মহাকাশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MerlIwBot (আলোচনা | অবদান)
বট যোগ করছে: lez:Арш
৪ নং লাইন:
 
==আবিষ্কার==
[[চিত্র:Pleiades large.jpg]]
[[মহাশূন্য]] সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষের কৌতুহলের বিষয়। প্রত্যেক [[সভ্যতা]] ও [[মানুষ]] সবসময় [[মহাকাশ]]কে কৌতূহলের দৃষ্টিতে দেখেছে। প্রাচীন সভ্যতা সমূহ ও মানুষেরা মহাশূন্যের ব্যাপারে নানা কাল্পনিক ব্যাখ্যা দিত। যথাঃ [[হাতি]]র উপর উল্টানো থালা, বিশাল [[চাদর]], পবিত্র আত্মা ও দেবতাদের বাসস্থান ইত্যাদি। প্রাচীন গ্রিক, রোমান, মিশরীও, বেবিলনীয়, ভারতীয়, চীনা, মায়া ইত্যাদি সভ্যতা [[মহাশূন্য]]কে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। কিন্তু সকল সভ্যতাই মহাকাশকে বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে কম-বেশি গ্রহন করেছিলো।
 
<big>'''প্রাচীনকালের মহাকাশ আবিষ্কার ও পর্যবেক্ষণ'''</big>
[[চিত্র:Dibuix de Leo.png]]
প্রাচীন গ্রীক ও রোমানরা প্রাচীন [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]] ও পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করেছে। প্রাচীন গ্রীসে মহাকাশ কে দর্শনশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তারা [[নক্ষত্র]] সমূহকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে নানা রুপ দিয়েছিল এবং এগুলোর অধিকাংশের নাম গ্রীক ও রোমান দেবতাদের নামে রাখা হয়। যা এখনও বিজ্ঞানী ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণকারীদের নানা ভাবে সাহায্য করছে। [[চাঁদ]] এবং খালি চোখে দৃশ্যমান গ্রহগুলোর গতিপথও এর অন্তর্ভুক্ত। প্রাচীন গ্রিক ও অন্যান্য সভ্যতা সমূহ এর মাধ্যমে [[রাশিচক্র]] আবিষ্কার করে। [[নক্ষত্র]], [[চাঁদ]], [[ধুমকেতু]] ইত্যাদি প্রাচীনকাল থেকে পর্যবেক্ষণ করে আসছে [[মানুষ]]। ঋতুর পরিবর্তন, [[দিন]]-[[রাত]], নক্ষত্রের স্থান পরিবর্তন (পরবর্তীতে যা [[গ্রহ]] প্রমাণিত হয়) ইত্যাদির হিসাব ও গাণিতিক ব্যাখ্যার সাহায্যে সুপ্রাচীনকাল ও প্রাচীনকালে অনেক সমৃদ্ধি লাভ করে।
 
<big>'''মধ্যযুগের মহাকাশ আবিষ্কার ও পর্যবেক্ষণ'''</big>
[[চিত্র:Bertini fresco of Galileo Galilei and Doge of Venice.jpg]
মধ্যযুগে দূরবীক্ষণ যন্ত্রর আবিষ্কারের ফলে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। হান্স লিপারশে (Hans Lippershey) এবং জাকারিয়াস জেন্সেন (Zacharias Janssen) এর নির্মিত দূরবীক্ষণ [[যন্ত্র]] আরও উন্নত করে তুলেন [[গ্যালিলিও গ্যালিলি]]। গ্যালিলি তার দুরবিনের মাধ্যমে [[বৃহস্পতি গ্রহ]]র উপগ্রহ এবং [[শনি গ্রহ]]র বলয় পর্যবেক্ষণ করতেপেরেছিলেন। [[১৬১১]] সালে [[ইয়োহানেস কেপলার]] একটি [[দূরবীক্ষণ]] যন্ত্র নির্মাণ করেন যা দ্বারা [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]]এ নতুন যুগের সূচনা হয়। এ সময় বুধগ্রহ, [[শুক্রগ্রহ]], [[মঙ্গলগ্রহ]], [[বৃহস্পতিগ্রহ]], [[শনিগ্রহ]] সহ অগণিত [[নক্ষত্র]] ও [[ধূমকেতু]] পর্যবেক্ষণ এবং [[আবিষ্কার]] করা হয়। মধ্যযুগের শেষ পর্যায় [[ইউরেনাস গ্রহ]], [[নেপচুন গ্রহ]], [[প্লুটো]] গ্রহ আরও অনেক [[নক্ষত্র]] ও [[ধূমকেতু]] [[আবিষ্কার]], পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ করা হয়।
 
[[চিত্র:Table of Astronomy, Cyclopaedia, Volume 1, p 164.jpg]]
মধ্যযুগের শেষ পর্যায় [[পদার্থ]], রাসায়ন ও গনিত ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয় জ্যোতিষশাস্ত্রে। মহাজাগতিক বস্তুর গঠন, আকার-আকৃতি, বায়ু মণ্ডল (গ্যাসীয় পদার্থ সমূহ), কক্ষ পথ, আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি ইত্যাদি নির্ণয়র জন্য এসব শাস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার শুরুহয়। এর আগে শুধু গনিতশাস্ত্র ব্যবহার হত।
 
<big>'''আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান (মহাকাশ আবিষ্কার ও পর্যবেক্ষণ)'''</big>
[[চিত্র:HST-SM4.jpeg]]
[[চিত্র:PhilcUK-1274438506.jpg]]
[[১৯৬৯]] খ্রীস্টাব্দের ১৬ই জুলাই [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]] ও মহাকাশ আবিষ্কারের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ অভিযান, প্রথম মনুষ্যবাহী [[মহাকাশযান]] [[অ্যাপোলো ১১]], যা ২০ জুলাই চাঁদে অবতরণ করে। এই অভিযানে অংশনেন দলপ্রধান নীল আর্মস্ট্রং, চালক মাইকেল কলিন্স, এডুইন অল্ড্রিন জুনিয়র এবং কমান্ড মডিউল। পরবর্তীতে আবিষ্কার হয়েছে [[প্লুটো]] সহ অন্যান্য [[বামন গ্রহ]], নেহারিকা, [[ধূমকেতু]], [[কৃষ্ণগহ্বর]]।[[বিজ্ঞান]] ও অত্যাধুনিক [[প্রযুক্তি]] কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী [[কৃত্রিম উপগ্রহ]], [[দূরবীক্ষণ যন্ত্র]] ইত্যাদি। যথাঃ হাবল টেলিস্কোপ। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান মহাবিশ্বকে দূরবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরেছে। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীর কারনে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। তাদের মদ্ধে, আন্নি জাম কেনন (Annie Jump Cannon), মারিয়া মিশেল (Maria Mitchell), সি.ডব্লীউ থমবারগ(C.W. Tombaugh) হানরিটা সোয়ান লেভিট (Henrietta Swan Leavitt) প্রমুখ।
 
==পরিবেশ==
===তাপমাত্রা===