সুভাষচন্দ্র বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
প্রথম নাম পরিবরতন করলাম
৪৮ নং লাইন:
}}
 
'''নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু''' {{অডিও|Bn-নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু.oga|উচ্চারণ}} (২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭ - ?)<!-- <টীকা></টীকা> --> [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের]] এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি এই সংগ্রামে নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেন। তিনি '''নেতাজি''' নামে সমধিক পরিচিত। সুভাষচন্দ্র পরপর দুইবার [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু [[মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী|গান্ধীর]] সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত, কংগ্রেসের বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা<ref group="টীকা>"১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিপুরায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে সুভাষ প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রবর্তনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং এই প্রচেষ্টা কার্যকর করা হলে তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করার আবেদন করেন। এছাড়া সুভাষ কংগ্রেসকে একটি ব্যাপক গণসংগঠনে পরিণত করে জাতীয় আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। কংগ্রেস সভাপতির পদে আসীন থাকার সময় সুভাষচন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বর্জন ও আপোষহীন সংগ্রামের সপক্ষে বলিষ্ঠ মতামত প্রকাশ করেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে জুলাই মাসে এক বিবৃতিতে তিনি ঘোষণা করেন– "কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্য যদি ফেডারেশন সম্পর্কে কোনো আপোষরফায় রাজি হয় তাহলে কংগ্রেস দলে গৃহযুদ্ধের সূচনা হবে।"</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|আধুনিক ভারত (১৯২০–১৯৪৭)|খণ্ড= দ্বিতীয় খণ্ড|লেখক = প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায় |প্রকাশক=পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ|অবস্থান=কলকাতা|সাল=১৯৯৯ |পাতা= ১৫২ }}</ref> এবং বিরুদ্ধ-মত প্রকাশ করার জন্য তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
 
সুভাষচন্দ্র মনে করতেন, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর [[অসহযোগ আন্দোলন|অহিংসা]] এবং সত্যাগ্রহের নীতি ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য যথেষ্ট নয়। এই কারণে তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন। সুভাষচন্দ্র [[সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক|ফরওয়ার্ড ব্লক]] নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং<ref>''আধুনিক ভারত (১৯২০–১৯৪৭)'', দ্বিতীয় খণ্ড, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, কলকাতা, ১৯৯৯, পৃ. ১৫৬</ref> ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের সত্বর ও পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানাতে থাকেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে এগারো বার কারারুদ্ধ করে। তার বিখ্যাত উক্তি "''তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।''"