ঢাকা মেডিকেল কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Eingangskontrolle (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
পরিষ্কার করা হল।
১২ নং লাইন:
|campus = [[urban area|Urban]], ২৫ একর (০.১০১ বর্গকিলোমিটার)
}}
[[চিত্র:File:Dhaka Medical College and Hospital.jpg|থুম্ব]]
'''ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] রাজধানী [[ঢাকা|ঢাকায়]] অবস্থিত একটি সরকারী মেডিকেল কলেজ। এটি ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যা বর্তমানে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শীর্ষস্থানীয় [[চিকিৎসাবিজ্ঞান]] বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে প্রতি বছর ১৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
 
৯২ ⟶ ৯১ নং লাইন:
</div>
 
=== নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনঃ আন্দোলন===
ডাক্তাররা [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ|এরশাদ]] সরকার ঘোষিত গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতির বিরুদ্ধে বিএমএর ব্যানারে ডাক্তাররা ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ২৭ নভেম্বর [[পিজি হাসপাতাল|পিজি হাসপাতালে]] বিএমএর এমনই একটি সভায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে যাবার পথে এরশাদ সরকারের ভাড়াটিয়া গুণ্ডাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৩৪ ব্যাচের ছাত্র, ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক [[শামসুল আলম খান মিলন|ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন]]। এতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বেগবান হয় এবং ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
 
== বিভিন্ন জাতীয় দুর্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ==
বিভিন্ন দুর্যোগময় মুহূর্তে এই কলেজের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ তাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেবার হাত প্রসারিত করে। ১৯৫৪ সালে ভয়াবহ বন্যা, ১৯৬৯ সালে ডেমরার টর্নেডো, ১৯৭০ সালে উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ গোর্কি, ১৯৮৮ সালের শতাব্দীর দীর্ঘতম বন্যা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই কলেজের ছাত্রদের ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। এই কলেজের ছাত্র ডাঃ মোঃ শাহরিয়ার (কে-৩০) ৮৮ সালের বন্যায় ত্রাণকার্য পরিচালনা করতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণ করেন।
== হাসপাতাল ভবন ==
শুরুতেই নিজস্ব কোন কলেজ ভবন না থাকলেও বর্তমান হাসপাতাল ভবনটি ছিল অনেক আগে থেকেই। ১৯০৪ সালে নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের সচিবালয় হিসেবে ভবনটি স্থাপিত হয়। নতুন প্রদেশের স্বল্পস্থায়ী মেয়াদে এটি সচিবালয় হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ১৯২১ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার যাত্রা শুরু করে, ভবনটির কর্তৃত্ব পায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সময় বিশাল এই ভবনের একপাশে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, একাংশে ছিল ছাত্রদের ডরমেটরি এবং বাকি অংশ [[চারুকলা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|কলা অনুষদের]] প্রশাসনিক শাখা হিসেবে ব্যবহৃত হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তখন পুরো ভবনটিতেই স্থাপিত হয় ‘আমেরিকান বেস হাসপাতাল’। তবে যুদ্ধ শেষে মার্কিনীরা চলে গেলেও ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি থেকে যায়।
 
== ছাত্রাবাস ==
প্রাথমিক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের কোন ছাত্রাবাস ছিল না। তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রমেশ চন্দ্র মজুমদার ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থা করেন। এ সময় মুসলমান ছাত্ররা সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে, হিন্দু ছাত্ররা ঢাকা হলে (বর্তমানে জগন্নাথ হল), খ্রিস্টান ছাত্ররা সদরঘাটের ব্যাপ্টিস্ট মিশনে থাকত। আর ছাত্রীরা থাকত নার্সিং হোস্টেলে। ১৯৪৭ সালে বর্তমান নার্সিং ইনস্টিটিউটের স্থানে নিজস্ব ছাত্রী হোস্টেল স্থাপিত হয়। ছাত্রদের জন্য টিনশেডের তৈরি একেকটি বাড়ি ‘ব্যারাক’ নামে সুপরিচিত ছিল। প্রথমে ১১টি, পরে আরো দুই দফায় ৬টি ও ৩টি মোট ২০টি ব্যারাক নির্মিত হয়। এই নিয়েই ছিল ডিএমসির আদি ছাত্রাবাস, যেখান থেকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা। এখানেই স্থাপিত হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের হাতে গড়া প্রথম শহীদ মিনার।
 
