নীল বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MohammadMonuar (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১০ নং লাইন:
নীল বিদ্রোহ দমন করার জন্য ইংরেজ সরকার ১৮৬০ সালে 'নীল কমিশন' গঠন করে। এই কমিশন সরেজমিনে তদন্ত করে চাষিদের অভিযোগ যথার্থ বলে অভিমত দেয়। ফলে সরকার নীলচাষের ওপর একটি আইন পাস করেন। এতে ১৮৬২/১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান হয়। ১৯০০ সালের মাঝে নিশ্চিন্তপুরের নীলকুঠি উঠে যাওয়ার মাধ্যমে বাংলায় সম্পূর্ণভাবে নীলচাষের অবসান ঘটে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=হোসেন|প্রথমাংশ১=মুহম্মদ ইউসুফ|শিরোনাম=নীল বিদ্রোহের নানাকথা|তারিখ=১৯৯০|প্রকাশক=জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী|অবস্থান=ঢাকা|পাতা=৯৩|ভাষা=বাংলা}}</ref>
 
==প্==
==প্রাচীন ও আধুনিক নীলচাষ==
লুই বোনার্ড নামের একজন ফরাসি বণিকের মাধ্যমে এদেশে আধুনিক পদ্ধতিতে নীলচাষ ও এর ব্যবহার প্রচলন ঘটে। তিনি ১৭৭৭ সালে আমেরিকা থেকে প্রথম নীলবীজ ও আধুনিক চাষের পদ্ধতি এদেশে নিয়ে আসেন। একই বছরে [[হুগলী নদী|হুগলী নদীর]] তীরবর্তী গোন্দালপাড়া ও তালডাঙ্গা গ্রামেগোন্ঙ্গ্ তিনি সর্বপ্রথম নীলকুঠি স্থাপন করেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Buckland|প্রথমাংশ১=Charles Edward|শিরোনাম=Bengal under the lieutenant-governors; being a narrative of the principal events and public measures during their periods of office, from 1854 to 1898|তারিখ=1901|প্রকাশক=S.K. Lahiri|অবস্থান=Calcutta|ইউআরএল=https://archive.org/details/bengalunderlieut02buckiala}}</ref> এর কয়েক বছর পরে [[মালদহ|মালদহে]], ১৮১৪ সালে বাকিপুরে, এবং তারপরে [[যশোর জেলা|যশোরের]] নহাটা ও [[কালনা|কালনাতে]] নীলকুঠি ও কারখানা স্থাপন করেন। ১৮২০ সালে কালনা থেকে প্রায় দেড় হাজার মণ পরিশোধিত নীল রপ্তানি করে বন্ড উপমহাদেশ ও ব্রিটেনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। ১৮২০ সালে তার মৃত্যু হয়। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Smith|প্রথমাংশ১=Major|শিরোনাম=Report on the Maldah}}</ref>
প্রাচীন কাল থেকেই বাংলায় নীল চাষ প্রচলিত ছিল। ভারতীয় ভেষজ বিজ্ঞানের নানা গ্রন্থে, প্রাচীন প্রতিমূর্তির বর্ণে, অঙ্কিত পট ও চিত্রে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইংরেজিতে নীল indigo নামে আর গ্রিক ও রোমান ভাষায় indicum নামে পরিচিত। উভয় শব্দই india শব্দের সমার্থবোধক। আবার প্রাচীন দ্রাবিড় গোষ্ঠীর মাঝে নীলের ব্যবহার প্রচলিত ছিল। তারা সিন্ধু নদের (the indus) তীরে বাস করত। এজন্য ধারণা করা হয় এদেশেই নীল চাষের উৎপত্তি। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=হোসেন|প্রথমাংশ১=মুহম্মদ ইউসুফ|শিরোনাম=নীল বিদ্রোহের নানাকথা|তারিখ=১৯৯০|প্রকাশক=জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী|অবস্থান=ঢাকা|পাতা=১৭|ভাষা=বাংলা}}</ref>
 
লুই বোনার্ড নামের একজন ফরাসি বণিকের মাধ্যমে এদেশে আধুনিক পদ্ধতিতে নীলচাষ ও এর ব্যবহার প্রচলন ঘটে। তিনি ১৭৭৭ সালে আমেরিকা থেকে প্রথম নীলবীজ ও আধুনিক চাষের পদ্ধতি এদেশে নিয়ে আসেন। একই বছরে [[হুগলী নদী|হুগলী নদীর]] তীরবর্তী গোন্দালপাড়া ও তালডাঙ্গা গ্রামে তিনি সর্বপ্রথম নীলকুঠি স্থাপন করেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Buckland|প্রথমাংশ১=Charles Edward|শিরোনাম=Bengal under the lieutenant-governors; being a narrative of the principal events and public measures during their periods of office, from 1854 to 1898|তারিখ=1901|প্রকাশক=S.K. Lahiri|অবস্থান=Calcutta|ইউআরএল=https://archive.org/details/bengalunderlieut02buckiala}}</ref> এর কয়েক বছর পরে [[মালদহ|মালদহে]], ১৮১৪ সালে বাকিপুরে, এবং তারপরে [[যশোর জেলা|যশোরের]] নহাটা ও [[কালনা|কালনাতে]] নীলকুঠি ও কারখানা স্থাপন করেন। ১৮২০ সালে কালনা থেকে প্রায় দেড় হাজার মণ পরিশোধিত নীল রপ্তানি করে বন্ড উপমহাদেশ ও ব্রিটেনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। ১৮২০ সালে তার মৃত্যু হয়। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Smith|প্রথমাংশ১=Major|শিরোনাম=Report on the Maldah}}</ref>
 
== বাংলায় নীলচাষের প্রসার ==