ভাস্কর্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
EmausBot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.2+) (বট যোগ করছে: hif:Sculpture, wo:Yatt, zh-min-nan:Tiau-khek
Suvray (আলোচনা | অবদান)
চিত্র
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Psych%C3%A9.jpg|thumb|250px|১৭৮৭ সালে [[এন্টনিও ক্যানোভা]] কর্তৃক [[খোদাই|খোদাইকৃত]] ভাস্কর্য [[সাইকি রিভাইভড বাই লাভ'স কিস]]]]
'''ভাস্কর্য''' ({{lang-en|Sculpture}}) একধরণের [[শিল্পকলা|শিল্পকলাবিশেষ]]। এটিকে অবশ্যই [[ত্রি-মাত্রিক]] হতে হবে। অর্থাৎ, জ্যামিতিশাস্ত্রের ঘণকের ন্যায় ভাস্কর্যের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা থাকতে হবে। [[ভারত]], [[বাংলাদেশ]] এবং [[চীন|চীনের]] ন্যায় বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন ধরণের, বহুমূখী আকৃতির ভাস্কর্য দেখতে পাওয়া যায়। [[রেনেসাঁ]] এবং আধুনিককালে এটি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। [[পুতুল]], [[মুখোশ]], মাটির জিনিসপত্র ভাস্কর্যের উদাহরণ। কিন্তু প্রায় চারশত বছর পূর্বে [[তুরস্ক|তুরস্কে]] ইসলামপন্থী দলের বিধি-নিষেধের কবলে পড়ে সেখানে ভাস্কর্য শিল্পকলার তেমন উন্মেষ ঘটেনি।<ref>Reisman, Arnold. '' Arts in Turkey: How ancient became contemporary'', Charleston, SC, BookSurge Publishing, 2009</ref>
 
'''ভাস্কর্য''' ({{lang-en|Sculpture}}) একধরণেরএক ধরনের [[শিল্পকলা|শিল্পকলাবিশেষ]]। এটিকে অবশ্যই [[ত্রি-মাত্রিক]] হতে হবে। অর্থাৎ, [[জ্যামিতিশাস্ত্র|জ্যামিতিশাস্ত্রের]] ঘণকের ন্যায় ভাস্কর্যের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা থাকতে হবে। [[ভারত]], [[বাংলাদেশ]] এবং [[চীন|চীনের]] ন্যায় বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন ধরণেরধরনের, বহুমূখী আকৃতির ভাস্কর্য দেখতে পাওয়া যায়। [[রেনেসাঁ]] এবং আধুনিককালে এটি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। [[পুতুল]], [[মুখোশ]], [[মাটি|মাটির]] জিনিসপত্র ভাস্কর্যের উদাহরণ। কিন্তু প্রায় চারশত বছর পূর্বে [[তুরস্ক|তুরস্কে]] ইসলামপন্থী দলের বিধি-নিষেধের কবলে পড়ে সেখানে ভাস্কর্য শিল্পকলার তেমন উন্মেষ ঘটেনি।<ref>Reisman, Arnold. '' Arts in Turkey: How ancient became contemporary'', Charleston, SC, BookSurge Publishing, 2009</ref>
 
যিনি প্রস্তরাদি, [[কাঠ]] ইত্যাদি দিয়ে [[মূর্তি]] বা ভাস্কর্য নির্মাণ করেন, তিনি [[ভাস্কর|ভাস্কররূপে]] জনসমক্ষে পরিচিতি লাভ করেন।
 
==ভারতীয় উপমহাদেশ==
খ্রীষ্ট-পূর্ব ৩৩০০-১৭০০ সালে প্রতিষ্ঠিত [[সিন্ধু সভ্যতা|সিন্ধু সভ্যতায়]] প্রথম ভাস্কর্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বর্তমান পাকিস্তানের [[মহেঞ্জোদাড়ো]] এবং [[হরপ্পা|হরপ্পায়]] দেখা গিয়েছিল। পরবর্তীতে [[হিন্দু]], [[বৌদ্ধ]] এবং [[জৈন]] ধর্মের উত্তরণে [[ভারত|ভারতে]] [[ব্রোঞ্জ]] ধাতু ও [[পাথর|পাথরে]] [[খোদাই]] করে সৃষ্টি করা হয় ভাস্কর্যগুলো। সমধিক পরিচিত দেব-দেবীদের [[মূর্তি]] ভাস্কর্য আকারে তৈরী করে [[মন্দির]] কিংবা [[উপাসনালয়|উপাসনালয়ে]] রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তন্মধ্যে [[ইলোরা]] এবং [[অজন্তা|অজন্তা'য়]] পাথরের ভাস্কর্যগুলো বিশ্বেবিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ভাস্কর্য শিল্পকলা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।
 
খ্রীষ্ট-পূর্ব ৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ শতকের মধ্যে [[গুপ্ত সাম্রাজ্য|গুপ্ত সাম্রাজ্যে]] [[মথুরা]] নগরের [[বেলে পাথর]] দিয়ে গড়া ভাস্কর্যগুলো খুবই উচ্চ সৌন্দর্যমণ্ডিত ও উন্নত রূচিশৈলীর পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে [[চীন|চীনের]] [[সুই রাজবংশ|সুই রাজবংশের]] সময়কালীন শিল্পকলার প্রভাব গুপ্ত সাম্রাজ্যে লক্ষ্য করা যায় যা সমগ্র [[পূর্ব এশিয়া|পূর্ব এশিয়ায়]] ছড়িয়ে পড়েছিল। [[আফগানিস্তান|আফগানিস্তানে]] নতুন ধরণেরধরনের ভাস্কর্যকলার চর্চা শুরু হয়। এতে [[শিলা মাটি]], [[কাদা মাটি]], [[চুনাবালি]] ব্যবহার করার মাধ্যমে গুপ্ত সাম্রাজ্য পরবর্তীকালের বহমান ধারা ও ধ্রুপদী শিল্পকলার প্রভাব বিস্তার করেছিল।
 
৮৫০ - ১২৫০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে বর্তমান [[দক্ষিণ ভারত|দক্ষিণ ভারতের]] [[চোল রাজবংশ|চোল রাজত্বকালে]] ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যচিত্রে স্বাতন্ত্র্যরূপ ধারণ করে। এ সময়কালের নির্মিত ভাস্কর্য হিসেবে [[ব্রোঞ্জ]] পদার্থ দিয়ে গড়া [[নটরাজ]] তথা [[শিব|শিবের]] মূর্তি প্রধান উদাহরণ হিসেবে বিবেচ্য।<ref>By common consent, the finest Cola masterpieces are the bronze images of Siva Nataraja. Mitter, p 59</ref> ভারতীয় ভাস্কর্যকলায় এ ধারাটি বিংশ-একবিংশ শতকে এসেও বিকশিত ও প্রবহমান। এর সাথে যুক্ত হয়েছে [[গ্রানাইট পাথর]] যা [[পল্লব রাজবংশ|পল্লব রাজবংশের]] সময়কালীন [[মহাবালিপুরাম|মহাবালিপুরামের]] মন্দিরে দৃশ্যমান। সমকালীন প্রেক্ষাপটে ভারতীয় ভাস্কর্যকলা সাধারণত বহু দেব-দেবীকে ঘিরে আবর্তিত; পাশাপাশি [[ধ্রুব মিস্ত্রি|ধ্রুব মিস্ত্রি'র]] ন্যায় আধুনিক, প্রথিতযশা [[ভাস্কর|ভাস্করও]] গড়ে তুলতে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।
 
==তথ্যসূত্র==