দেবেন্দ্র মোহন বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Adib Khaled (আলোচনা | অবদান)
→‎শিক্ষাজীবন: খুচরো সম্পাদনা
৪ নং লাইন:
 
==শিক্ষাজীবন==
শৈশবে দেবেন্দ্রমোহনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল একটি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে। বালিকা বিদ্যালয় হলেও এতে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত পর্যন্ত সহশিক্ষা চালু ছিল। এর পরএরপর তিনি হাইস্কুলের পড়া স্বীয় কাকা আনন্দমোহন বসু প্রতিষ্ঠিত সিটি স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং এ স্কুল থেকেই [[এন্ট্রান্স]] পাশ করেছেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। এসময় তিনি অভিভাবক হিসেবে পেলেন বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসুকে। এন্ট্রান্স পাশ করেক'রে দেবেন্দ্রমোহন [[প্রেসিডেন্সি কলেজ|প্রেসিডেন্সি কলেজে]] ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর দ্রুত জীবিকা অর্জ্জনের তাগিদে ভর্তি হলেন শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, প্রকৌশলী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। এ সময় তিনি ছাত্রবাসে অবস্তানঅবস্থান করতেন। কিছুদিন পর ম্যালেরিয়ায় আক্রানতআক্রান্ত হয়ে তাকেঁতাঁকে বাড়ী ফিরতেফরেঁ হলো।আসতে হয় ; আর তার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তাঁর আর ফিরে যাওয়া হয় নি। এসময় কবি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] পরামর্শ দিলেন মামা জগদীশচন্দ্রের মত পদার্থবিজ্ঞান পড়তে। দেবেন্দ্রমোহন পুনরায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হলেন পদার্থবিদ্যা আর ভূতত্ত্ব নিয়ে। যথাসময়ে প্রথম শ্রেণী সহ বিএসসি পাস করলেন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে এমএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হলেন।হলেন;- জগদীশচন্দ্র বসু তখন বায়োফিজিক্স ও প্ল্যান্ট ফিজিওলজি নিয়ে গবেষণা করছেন। দেবেন্দ্রমোহন যোগ দিলেন জগদীশচন্দ্রের রিসার্চ গ্রুপে শিক্ষানবিশ গবেষক হিসেবে [3]। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন ইংল্যান্ডে গিয়ে কেমব্রিজে[[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়|কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হলেন। এখানে তিনি ক্যাভেনডিশ ল্যাবে স্যার জে জে থমসন ও চার্লস উইলসনের সাথে কাজ করার সুযোগ লাভ করলেন। ১৯০৮ থেকে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবে কাজ করেছেন দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন লন্ডনের [[রয়েল কলেজ অব সায়েন্স|রয়েল কলেজ অব সায়েন্সে]] ভর্তি হলেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকেই ডিপ্লোমা ও প্রথম শ্রেণীর অনার্স সহ বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
 
==কর্মজীবন==
১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফিরে এলেন দেবেন্দ্রমোহন। দেবেন্দ্রমোহন পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগ দিলেন সিটি কলেজে। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই কলেজটি স্থাপন করেছিলেন তাঁর কাকা আনন্দমোহন বসু। সিটি কলেজে বেশিদিন ছিলেন না দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। দেবেন্দ্রমোহন নব-প্রতিষ্ঠিত সায়েন্স কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের ‘রাসবিহারী ঘোষ প্রফেসর’ পদে যোগ দেন। বিজ্ঞান কলেজে যোগ দিয়েই উচ্চশিক্ষার জন্য ‘ঘোষ ভ্রমণ বৃত্তি’ পেলেন দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে রওনা দিলেন ইউরোপ। ভর্তি হলেন বার্লিনের হামবোল্ড ইউনিভার্সিটিতে। দু’বছর পড়াশোনা ও গবেষণা করলেন প্রফেসর এরিখ রিগনারের গবেষণাগারে। রিগনার দেবেন্দ্রমোহনকে কাজ দিলেন নতুন একটা ক্লাউড চেম্বার তৈরি করে আলফা ও বিটা কণিকার গতিপথ সনাক্ত করার <ref>শ্যামল চক্রবর্তী. বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী. কলকাতা: শিশু সাহিত্য সংসদ