আনোয়ার পারভেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{Unreferenced|date=মার্চ ২০১০}}
 
'''আনোয়ার পারভেজ''' (মৃত্যু [[আগস্ট ১৭]], [[২০০৬]]) একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] শীর্ষস্থানীয় সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, সঙ্গীতজ্ঞসঙ্গীতজ্ঞ। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গান ''জয় বাংলা বাংলার জয়'' সহ অনেক জনপ্রিয় গানে সুরশব্দসৈনিক। দিয়েছেন। [[২০০৬]] খ্রীস্টাব্দের [[আগস্ট ১৭|১৭ আগস্ট]] তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
 
 
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এটিই সবচেয়ে বহুল প্রচারিত এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ছিল। শুধু এই গানটি অসংখ্য দেশপ্রেমিক তরুণকে যুদ্ধে যোগদানে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস।
 
বিবিসির জরিপে যে ২০টি বাংলা গান সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বলে স্বীকৃতি পেয়েছে তার তিনটি গান ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না’ এবং ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’-এর সুরকার আনোয়ার পারভেজ৷ তার সুরারোপিত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে প্রচণ্ড জনপ্রিয় ছিল৷
এই গানটি ছাড়াও তিনি ‘একবার যেতে দে না’ এবং ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’-এই দুইটি বিখ্যাত দেশাত্ববোধক গানের সুর করেন। বিবিসির সেরা বিশ বাংলা গানের মধ্যে তিনটিই ছিল তার সুর করা।
 
ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি পেশাদার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম বেতারে সুরকার পদে যোগ দিয়ে৷ পরে ঢাকায় এসে বিভিন্ন মাধ্যমে সংগীত পরিচালনা করেন। স্বাধীনতার পরই বাংলাদেশের একটি অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি ‘রংবাজ’-এর সুরকারও ছিলেন তিনি৷ সে সময় ‘সে যে কেন এলো না কিছু ভালো লাগে না’ বা ‘এই পথে পথে’, ‘আমি একা চলি’- এ গানগুলো মানুষের মুখে মুখে শোনা যেত৷ এছাড়া ‘দি রেইন’ মুভিতে সুর করেও তিনি সমালোচকদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন৷ সংগীত জীবনের ৪০ বছরে তিনি হাজারেরও বেশি গানে সুর দিয়েছেন৷
 
দীর্ঘদিন ধরেই তিনি প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন আর তা ছড়িয়ে পড়েছিল তার হার্ট অবধি৷ ভীষণ অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর পরই কোমায় চলে যান তিনি এবং মধ্যরাতে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ তাকে দাফন করা হয় আজিমপুর গোরস্তানে৷
"জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়
কোটিপ্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
 
মৃত্যুর আগে তিনি আক্ষেপ করে গণমাধ্যমে বলেছিলেন- অনেক ভালো গানের সুর করেও তিনি কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি৷
বাংলার প্রতিঘর ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে
আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দীপ্ত তারুণ্যে
নেই ভয়
হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদপট
তবু করি না করি না করি না ভয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
 
তার বোন শাহনাজ রহমতউল্লাহ দেশের একজন খ্যাতিমান গায়িকা৷
অশথের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরি হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার আর ওই কান্নার শব্দ
 
শাসনের নামে চলে শোষণের সুকঠিন যন্ত্র
বজ্রের হুংকারে শৃঙ্খল ভাঙতে সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র
আর নয়
তিলে তিলে বাঙালির এই পরাজয়
আমি করি না করি না করি না ভয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
 
ভুখা আর বেকারের মিছিলটা যেন ওই দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে
রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে
 
বার বার ঘুঘু এসে খেয়ে যেতে দেবো নাকো আর ধান
বাংলার দুশমন তোষামোদী-চাটুকার সাবধান সাবধান সাবধান
এই দিন
সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন
আর মানি না মানি না কোনও সংশয়
 
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়
কোটিপ্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়"
 
{{অসম্পূর্ণ}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সুরকার]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সঙ্গীত পরিচালক]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০০৬-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:একুশে পদক বিজয়ী]]