বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বাংলাদেশের একটি ছাত্র সংগঠন যা ১৯৮৫ সালের ১০ই জানুয়ারি গঠিত হয়।[১]
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন | |
---|---|
সভাপতি | মশিউর রহমান খান রিচার্ড |
সাধারণ সম্পাদক | সৈকত আরিফ |
প্রতিষ্ঠা | ১০ জানুয়ারি ১৯৮৫ |
সদর দপ্তর | ৩০৬-৩০৭ রোজ ভিউ প্লাজা, ১৮৫ বীরউত্তম সি আর দত্ত রোড, হাতিরপুল, ঢাকা-১২০৫ |
ভাবাদর্শ | সাম্যবাদী চেতনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ও বিশেষভাবে ছাত্র সমাজের স্বার্থ রক্ষাকারী মতাদর্শের অনুশীলন। |
আনুষ্ঠানিক রঙ | |
স্লোগান | শিক্ষা, সাম্য, সংগ্রাম, প্রগতি |
ওয়েবসাইট | |
ছাত্র ফেডারেশন |
লক্ষ্য
লুটেরা শাসক শ্রেণির লেজুড়বৃত্তিমুক্ত শ্রমিকশ্রেণি তথা ব্যাপক সংখ্যক জনগণের পক্ষের রাজনীতি বিকাশে সহায়ক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা।
কেন্দ্রীয় কমিটি
পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং সকলের জন্য ঘুষ তদবির ও দুর্নীতিমুক্ত চাকরির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হোন ও ফ্যাসিবাদের পতনের লক্ষ্যে দুর্বার ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক নিয়ে ৩০ ও ৩১ মার্চ দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশন শেষে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করা হয়। রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও দুটি কার্যকরী সদস্যপদ ফাঁকা রাখা হয় যা পরবর্তীতে পূরণ করা হবে।
- সভাপতি: মশিউর রহমান খান রিচার্ড
- সহ-সভাপতি: সাদিক রেজা
- সাধারণ সম্পাদক: সৈকত আরিফ
- সহ-সাধারণ সম্পাদক: ইলিয়াস জামান, ফাতেমা রহমান বীথি
- সাংগঠনিক সম্পাদক: শুভ দেব, আল আমিন শেখ
- অর্থ সম্পাদক: ফারহানা মানিক মুনা
- দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক: রূপক রায়
- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: মহব্বত হোসেন মিলন
- রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক: (ফাঁকা, পরবর্তীতে পূরণ করা হবে)
- সমাজকল্যাণ সম্পাদক: তানভীর আলম
- স্কুল বিষয়ক সম্পাদক: হাসান আল মেহেদী
- কার্যকরী সদস্য: জিন্নাত আরা সুমু, কলি কায়েয, আরিফ উদ্দীন, জান্নাতুল ফোয়ারা অন্তরা, মোঃ জাবের, সাকিবুল ইসলাম সাফিন, লিমন সরকার, গোলাম মোস্তফা
ইতিহাস
মূলত এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ছাত্র সংগঠনটির আবির্ভাব ঘটে। সংগঠনটির তৎকালীন সভাপতি ফয়জুল হাকিম স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম একজন নেতা ছিলেন। দলটি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, গোলাম আজমের বিচারের দাবীতে গড়ে ওঠা ৯২'এর আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন', ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুননাহার হলে পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ওসমানী উদ্যানের গাছ রক্ষা আন্দোলন, ফুলবাড়ির 'কয়লা খনি' আন্দোলন, টিপাইমুখ বাধ বিরোধী আন্দোলন, ২০-২২ আগষ্টের ছাত্র আন্দোলন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের আন্দোলন, 'টিকফা' চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নেয়।[২]
২০২২ সালের ৩০ ও ৩১ মার্চ ১৩ তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে মশিউর রহমান খান রিচার্ডকে সভাপতি, সাদিক রেজাকে সহ-সভাপতি ও সৈকত আরিফকে সাধারণ সম্পাদক, ইলিয়াস জামান ও ফাতেমা রহমান বিথীকে সহ-সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।[৩]
সংগঠনটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'শিক্ষা, সাম্য, সংগ্রাম, প্রগতির'। বাংলাদেশে মাতৃভাষায় এক ধারায় বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যাবস্থার দাবি জানিয়ে আসছে ছাত্র ফেডারেশন। জাতীয় পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং সবার জন্য ঘুষ-তদবির ও দুর্নীতিমুক্ত চাকরির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও ফ্যাসিবাদের পতনের লক্ষ্যে দুর্বার ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানে ৩০ ও ৩১ মার্চ ২০২২, দুই দিনব্যাপী ছাত্র ফেডারেশনের ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ "প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র ফেডারেশনের মিছিল-সমাবেশ"। banglanews24.com। ১১ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৭"। প্রথম আলো। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "ছাত্র ফেডারেশনের নতুন কমিটি, নেতৃত্বে মোস্তফা-সুজন"। banglanews24.com।