ব্যারাক ফিস্ট এবং গ্র্যান্ড ফিস্ট ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। খাবারের তালিকায় থাকত পোলাও, চিকেন রোস্ট, রুই মাছের কালিয়া, দই, রথখোলার মরণচাঁদের কাঁচাগোল্লা আর নানারকম ফল। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী হোস্টেল ফিস্টে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালে বর্তমান ছাত্রী হোস্টেল স্থাপিত হয়, যা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে ‘ডাঃ আলীম চৌধুরী হল’ নামকরণ করা হয়। এই হলে ৭৬ টি রুম আছে- যার সামনের অংশের প্রতি রুমে ৩ জন এবং পেছনের অংশের প্রতি রুমে ২ জন করে থাকতে পারে। সমপ্রতি হলটির ঊর্ধ্বমুখী সমপ্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ছাত্রীদের দীর্ঘ দিনের আবাসন সমস্যা দূরীভূত হবে।
 
বর্তমানে যে ছাত্রী হলটি ‘ডাঃ মিলন হল’ নামে পরিচিত, তা ১৯৯২ সালের পূর্বে ডাঃ আলীম চৌধুরী হলেরই অংশ ছিল। এ হলে রয়েছে ১১৬টি রুম। আর প্রতি রুমে থাকতে পারে ২ জন করে। সমপ্রতি এ হলটিরও ঊর্ধ্বমুখী সমপ্রসারণ করা হয়েছে। প্রারম্ভিক সময়ে ঢাকা মেডিকেল ছাত্রী সংখ্যা খুব বেশি না থাকায় ছাত্রী হোস্টেলগুলিতে রুম সংখ্যা ছিল কম। বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আবাসন সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। তাই পূর্বের হলগুলির ঊর্ধ্বমুখী সমপ্রসারণের পাশাপাশি একটি নতুন ইন্টার্নি হলও স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ছাত্রদের বকশীবাজার মোড়ের বর্তমান হলটি নির্মিত হয় ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সালে। ১৯৭২ সালে যার নামকরণ করা হয় ‘শহীদ ডাঃ ফজলে রাব্বি’র নামে। হলের ৪ তলা মেইন বিল্ডিং এ রুম সংখ্যা ১৩৪, আর প্রতি রুমে ৩ জনের স্থান সংকুলান হয়। ৩ টি ৪ তলা ব্লকে মোট রুম সংখ্যা ৯৬, প্রতি রুমে থাকে ২ জন করে।
 
বর্তমানে যে ছাত্রী হলটি ‘ডাঃ মিলন হল’ নামে পরিচিত, তা ১৯৯২ সালের পূর্বে ডাঃ আলীম চৌধুরী হলেরই অংশ ছিল। এ হলে রয়েছে ১১৬টি রুম। ছাত্রদের বকশীবাজার মোড়ের বর্তমান হলটি নির্মিত হয় ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সালে। ১৯৭২ সালে যার নামকরণ করা হয় ‘শহীদ ডাঃ ফজলে রাব্বি’র নামে।
১৯৭৪-৭৫ সালে ইন্টার্নি ডাক্তারদের জন্য শহীদ ডাঃ ফজলে রাব্বি হলের পাশে পৃথক হোস্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়, পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় ‘শহীদ ডাঃ মিলন ইন্টার্নি হোস্টেল’। এর পূর্বে ইন্টার্নি ডাক্তাররা চাঁনখারপুলের কাছে ওল্ড পিজি হোস্টেলে থাকত।
 
== ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলামনি ট্রাস্ট ==
ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ১৯৮৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলামনি ট্রাস্ট গঠিত হয়। মেডিকেল শিক্ষার উন্নয়ন, শিক্ষা উপকরণ সংগ্রহ, ধারাবাহিক শিক্ষা প্রকল্প পরিচালনা ও গরিব মেধাবী ছাত্রদের সাহায্য করা ট্রাস্টের মূল লক্ষ্য। নতুন ইন্টার্নিদের সংবর্ধনা প্রদান ট্রাস্টের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। এছাড়াও ট্রাস্ট ১৯৮৯ সালে পুনর্মিলনী, ২০০১ সালে মিলেনিয়াম গেট-টুগেদার ও ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৮ সালের ১০ জুন ডিএমসি ডে আয়োজন করে। বর্তমানে অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম ও অধ্যাপক সৈয়দ মাহ্‌বুবুল আলম সভাপতি ও সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন।এরএর অফিস ঢাকা মেডিকেল কলেজ ভবনের নিচতলায় অবস্থিত।
 
== অধ্যক্ষ ==
শুরু থেকেই অদ্যাবধি যাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
একটি মেডিকেল কলেজের কর্ণধার হলেন এর অধ্যক্ষ। তাঁকে যেমন একাডেমিক বিষয়ের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয় তেমনি ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার দায়িত্বও তাঁর। প্রথমে কলেজ ও হাসপাতাল উভয়ের দায়িত্ব অধ্যক্ষের থাকলেও, পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে হাসপাতালের দায়িত্ব পরিচালকের উপর ন্যস্ত করা হয়। সেই শুরু থেকেই অদ্যাবধি যাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তাঁদের রোল অফ অনার নিচে সন্নিবেশিত হল।
 
