কদম রসুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অরণ্য (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
অরণ্য (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
== কদম রসুল ==
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় নবীগঞ্জে কদম রসুল দরগাহ অবস্থিত। কদম শব্দের অর্থ পা এবং রাসুল শব্দের অর্থ আল্লাহ্‌ প্রেরিত রাসুল। কদম রসুল বলতে মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর পা অর্থাৎ পায়ের ছাপ কে বোঝায়।<ref name="Hasan">Perween Hasan. "[http://archnet.org/library/documents/one-document.tcl?document_id=3932 The Footprint of the Prophet]." ''Muqarnas''. Vol. 10. Leiden: E.J. Brill. 1993, 335-343.</ref> কদম রসুল দরগায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর কদম মোবারক এর চিহ্ন সম্বলিত একটি পাথর আছে এবং এ জন্যই দরগাহ এর নামকরণ করা হয়েছে কদম রসুল দরগাহ। ১৭শ শতকে রচিত "বাহির-স্থানই গায়েবী" নামক বিখ্যাত গ্রন্থটিতে লেখক মির্জা নাথান নবীগঞ্জের এই পাথরটির কথা উল্লেখ করেছেন।
== উৎপত্তি ==
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)পবিত্র মিরাজের রাত্রে বোরাকে উঠবার পূর্বে আল্লাহ্‌র কুদরতে পাথরে তার পায়ের কিছু ছাপ অংকতি হয়। পরবর্তীতে সাহাবিগণ পদ চিহ্নিত পাথর গুলো সংরক্ষণ করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাথরটি বর্তমানে জেরুজালেমে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া ইস্তাম্বুল,কায়রো এবং দামেস্কে অনুরূপ পাথর সংরক্ষিত আছে।<ref name="Welch">Anthony Welch. "[http://archnet.org/library/documents/one-document.tcl?document_id=8973 The Shrine of the Holy Footprint in Delhi]." ''Muqarnas''. Vol. 14. Leiden: E.J. Brill. 1993, 166-178.</ref>বাংলাদেশে নবীগঞ্জ ছাড়াও চট্টগ্রামে আরও একটি কদম রসুল দরগাহ রয়েছে।
== ইতিহাস ==
ষোল শতকের শেষদিকে মাসুম খাঁ কাবুলি নামে একজন সম্ভ্রান্ত রাজা ছিলেন। ইনি ঈশা খাঁর বন্ধু ছিলেন। তিনি ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে আরব বণিকদের নিকট থেকে বহু অর্থের বিনিময়ে এই মহা মূল্যবান পাথর টি কিনে নেন। এবং এ স্থানে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সুবাদার ইসলাম খান, হারামজাদা শাহজাহান সহ আর অনেক আমির-ওমরা এ স্থান দর্শন করেন। সুলতান শুজা এই দরগার জন্য ৮০ বিঘা জমি দান করেন। সে সময় এখানে কীরকম ইমারত ছিল তা জানা যায় না। তার অনেকএর পরে তৎকালীনঈসা ঢাকারখাঁর একপ্রপৌত্র জমিদারদেওয়ান গোলামমনয়ার নবী ১৭৭৮খান সালেএখানে একটি উচুঁইমারত স্থানতৈরি দেখেকরেন। একটিকিন্তু দরগাহসেই নির্মানইমারতও করেকালের তাতেগর্ভে বিলিন পবিত্রহয়ে পাথরটিযায়। স্থাপনএর করেন।অনেক দরগাহটিপরে তখনতৎকালীন ঢাকায় গম্বুজবসবাসকারী বিশিষ্টকুমিল্লা আকৃতিরজেলার ছিল।টোরা এখনও তাইই আছে। তবেপরগনার জমিদার গোলাম নবীরনবী পরে১৭৭৭ তারখ্রিস্টাব্দে ছেলেনতুন গোলামকরে মোহাম্মদএকটি দরগারদরগাহ ১৮০৫/৬নির্মাণ সালেকরেন সামনেএবং একটিতাতে দ্বিতলপবিত্র মনুমেন্টেরপাথরটি গেট নির্মানস্থাপন করেন। তখন মির্জা নাথানগম্বুজ ১৭শবিশিষ্ট শতকেএকটি রচিতইমারত তারছিল। বিখ্যাতএর "বাহির-স্থানইপরে গায়েবী"গোলাম তেনবীর নবীগঞ্জেরতৃতীয় এইপুত্র পাথরটিরগোলাম কথামোহাম্মাদ উল্লেখ১৮১৪ করেছেন।খ্রিস্টাব্দে সেপশ্চিমদিকের সূত্রদোতলা মতে,তোরণটি এই পাথরটি মাসুম খান কাবুলী (যিনি একজন আফগান সেনা প্রধান ছিলেন। পরে অবশ্য আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহও করেছিলেন।) এক আরব বনিকের কাছ থেকে কিনেনির্মাণ করেন।
== মাজারের বর্ণনা ==
মূল দরগাহের ভেতরে একটি ধাতব পাত্রে গোলাপ জলে পাথরটি ডোবানো অবস্থায় থাকে। পাথরটি অবশ্য এখন আর পূর্বের অকাট আকৃতিতে নেই। সংরক্ষনের সময়ে পাথরটি কেটে অনেকটা পদাকৃতি করা হয়েছে। দরগাহের আশেপাশে অনেকগুলো কবর ও মাজার শরীফ আছে। এ ব্যপারে আমার আগ্রহ কম বলে খুব একটা অনুসন্ধান করিনি।
== কদম রসুলের সত্যতা কতখানি ==
ভুয়া বলেই মনে হয়।
== তথ্যসূত্র ==
<references />
 
[[বিষয়শ্রেণী:স্থাপত্য]]
মূল দরগাহের ভেতরে একটি ধাতব পাত্রে গোলাপ জলে পাথরটি ডোবানো অবস্থায় থাকে। পাথরটি অবশ্য এখন আর পূর্বের অকাট আকৃতিতে নেই। সংরক্ষনের সময়ে পাথরটি কেটে অনেকটা পদাকৃতি করা হয়েছে। দরগাহের আশেপাশে অনেকগুলো কবর ও মাজার শরীফ আছে। এ ব্যপারে আমার আগ্রহ কম বলে খুব একটা অনুসন্ধান করিনি।
[[বিষয়শ্রেণী:প্রত্নতত্ত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:নারায়ণগঞ্জ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলাম]]
[[বিষয়শ্রেণী:দর্শনীয় স্থান]]