তুলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
বৈশ্বিক উৎপাদন
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
৬ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
[[চিত্র:Feld_mit_reifer_Baumwolle.jpeg|thumb|250px|আবাদকৃত তুলা গাছ]]
তুলোর ইংরেজি প্রতিশব্দ কটন যা আরবি (আল) কুতন্‌ থেকে উদ্ভূত। আনুমানিক ১৪০০ খ্রীষ্টাব্দে এ শব্দের প্রচলন ঘটে।<ref>[Metcalf, Allan A. (1999). The World in So Many Words. Houghton Mifflin. p. 123. ISBN 0-395-95920-9.]</ref> অনেক অনেক বছর পূর্বে তুলার [[আবিস্কার]] হয়েছে। তুলা [[মানব সভ্যতা|মানব সভ্যতার]] ইতিহাসে প্রাচীনতম [[ফসল|ফসলরূপে]] পরিগণিত। [[প্রত্নতত্ত্ব|প্রত্নতাত্ত্বিক]] নিদর্শনসমূহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক জানা যায় যে প্রায় সাত হাজার বছর পূর্বে তুলার ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে এর ব্যবহার অব্যাহত আছে। পৃথিবীর সকল দেশের, সকল শ্রেণীর মানুষ তুলা দিয়ে তৈরী কাপড় ও তুলাজাত অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করে আসছেন।
 
== বিবরণ ==
[[File:CottonYield.png|thumb|250px|বিশ্বব্যাপী তুলা উৎপাদন ব্যবস্থাপনা]]
তুলা প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে তুলা গাছ থেকে পাওয়া যায়। কয়েক ধরনের তুলা গাছ প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। তন্মধ্যে [[গুল্ম|গুল্মজাতীয়]] কিছু তুলা গাছ বুনো পরিবেশে বিশ্বব্যাপী [[গ্রীষ্মমণ্ডলীয়]] ও [[উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয়]] এলাকাসমূহে জন্মায়। বুনো প্রজাতির বেশীরভাগ তুলা গাছই অস্ট্রেলিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের পর মেক্সিকোতে উৎপন্ন হয়।<ref>[http://web.archive.org/web/2008062504513400000000000000/http://www.ogtr.gov.au/pdf/ir/biologycotton08.pdf The Biology of Gossypium hirsutum L. and Gossypium barbadense L. (cotton). ogtr.gov.au]</ref> অধিকাংশ তুলাই [[অর্থকরী ফসল|অর্থকরী ফসলরূপে]] জমিতে উৎপাদন করা হয় যা পরবর্তীতে কাপড় তৈরীর উদ্দেশ্যে জমায়েত করা হয়। তুলার [[খামার|খামারগুলো]] [[আফ্রিকা]], [[এশিয়া]], [[ইউরোপ]], [[অস্ট্রেলিয়া|অস্ট্রেলিয়াসহ]] আমেরিকায় দেখা যায়। বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার একর জমি তুলা চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাচীন ইতিহাসের ক্ষণস্থায়ী, মোটা কাপড়ের তুলনায় নিত্য-নতুন প্রজাতির তুলা গাছের মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের উপযোগী দীর্ঘস্থায়িত্ব, মসৃণ কাপড় তৈরী হচ্ছে। তুলার নিজস্ব ওজন নিয়ে ২৪ থেকে ২৭ গুণ পানি ধারণ করতে পারে। তুলা গাছের সকল অংশই কোন না কোন কাজে লাগে।
 
== বৈশ্বিক উৎপাদন ==
{| style="float:right;" class="wikitable"
[[File:CottonYield.png|thumb|250px|বিশ্বব্যাপী তুলা উৎপাদন ব্যবস্থাপনা]]
! colspan=2| '''শীর্ষ-১০ তুলা উৎপাদনকারী দেশ, ২০১১'''<br><small>(৪৮০ পাউন্ড = ১ বেল)</small>
বর্তমানে তুলার বৈশ্বিক উৎপাদন বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন টন যা বিশ্বের তুলা আবাদের উপযোগী ভূমির মাত্র আড়াই শতাংশ ব্যবহারে উৎপাদিত। [[চীন]] বিশ্বের সর্ববৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা পেয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত তুলার অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] অনেক বছর যাবৎ সর্ববৃহৎ [[রপ্তানীকারক]] [[দেশ]] হিসেবে পরিগণিত।<ref>[http://www.naturalfibres2009.org/en/fibres/cotton.html "Natural fibres: Cotton", International Year of Natural Fibres]</ref>
|-
| {{PRC}} || style="text-align:right;"| ৩৩.০ মিলিয়ন বেল
|-
| {{IND}}|| style="text-align:right;"| ২৭.০ মিলিয়ন বেল
|-
| {{USA}} || style="text-align:right;"| ১৮.০ মিলিয়ন বেল
|-
| {{PAK}} || style="text-align:right;"| ১০.৩ মিলিয়ন বেল
|-
| {{BRA}} || style="text-align:right;"| ৯.৩ মিলিয়ন বেল
|-
| {{UZB}} || style="text-align:right;"| ৪.৬ মিলিয়ন বেল
|-
| {{AUS}} || style="text-align:right;"| ৪.২ মিলিয়ন বেল
|-
| {{TUR}} || style="text-align:right;"| ২.৮ মিলিয়ন বেল
|-
| {{TKM}} || style="text-align:right;"| ১.৬ মিলিয়ন বেল
|-
| {{GRE}} || style="text-align:right;"| ১.৪ মিলিয়ন বেল
<!-- |-
|'''World Total''' || align="right" | '''??''' -->
|-
|colspan=2 style="font-size:90%;"|''Source:<ref name=co/>
|}
বর্তমানে তুলার বৈশ্বিক উৎপাদন বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন টন যা বিশ্বের তুলা আবাদের উপযোগী ভূমির মাত্র আড়াই শতাংশ ব্যবহারে উৎপাদিত। ২০০৯ সালের তথ্য মোতাবেক, [[চীন]] বিশ্বের সর্ববৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এরপরই রয়েছে ভারত। দেশ দু'টি যথাক্রমে ৩৪ মিলিয়ন বেল ও ২৪ মিলিয়ন বেল তুলা উৎপাদন করেছে। কিন্তু উৎপাদিত তুলার অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] অনেক বছর যাবৎ সর্ববৃহৎ [[রপ্তানীকারক]] [[দেশ]] হিসেবে পরিগণিত।<ref>[http://www.naturalfibres2009.org/en/fibres/cotton.html "Natural fibres: Cotton", International Year of Natural Fibres]</ref> দেশটি ৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছিল। আফ্রিকা মহাদেশ থেকে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলা রপ্তানী করে। ১৯৮০ সাল থেকে আফ্রিকা তুলা বাণিজ্যে দ্বিগুণ অংশগ্রহণ করে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৫টি তুলা রপ্তানীকারক দেশগুলো হচ্ছে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া এবং উজবেকিস্তান। তুলা উৎপাদনবিহীন আমদানকারীকারক দেশগুলো হচ্ছে - কোরিয়া, তাইওয়ান, রাশিয়া, হংকং এবং জাপান।<ref name=co>[http://www.cotton.org/econ/cropinfo/cropdata/rankings.cfm National Cotton Council of America – Rankings. Cotton.org (2011-03-13). Retrieved on 2011-11-27.]</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/তুলা' থেকে আনীত