{| class="wikitable sortable" style="width:auto"
১৩৫ ⟶ ১২৯ নং লাইন:
|-
|৭.||align="center"| অধ্যাপক নওয়াব আলী||align="center"|২১.০১.৫৫ - ০১.০২.৫৭
|-
|৮.||align="center"| অধ্যাপক মোঃ রেফাত উল্লাহ||align="center"|০১.০২.৫৭ - ০১.০৯.৫৮
|-
|৯.||align="center"| অধ্যাপক হাবিবউদ্দিন আহমেদ||align="center"|০২.০৯.৫৮ - ০৪.০৬.৫৯
|-
|১০.||align="center"| ডাঃ লেঃ কর্নেল এম এম হক||align="center"|০৪.০৬.৫৯ - ১১.০৯.৬৩
|-
|১১.||align="center"| অধ্যাপক এ কে এস আহমেদ||align="center"|১১.০৯.৬৩ - ২৮.১২.৬৩
|-
|১২.||align="center"| ডাঃ জি কিবরিয়া||align="center"|২৮.১২.৬৩ - ০৮.০২.৬৪
|-
|১৩.||align="center"| ডাঃ লেঃ কর্নেল বোরহানুদ্দিন||align="center"|০৯.০২.৬৪ - ২৭.০১.৬৯
|-
|১৪.||align="center"| অধ্যাপক কে এ খালেক||align="center"|২৭.০১.৬৯ - ৩০.১২.৭০
|-
|১৫.||align="center"| ডাঃ সাইফুল্লাহ||align="center"|০১.০১.৭১ - ২০.০৫.৭১
|-
|১৬.||align="center"| অধ্যাপক এম আর চৌধুরী||align="center"|২৫.০৫.৭১ - ০২.০৭.৭৪
|-
|১৭.||align="center"| অধ্যাপক এম এ জলিল||align="center"|৩০.০৩.৭৪ - ০৬.০৫.৭৬
|-
|১৮.||align="center"| অধ্যাপক এম এ কাসেম||align="center"|০৭.০৫.৭৬ - ০১.১০.৭৮
|-
|১৯.||align="center"| অধ্যাপক মোঃ শহিদউল্লাহ||align="center"|০২.১০.৭৮ - ২৫.১১.৮০
|-
|২০.||align="center"| অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম||align="center"|২৫.১১.৮০ - ০১.১০.৮১
|-
|২১.||align="center"| অধ্যাপক এম এ মাজেদ ||align="center"|০১.১০.৮১ - ০২.০৭.৮২
|-
|২২.||align="center"| অধ্যাপক এম আই চৌধুরী||align="center"|০২.০৭.৮২ - ৩১.০১.৮৫
|-
|২৩.||align="center"| অধ্যাপক মির্জা এম ইসলাম||align="center"|৩১.০১.৮৫ - ৩১.১২.৮৬
|-
|২৪.||align="center"| অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ||align="center"|৩১.১২.৮৬ - ৩০.০১.৯০
|-
|২৫.||align="center"| অধ্যাপক এম কবিরউদ্দিন আহমেদ||align="center"|৩১.০১.৯০ - ৩০.০৩.৯১
|-
|২৬.||align="center"| অধ্যাপক জহুরুল মাওলা চৌধুরী||align="center"|৩০.০৩.৯১ - ১৪.০১.৯৫
|-
|২৭.||align="center"| অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ ||align="center"|১৪.০১.৯৫ - ২২.০১.৯৫
|-
|২৮.||align="center"| অধ্যাপক এম এ হাদী||align="center"|২২.০১.৯৫ - ১৮.০৭.৯৬
|-
|২৯.||align="center"| অধ্যপাক আ ব ম আহসানউল্লাহ||align="center"|১৮.০৭.৯৬ - ১৯.০৯.৯৯
|-
|৩০.||align="center"| অধ্যাপক এ কে এম ডি শহিদুল ইসলাম ||align="center"|১৯.০৯.৯৯ - ২৯.০৮.০১
|-
|৩১.||align="center"| অধ্যাপক মোঃ আঃ কাদির খান||align="center"|২৯.০৮.০১ - ১৫.১১.০১
|-
|৩২.||align="center"| অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ||align="center"|১৫.১১.০১ - ০৭.০৮.০৩
|-
|৩৩.||align="center"| অধ্যাপক মোঃ ফজলুল হক||align="center"|০৭.০৮.০৩ - ২৯.০৯.০৩
|-
|৩৪.||align="center"| অধ্যাপক হোসনে আরা তাহমিন (চারু)||align="center"|২৯.০৯.০৩ - ২৬.০৬.০৬
|-
|৩৫.||align="center"| অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মাহ্‌বুবুল আলম||align="center"|২৬.০৬.০৬ - ০১.০৩.০৭
|-
|৩৬.||align="center"| অধ্যাপক মোঃ আবুল ফয়েজ||align="center"|০১.০৩.০৭ - ২২.০১.০৮
|-
|৩৭.||align="center"| অধ্যাপক মোঃ মারগুব হোসেইন (ভারপ্রাপ্ত)||align="center"|২২.০১.০৮ - ২৭.০১.০৮
|-
|৩৮.||align="center"| অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ || ২৭.০১.০৮ -
২০০ ⟶ ১৩৪ নং লাইন:
 
