বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) (সংশোধিত) আইন, ১৯৭৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
দ্বিতীয় তফসিল
তৃতীয় তফসিল
৩ নং লাইন:
==বিবরণ==
 
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) (সংশোধিত) আইনে মোট ৪৮টি বিধি (Article) এবং ৪৯টি ধারা (Clause) আর বহু উপধারা (Sub-clause) রয়েছে। এসব বিধির বলে বাংলাদেশে বসবাস ছিল বা আছে এমন সব [[বিলুপ্ত]] ও বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন অমান্য করলে ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ছয় মাস থেকে দুই বছর কারাগারে অবস্থান করার বিধান রাখা হয়েছে।<ref name="কণ্ঠ"/> দেশীয় বেশিরভাগ বন্যপ্রাণী ধরা, মারা, শিকার বা আহত করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনে এমন বিধান রয়েছে যাতে বাংলাদেশ সরকার ইচ্ছে করলে যে কোন সরকারী ও বেসরকারী অঞ্চল "[[অভয়ারণ্য|বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য]]" (Wildlife Sanctuary), "[[জাতীয় উদ্যান]]" (National Park), "[[সংরক্ষিত এলাকা]]" (Game Reserve) এবং "[[চিত্তবিনোদন উদ্যান]]" (Recreation Park) হিসেবে ঘোষণা করতে পারে।
 
বন্যপ্রাণী আইনের আওতায় একটি "বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা পরিষদ" গঠনের জন্য বিধি রয়েছে। এই আইনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল তিনটি তফসিলে বর্ণিত বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর নাম। কোন তফসিলে বর্ণিত কোন প্রাণীকে হত্যা করা যাবে বা যাবে না তার উল্লেখ রয়েছে। এটি বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী সংরক্ষণের জন্য একটি বলিষ্ঠ অধ্যায়।
১৬ নং লাইন:
 
=====প্রথম খণ্ড=====
[[File:Baer's Pochard RWD4.jpg|thumb|[[বেয়ারের ভুতিহাঁস]], [[মহাবিপন্ন]] প্রজাতি হলেও এই আইনে প্রজাতিটিকে লাইসেন্সের মাধ্যমে শিকার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।]]
 
প্রথম খণ্ডে কিছু কিছু দেশীয় প্রজাতির [[পাখি]], [[সরীসৃপ]] ও [[স্তন্যপায়ী প্রাণী|স্তন্যপায়ী প্রাণীর]] তালিকা রয়েছে যেগুলো শিকারের যোগ্য। এসব প্রজাতি সাধারণ গেম হান্টিং লাইসেন্সের আওতায় শিকার করা যাবে। এই তফসিলে হাঁসজাতীয় পাখিদের মধ্যে রয়েছে [[ধূসর রাজহাঁস]], [[দাগি রাজহাঁস]], [[ছোট সরালী]], [[চখাচখি]], [[উত্তুরে লেঞ্জা হাঁস]], [[উত্তুরে খুন্তেহাঁস]], [[পিয়াং হাঁস]], [[লালশির]], [[বেয়ারের ভুতিহাঁস]], [[পাতি ভুতিহাঁস]], [[রাঙ্গামুড়ি]] সহ আরও অনেক প্রজাতি। বক গোত্রের পাখিদের মধ্যে রয়েছে [[কানি বক]], [[গোবক]] ও ছোট সাদা বক। ডুবুরি গোত্রের মধ্যে [[ডুবুরি (পাখি)|ছোট ডুবুরি]] ও কাস্তেচরা গোত্রের মধ্যে [[ইউরেশীয় চামচঠুঁটি]] এই খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। আরও রয়েছে কয়েক প্রজাতির চাপাখি, বাটান ও চ্যাগা এই খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে [[খেঁকশিয়াল]], [[শশক]] বা খরগোশ (''Lepus nigricollis''), মাউস হেয়ার (''Ochotona roylei'') এবং [[বন্য বরাহ|বন্য শূকরও]]।
 
৩৩ নং লাইন:
# [[হরিণ]], [[সম্বর হরিণ]], [[বাইসন]], [[গয়াল]], [[গৌর]] এবং [[হাতি|হাতির]] শিং ও [[গজদন্ত]]।
# [[ভালুক]], [[উদবিড়াল]], [[বাঘ]], [[চিতাবাঘ]], [[বনবিড়াল]], [[গুইসাপ]], [[হরিণ]], [[সম্বর হরিণ]], [[বনরুই]], [[কুমির]] এবং [[অজগর|অজগরের]] চামড়া।
 
====তৃতীয় তফসিল====
 
এই তফসিলে ২২ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪৮৭ প্রজাতির পাখি এবং ৬৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর নাম সংযোজিত রয়েছে। এসব প্রজাতিকে "[[সংরক্ষিত প্রাণী]]" হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্রাণী শিকার করা, মারা বা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া তফসিলে আরও বলা হয়েছে:
 
# বিষধর সাপ, ইঁদুর, ফলাহারী বাদুড়, চামচিকা প্রভৃতি প্রাণী, অর্থাৎ যেগুলো মানুষের জীবনে হুমকিস্বরূপ, সেগুলো বাদে সকল অপ্রাপ্তবয়স্ক সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী শিকার করা, মারা বা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
# সকল স্ত্রী সংরক্ষিত প্রাণী (ক) গর্ভবতী অবস্থায়, (খ) বাচ্চাকে দুধ পান বা খাবার পরিবেশনরত অবস্থায়, অথবা (গ) বাচ্চাসহ অবস্থায় শিকার করা, মারা বা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
# মানুষখেকো বাঘিনী ও পাগলা হস্তিনী প্রথম তফসিলের দ্বিতীয় খণ্ডের সকল প্রাণী তৃতীয় তফসিলের অন্তর্ভূক্ত।
 
==তথ্যসূত্র==