দিবালোক সংরক্ষণ সময়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ফিক্স
তথ্যসূত্র দিয়ে তথ্যসূত্রহীন বক্তব্য সরানো হলো
১ নং লাইন:
[[File:Daylight savings time world.png|thumb|300px]]
 
'''দিবালোক সংরক্ষণ সময়''' বা '''ডেইলাইট সেইভিং টাইম''' ({{lang-bn|Daylight Saving Time}}), সংক্ষেপে '''ডিএসটি''' (DST) হলো ঘড়ির সময় ১ অথবা ২ ঘন্টা এগিয়ে দেওয়ার একটি রীতি, যাতে ঘড়ির কাটার হিসাবে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উভয়ই এক ঘণ্টা পরে ঘটে এবং বিকেলের ভাগে একটু অতিরিক্ত সময় সূর্যালোক পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। সাধারণত এই রীতিতে [[পৃথিবী|পৃথিবীর]] উত্তর গোলার্ধে বসন্তকালে ঘড়ির কাঁটা ১ ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়া হয় এবং শরতে আবার তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া হয়। [[১৭৮৪]] খ্রিস্টাব্দে [[বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন]] তাঁর একটি খামখেয়ালিপূর্ণ প্রবন্ধে প্রথম এই নাটকীয় ব্যবস্থার ধারণা তুলে ধরেন; পরবর্তিতে এই ধারণাটি প্রথম ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে সাধারণ্যের সামনে তুলে ধরেন উইলিয়াম উইলেট নামের একজন ব্রিটিশ নির্মাতা ''ওয়েস্ট অফ ডেলাইট'' নামক একটি প্যামপ্লেটে।<ref name="Encarta">''Daylight Saving'', Microsoft Encarta Encyclopedia 2004 Deluxe, CD Version. পরিদর্শনের তারিখ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
'''দিবালোক সংরক্ষণ সময়''' বা '''ডেইলাইট সেইভিং টাইম''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Daylight Saving Time), সংক্ষেপে ডিএসটি (DST) হলো ঘড়ি এগিয়ে দেওয়ার একটি রীতি যার ফলে সকালের চেয়ে দুপুরের ভাগে সূর্যালোক বেশিক্ষণ থাকে। জর্জ ভারনোন হাডসন নামে নিউজিল্যাণ্ডের একজন এনটোমোলজিস্ট এটি প্রথম প্রস্তাব করেন। তখন থেকে বিভিন্ন দেশে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০০৯ সালের ২০ জুন থেকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] প্রথমবারের মত ডিএসটি ব্যবহৃত হয়।
<!--জর্জ ভারনোন হাডসন নামে নিউজিল্যাণ্ডের একজন এনটোমোলজিস্ট এটি প্রথম প্রস্তাব করেন। তখন থেকে বিভিন্ন দেশে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।-->
 
==প্রয়োগ==
এই পদ্ধতিটি বিতর্কিত। বিকালের দিকে আলো যোগ করলে কেনাকাটা, খেলাধুলা সহ অন্যন্য যে সকল কাজে আলো বেশি কাজে সেগুলো লাভবান হলেও কৃষিকাজ, সান্ধ্যকালীন প্রমোদসহ বেশ কিছু কাজের সমস্যা করে। তবে বিকালের দিকে বেশি সময় অালো থাকলে সড়ক দূর্ঘটনার হার কমে যায় ; তবে স্বাস্থ্য ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এর প্রভাব অস্পষ্ট। ডিএসটি'র প্রাথমিক লক্ষ্য সান্ধ্যকালীন আলোর ব্যবহার হ্রাস।
দিবালোক সংরক্ষণ সময় সেই [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]] থেকেই [[যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে ব্যবহৃত হয়, যখন এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয় শক্তি উৎপাদনে জ্বালানী খরচ কমানোর জন্য। কোনো কোনো অঞ্চল পরবর্তিতে প্রকৃত সময়ে ফিরে এলেও এখনও অনেক দেশ এই পদ্ধতির ব্যবহার করে থাকে।<ref name="Encarta"/>
===বাংলাদেশ===
২০০৯ সালের ২০ জুন থেকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] প্রথমবারের মত ডিএসটি ব্যবহৃত হয়।
 
==বিতর্ক==
ডিএসটি'র ফলে ঘড়ির সময়ের পরিবর্তন অন্যান্য চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করে। এর ফলে সময়ের হিসাব জটিল হয়ে পড়ে, মিটিং, ভ্রমণ, রেকর্ড সংরক্ষণ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি, ভারি জিনিষপত্র ও ঘুমের ধারার ব্যাঘাত ঘটে। অনেক কম্পিউটার নির্ভর ব্যবস্থা তাদের ঘড়িগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করে নিলেও, এতে ভুলের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে, বিশেষ করে যখন ডিএসটি'র নিয়ম বদলে ফেলা হয়।
এই পদ্ধতিটি বিতর্কিত। বিকালের দিকে আলো যোগ করলে কেনাকাটা, খেলাধুলা সহ অন্যন্য যে সকল কাজে আলো বেশি কাজে সেগুলো লাভবান হলেও কৃষিকাজ, সান্ধ্যকালীন প্রমোদসহ বেশ কিছু কাজের সমস্যা করে। তবে বিকালের দিকে বেশি সময় অালো থাকলে সড়ক দূর্ঘটনার হার কমে যায় ; তবে স্বাস্থ্য ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এর প্রভাব অস্পষ্ট। ডিএসটি'র প্রাথমিক লক্ষ্য সান্ধ্যকালীন আলোর ব্যবহার হ্রাস। ডিএসটি'র ফলে ঘড়ির সময়ের পরিবর্তন অন্যান্য চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করে। এর ফলে সময়ের হিসাব জটিল হয়ে পড়ে, মিটিং, ভ্রমণ, রেকর্ড সংরক্ষণ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি, ভারি জিনিষপত্র ও ঘুমের ধারার ব্যাঘাত ঘটে। অনেক কম্পিউটার-নির্ভর ব্যবস্থা তাদের ঘড়িগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করে নিলেও, এতে ভুলের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে, বিশেষ করে যখন ডিএসটির নিয়ম বদলে ফেলা হয়।
 
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:ভূগোল]]