== ছাত্র সংসদ ==
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (ঢামেকসু) কলেজের ছাত্র কল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য নির্বাচিত ছাত্র সদস্যদের সংগঠন। ঢামেকসু তার জন্মলগ্ন হতেই তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্য এক উচ্চতায় আরোহণ করে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তৎকালীন সহ-সভাপতি গোলাম মওলা সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (ঢামেকসু) কলেজের ছাত্র কল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য নির্বাচিত ছাত্র সদস্যদের সংগঠন। সংবিধান অনুসারে অধ্যক্ষ পদাধিকারবলে সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, ৬জন সম্পাদক এবং ১২ জন সদস্য ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। ছাত্র সংসদে রয়েছে ৬ টি সেকশন- এথলেটিক,কমনরুম,স্পোর্টস,সাহিত্য,সমাজকল্যাণ এবং এন্টারটেইনমেন্ট। প্রতিটি সেকশনের দায়িত্বে থাকেন ১ জন সম্পাদক ও ২ জন করে সদস্য। প্রতিটি সেকশনের জন্য কিছু দায়িত্ব নির্ধারিত থাকে। যেমন এথলেটিক সেকশন সকল আউটডোর গেমস (ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি) আয়োজন করে, কমনরুম সেকশন পরিচালনা করে কমনরুম লাইব্রেরি, দৈনিক সংবাদপত্র এবং সকল ইনডোর গেমস (টেবিল টেনিস, দাবা ইত্যাদি), স্পোর্টস সেকশনের দায়িত্ব হল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, সাহিত্য সেকশন কলেজ বার্ষিকী প্রকাশনা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং দেয়ালিকা প্রকাশ করে, সমাজকল্যাণ সেকশনের দায়িত্ব হল- হল ও কলেজে বিবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং এন্টারটেইনমেন্ট সেকশনের কাজ হল বার্ষিক নাটক ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করা। সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সবগুলি সেকশনের কর্মকাণ্ড তত্ত্বাবধান করে এবং তদনুসারে বার্ষিক বাজেট ও রিপোর্ট পেশ করেন।
 
ঢামেকসু তার জন্মলগ্ন হতেই তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্য এক উচ্চতায় আরোহণ করে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তৎকালীন সহ-সভাপতি গোলাম মওলা সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচনও ডিএমসি ক্যাম্পাসকে উৎসবমুখর করে তোলে। প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার অংশ হিসেবে ফ্লাইং ক্লাবের প্লেন থেকে হোস্টেলের উপর ‘কোয়ালিশন ফ্রন্টে’র লিফলেট ফেলা হয়। ঐ নির্বাচনে বিজয়ী কোয়ালিশন ফ্রন্টের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ‘প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্ট’। দ্বিতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় ‘পায়োনীয়ার পার্টি’ও ‘প্রোগ্রেসিভ পার্টি’। দলগুলির নেতা-কর্মীদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও তারা কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনুসারী ছিলেন না।
 
কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে এই কলেজে কোন সংগঠিত ছাত্র সংগঠন ছিলো না। কিন্তু অনেক ছাত্র বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক কিংবা সার্বক্ষণিক কর্মী ছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজন রাজনীতির কারণে লেখাপড়া পর্যন্ত ত্যাগ করেছিলেন। ১৯৪৯ সালে এই কলেজের ছাত্র এবং ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের সংগঠক রংপুরের আমজাদ হোসেন, আব্দুল হাই, শামসুল হুদাকে কর্তৃপক্ষ কলেজ থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে কয়েকজন ছাত্র ‘অগ্রগামী’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন দাড় করান। পরে ‘যাত্রিক’ গঠিত হয়। ১৯৫৮ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে ‘অভিযাত্রিক’ করা হয়। ষাটের দশকে অগ্রগামী কর্মী ও সমর্থকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাম রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল এবং তাদের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের যোগাযোগ ছিল। অপরদিকে অভিযাত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পূর্ব পাকিস-ান ছাত্রলীগ ও ছাত্রশক্তির। পরবর্তীতে অগ্রগামী ও অভিযাত্রিক থেকে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাসদ ছাত্রলীগ এবং আশির দশকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মকাণ্ড ঢাকা মেডিকেলে শুরু হয় এবং পরবর্তী বিভিন্ন সময়ের নির্বাচনে দলগুলি অংশগ্রহণ করে।
 
