আবুল কালাম আজাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hindu Patriot (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
Hindu Patriot (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫ নং লাইন:
'''আবুল কালাম মহিউদ্দিন আহমেদ''' ({{lang-ur|{{nastaliq|مولانا ابوالکلام محی الدین احمد آزاد}}}}) ([[১১ নভেম্বর]] [[১৮৮৮]] - [[২ ফেব্রুয়ারি]] [[১৯৫৮]]) ছিলেন একজন বিশিষ্ট [[ভারতীয়]] [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|স্বাধীনতা সংগ্রামী]] ও [[ভারত|স্বাধীন ভারতের]] প্রথম শিক্ষামন্ত্রী। তিনি '''মৌলানা আবুল কালাম আজাদ''' (তাঁর ছদ্মনাম ছিল '''আজাদ''') নামেই অধিক পরিচিত। মৌলানা আজাদ ইসলামি ধর্মশাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন। তরুণ বয়সে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি [[হিন্দু]]-[[মুসলিম]] সম্প্রীতির প্রবক্তা ছিলেন এবং দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে [[ভারত বিভাগ|ভারত বিভাগের]] বিরোধিতা করেছিলেন। এমনকি নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে সামরিক শাসন ও পাকিস্তান ভাগ সম্পর্কেও তিনি ভবিষ্যবাণী করে গিয়েছিলেন।<ref>[http://www.newageislam.com/NewAgeIslamArticleDetail.aspx?ArticleID=2139 Maulana Abul Kalam Azad: The Man Who Knew The Future Of Pakistan Before Its Creation (New Age Islam)]</ref> ১৯৯২ সালে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান [[ভারতরত্ন|ভারতরত্নে]] (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।<ref name="Padma Awards Directory 1954-2007">{{cite web|title=Padma Awards Directory (1954-2007)|url=http://www.mha.nic.in/pdfs/PadmaAwards1954-2007.pdf|publisher=[[Ministry of Home Affairs (India)|]]|accessdate=7 December 2010}}</ref> স্বাধীন ভারতে শিক্ষাবিস্তারে তাঁর উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণে রেখে তাঁর জন্মদিনটি সারা দেশে "জাতীয় শিক্ষা দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।<ref>মৌলানা আজাদের জন্মদিনটি "জাতীয় শিক্ষা দিবস", "শিক্ষক দিবস" নয়। "শিক্ষক দিবস" [[সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন|সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের]] জন্মদিন।</ref>
 
তরুণ বয়স থেকে মৌলানা আজাদ [[উর্দু ভাষা]]য় কবিতা এবং ধর্ম ও দর্শন-সংক্রান্ত নিবন্ধ রচনা করতে শুরু করেন। তিনি সাংবাদিকতার পেশা গ্রহণ করে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ শাসনের]] সমালোচনা করেন এবং [[ভারতীয় জাতীয়তাবাদ]]কে সমর্থন জানান। পরে আজাদ [[খিলাফৎ আন্দোলন|খিলাফৎ আন্দোলনের]] নেতৃত্ব দান করেন। সেই সময় তিনি [[মহাত্মা গান্ধী]]র সংস্পর্শে আসেন। আজাদ ১৯১৯ সালের [[রাওলাট আইন|রাওলাট আইনের]] বিরুদ্ধে গান্ধীজির অহিংস অসহযোগের ধারণায় অনুপ্রেরিত হয়ে [[অসহযোগ আন্দোলন]] সংগঠনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯২৩ সালে তিনি [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি।
তরুণ বয়সে আজাদ দর্শণ ও ধর্মের উপর [[উর্দু|উর্দুতে]] কবিতা লিখতেন। তিনি একজন প্রসিদ্ধ সাংবাদিক হয়ে উঠেন। তিনি মূলত ব্রিটিশ রাজত্ব ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের উপর লিখতেন। [[খেলাফত আন্দোলন|খেলাফত আন্দোলনের]] সাথে যুক্তহবার সময় থেকেই আজাদ [[মহাত্মা গান্ধী|মহাত্মা গান্ধীর]] সংস্পর্শে আসেন। আজাদ গান্ধীর ''অহিংস আন্দোলন''-এর এক চরম ভক্ত হয়ে উঠেন। আজাদ মহাত্মা গান্ধীর "স্বদেশী'' আন্দোলনের সমর্থন করেন এবং বিদেশী পণ্য বর্জন করতে মানুষকে আহব্বান জানান।
 
মাওলানা আজাদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্‌র দ্বি-জাতি তত্ত্ব সমর্থন করেন নাই এবং দেশ বিভাগের পর ভারতে থেকে যান। তিনি ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী।
 
== শৈশব জীবন ==