মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nasirkhan (আলোচনা | অবদান)
{{unreferenced}}
তথ্যসূত্র+
১ নং লাইন:
 
{{unreferenced}}
'''মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী''' যিনি সচরাচর '''সাহিত্যিক এয়াকুব আলী চৌধুরী''' নামে অভিহিত বাংলাভাষার একজন লেখক এবং সাংবাদিক। তিনি শিক্ষা সংস্কারের মাধ্যমে পশ্চাৎপদ মুসলমানদের অগ্রগামী করেন।<ref>[http://www.dcrajbari.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=78&Itemid=88 রাজবাড়ী জেলা তথ্য বাতায়ন]</ref>
 
==জন্ম, শিক্ষা==
জন্ম রাজবাড়ী জেলার পাংশার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে ১৮ কার্তিক ১২৯৫-এ। পিতা পুলিশ অফিসার এনায়েতুল্লাহ চৌধুরী। পাংশা হাইস্কুল থেকে এমই এবং রাজবাড়ী [[সূর্যকুমার ইনস্টিটিউশন]] থেকে [[এন্ট্রান্স]] পাস করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি ভর্তি হলেও বিএ ক্লাসে পড়ার সময় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে পড়ায় পড়ালেখা ছাড়তে বাধ্য হন। চিরকুমার ছিলেন এবং সচ্চরিত্র ও ন্যায়নিষ্ঠার জন্য সুপরিচিত।
==কর্মজীবন==
প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় স্বীয় অগ্রজ মাসিক সাহিত্য পত্রিকা [[কোহিনূর]] (১৩০৫-১৩০৮, ১৩১১-১৩১৩, ১৩১৮-১৩১৯ ও ১৩২২) সম্পাদক রওশন আলী চৌধুরী রোগাক্রান্ত হয়ে অক্ষম হয়ে পড়লে তিনি ঐ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ।১৯১৪-১৫ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার জোরওয়ারগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। এরপর রাজবাড়ী সূর্যকুমার ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯২০-২১ খ্রিস্টাব্দে পাংশা হাইস্কুলে শিক্ষকতা করার সময় [[অসহযোগ]] ও [[খেলাফত আন্দোলনে]] যোগদান করেন এবং ফলস্বরূপ ব্রিটিশ সরকারের হাতে কারাদণ্ড ভোগ করেন। কারামুক্তির পর শিক্ষকতায় ইস্তফা দিয়ে কলকাতায় যান এবং মেজো ভাই আওলাদ আলী চৌধুরীর সাথে সাংবাদিকতায় যোগ দেন। তিনি [[বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির]] (৪ সেপ্টেম্বর, ১৯১১) প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। এ সমিতির সম্পাদক হিসেবেও কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। সমিতির মাসিক পত্র [[সাহিত্যিক]]-এর (১৯২৬) যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এয়াকুব আলী চৌধুরী ও কবি গোলাম মোস্তফার যুগ্ম সম্পাদনায় এটি এক বছর যাবৎ প্রকাশিত হয়েছিল। রওশন আলী চৌধুরী ও আওলাদ আলী চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নেন এয়াকুব আলী। শোক-দুঃখ-দারিদ্র্যে নিপতিত হয়ে মাত্র ৪৭-৪৮ বছর বয়সে ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হন। শেষ জীবনের চার-পাঁচ বছর জীবনমৃত অবস্থায় গ্রামের বাড়িতে বাস করেন। মৃত্যুর দুই বছর আগে বঙ্গীয় সরকার মাসিক ২৫ টাকা হিসেবে সাহিত্যিক বৃত্তি মঞ্জুর করেন তাঁর জন্য।<ref>[''এয়াকুব আলী চৌধুরী অপ্রকাশিত রচনা'', সম্পাদক আমীনুর রহমান, প্রকাশক বাংলা একাডেমী, ঢাকা।</ref>
 
==সাহিত্যকৃতি==
১৪ নং লাইন:
*নূরনবী (১৯১৮), শান্তিধারা (১৯১৯),
* মানব মুকুট (১৯২২)।
এছাড়া বাংলা একাডেমী প্রকাশ করেছে ''এয়াকুব আলী চৌধুরী অপ্রকাশিত রচনা'' নামীয় একটি গ্রন্থ। সম্পাদক আমীনুর রহমান।
 
==মৃত্যু==