রোল অফ অনার
সহ-সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বর্ষ
নাজির আহমেদ আবু সিদ্দীক মিয়া ১৯৫০-৫১
গোলাম মওলা শরফুদ্দীন ইঞ্জিনিয়ার ১৯৫১-৫২
জাহিদ হোসেন আবুল হাশিম ১৯৫২-৫৩
আবুল হাশিম আব্দুল হালিম ১৯৫৩-৫৪
কবির উদ্দিন আহমেদ খন্দকার মোঃ আলমগীর ১৯৫৪-৫৫
আব্দুল হালিম শামসুর রহমান ১৯৫৫-৫৬
নুরুল ইসলাম মকছুদুর রহমান ১৯৫৬-৫৭
আনোয়ারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর খালেদ ১৯৫৮-৫৯
মকছুদুর রহমান আব্দুল লতিফ মল্লিক ১৯৫৯-৬০
আহমেদ জামান বদরুদোজা ১৯৬১-৬২
সিদ্দিকুর রহমান শেখ হায়দার আলী ১৯৬২-৬৩
এইচ এম নুরুল আলম জাফর উল্লাহ চৌধুরী ১৯৬৩-৬৪
মীর্জা আব্দুস সোবহান সারওয়ার আলী ১৯৬৪-৬৫
নাসির উল্লাহ সোলেমান মন্ডল ১৯৬৫-৬৬
আব্দুল মান্নান চৌধুরী ফখরুল ইসলাম ১৯৬৬-৬৭
রুহুল হক আশিকুল আলম ১৯৬৭-৬৯
শহিদুল ইসলাম মাহাবুবুর রহমান ১৯৬৯-৭০
জাহিদ হোসেন কাজী শহিদুল আলম ১৯৭২-৭৩
কামাল উদ্দিন আহমেদ বেনজীর কামাল বেনু ১৯৭৩-৭৪
রুহুল আমীন শিশির ১৯৭৪-৭৫
আব্দুল আউয়াল রিজভী
(সাধারণ সম্পাদক) শহীদ হোসেন
(সহ-সাধারণ সম্পাদক) ১৯৭৭-৭৮*
মেসবাহ উদদীন আহমেদ
(সাধারণ সম্পাদক) শওকত আলী মিয়া
(সহ-সাধারণ সম্পাদক) ১৯৭৮-৭৯*
মোজাম্মেল হোসেন খান এমদাদুল হক মনা ১৯৭৯-৮০
মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী এ এস এম তাহের ১৯৮০-৮১
চৌধুরী মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন
(মহা-আহ্বায়ক) সাইফুল্লাহ খান
(সহ-মহা-আহ্বায়ক) ১৯৮২-৮৪
রুহুল আবিদ লিখন আনোয়ারুল হক ১৯৮৪-৮৬
লিয়াকত হোসেন মনিলাল আইচ ১৯৮৮-৮৯
ফরহাদ আলী খান আবেশ কুমার ভট্টাচার্য ১৯৯০-৯১
শরফুল ইসলাম খান ববি আহমেদ জাহেদ হোসাইন সোহেল ১৯৯১-৯২
মোঃ সায়েফ উল্লাহ মোঃ ইব্রাহীম চৌধুরী ১৯৯২-৯৩
মুস্তাফিজুল আজিজ জামী এম এ আলীম ১৯৯৩-৯৪
তৌহিদ উল ইসলাম মোঃ নুরুজ্জামান খান ১৯৯৫-৯৬
আই মোঃ জাকারিয়া বিপ্লব কুমার রায় ১৯৯৭-৯৮
বিদ্যুৎ বড়ুয়া জাহেদুর রহমান ১৯৯৯-০০
মোশাররফ হোসেন রাজিবুল হক ২০০০-০১
জাভেদ আহমেদ মোঃ মাহমুদুর রহমান ২০০১-০২
ইয়াসির আরশাদ মেহমুদ-উজ-জামান ২০০৪-০৫
 
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে মাঝে কিছু সময় বিভিন্ন কারণে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
* এই দুই সেশনে ছাত্র কল্যাণ পরিষদ গঠিত হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==