের সকল বিজ্ঞান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে মানুষের আচার-ব্যবহার এবং [[সমাজ]] নিয়ে যে বিজ্ঞান তা সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। তবে যে ধরনেরই হোক বিজ্ঞানের আওতায় পড়তে হল উক্ত জ্ঞানটিকে সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হতে হবে। আর একই শর্তের অধীনে যে গবেষকই পরীক্ষণটি করুন না কেন ফলাফল একই হতে হবে। অর্থাৎ ব্যক্তি চেতনা অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষণের ফলাফল কখনও পরিবর্তিত হতে পারে না।
 
[[গণিত|গণিতকে]] অনেকেই তৃতীয় একটি শ্রেণী হিসেবে দেখেন। অর্থাৎ তাদের মতে প্রকৃতিকপ্রাকৃতিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান আর গণিত এই তিনটি শ্রেণী মিলে বিজ্ঞান। সে দৃষ্টিতে গণিত হল ফরমাল (formal) বিজ্ঞান আর প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিজ্ঞান হল পরীক্ষণমূলক (empirical) বিজ্ঞান। প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের সাথে গণিতের মিল-অমিল উভয়ই রয়েছে। গণিত এক দিক থেকে পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে, উভয়টিই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পদ্ধতিগত অধ্যয়ন করে। আর পার্থক্য হচ্ছে, পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানে পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ করা হলেও গণিতে কোন কিছু প্রতিপাদন করা হয় আগের একটি সূত্রের (প্রায়োরি) উপর নির্ভর করে। এই ফরমাল বিজ্ঞান, যার মধ্যে [[পরিসংখ্যান]] এবং [[যুক্তিবিদ্যা]] ও পড়ে, অনেক সময়ই পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানে উন্নতি করতে হলে ফরমাল বিজ্ঞানের প্রসার আবশ্যক। কিভাবে কোন কিছু কাজ করে (প্রাকৃতিক বিজ্ঞান) বা কিভাবে মানুষ চিন্তা করে (সামাজিক বিজ্ঞান) তা বুঝতে হলে ফরমাল বিজ্ঞানের কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় নেই।
বিজ্ঞানের ক্ষেত্র মূলত দুটি: [[সামাজিক বিজ্ঞান]] এবং [[প্রাকৃতিক বিজ্ঞান]]। [[জীববিজ্ঞান]], [[পদার্থবিজ্ঞান]], [[রসায়ন]] সহ এ ধরনের সকল বিজ্ঞান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে মানুষের আচার-ব্যবহার এবং সমাজ নিয়ে যে বিজ্ঞান তা সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। তবে যে ধরনেরই হোক বিজ্ঞানের আওতায় পড়তে হল উক্ত জ্ঞানটিকে সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হতে হবে। আর একই শর্তের অধীনে যে গবেষকই পরীক্ষণটি করুন না কেন ফলাফল একই হতে হবে। অর্থাৎ ব্যক্তি চেতনা অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষণের ফলাফল কখনও পরিবর্তিত হতে পারে না।
 
==তথ্যসূত্রঃ==
[[গণিত|গণিতকে]] অনেকেই তৃতীয় একটি শ্রেণী হিসেবে দেখেন। অর্থাৎ তাদের মতে প্রকৃতিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান আর গণিত এই তিনটি শ্রেণী মিলে বিজ্ঞান। সে দৃষ্টিতে গণিত হল ফরমাল (formal) বিজ্ঞান আর প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিজ্ঞান হল পরীক্ষণমূলক (empirical) বিজ্ঞান। প্রাকৃতিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের সাথে গণিতের মিল-অমিল উভয়ই রয়েছে। গণিত এক দিক থেকে পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে, উভয়টিই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পদ্ধতিগত অধ্যয়ন করে। আর পার্থক্য হচ্ছে, পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানে পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ করা হলেও গণিতে কোন কিছু প্রতিপাদন করা হয় আগের একটি সূত্রের (প্রায়োরি) উপর নির্ভর করে। এই ফরমাল বিজ্ঞান, যার মধ্যে [[পরিসংখ্যান]] এবং [[যুক্তিবিদ্যা]] ও পড়ে, অনেক সময়ই পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানে উন্নতি করতে হলে ফরমাল বিজ্ঞানের প্রসার আবশ্যক। কিভাবে কোন কিছু কাজ করে (প্রাকৃতিক বিজ্ঞান) বা কিভাবে মানুষ চিন্তা করে (সামাজিক বিজ্ঞান) তা বুঝতে হলে ফরমাল বিজ্ঞানের কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় নেই।
<references/>
 
[[বিষয়শ্রেণী:বিজ্ঞান]]