মানুষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MdsShakil (আলোচনা | অবদান)
103.175.130.16 (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 103.60.175.15-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
Talal farhan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৫৮ নং লাইন:
}}
 
প্রারম্ভিক'''মানুষ''' হোমিনিন-বিশেষত অস্ট্রালোপিথেসিন, যাদেরবর্তমান [[মস্তিষ্কপৃথিবী]] এবংসবচেয়ে [[শারীরিক গঠন]] অনেকটা পূর্বতন অ-মানবপ্রভাবশালী [[বানরজীব]]ের মতো, যাদের হমো প্রজাতির হোমিনিন না বলে "মানব" বলা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Tattersall Ian |লেখক২=Schwartz Jeffrey | বছর = 2009 | শিরোনাম = Evolution of the Genus Homo | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annual Review of Earth and Planetary Sciences | খণ্ড = 37 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 67–92 | ডিওআই = 10.1146/annurev.earth.031208.100202 }}</ref> এই হোমিনিনিদের কিছু অংশ [[আগুন]] ব্যবহার করত, ইউরেশিয়ার অধিকাংশ স্থান তারা দখল করে নিয়েছিল এবং [[আফ্রিকা]]তে প্রায় ২০০,০০০ বছর পূর্বে আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্সরামানুষ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক১ = Antón, Susan C. |লেখক২=Swisher III, Carl C. | বছর = 2004 | শিরোনাম = Early Dispersals of homo from Africa | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annual Review of Anthropology | খণ্ড = 33 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 271–96 | ডিওআই = 10.1146/annurev.anthro.33.070203.144024 }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক = Trinkaus Erik | বছর = 2005 | শিরোনাম = Early Modern Humans | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annual Review of Anthropology | খণ্ড = 34 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 207–30 | ডিওআই = 10.1146/annurev.anthro.34.030905.154913 }}</ref> তারা প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে আচরণগত আধুনিকতার প্রমাণ দিতে শুরু করেছিল। [[অভিবাসন]]েরঅভিবাসনের বেশ কয়েকটি তরঙ্গের মাধ্যমে আধুনিক মানুষ [[আফ্রিকা]] থেকে বেরিয়ে এসেছিল এবং বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে বসবাস করা আরম্ভ করেছিল।<ref name="evolutionthe1st4billionyears">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Evolution: The First Four Billion Years|ইউআরএল=https://archive.org/details/evolutionfirstfo00ruse|লেখক=McHenry, H.M|অধ্যায়=Human Evolution|editor1=Michael Ruse |editor2=Joseph Travis|বছর=2009|প্রকাশক=The Belknap Press of Harvard University Press|অবস্থান=Cambridge, Massachusetts|আইএসবিএন=978-0-674-03175-3|পাতা=[https://archive.org/details/evolutionfirstfo00ruse/page/n275 265]}}</ref>
'''মানুষ''' বর্তমান [[পৃথিবী]]র সবচেয়ে প্রভাবশালী [[জীব]]। আধুনিক মানুষ ([[হোমো স্যাপিয়েন্স]], প্রাথমিকভাবে এসএসপি হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স) হল হোমিনিনা [[ট্রাইব (জীববিজ্ঞান)|উপজাতির]] (অথবা মানব জাতিগোষ্ঠী) একমাত্র বিদ্যমান সদস্য। [[শিম্পাঞ্জি]], [[গরিলা]] ও [[বনমানুষ]]ের মত মানুষ বানর পরিবারের অন্তর্গত [[হোমিনিডি]] গোত্রের একটি শাখা। [[স্থলচর প্রাণী]] হিসাবে তাদের বৈশিষ্ট হল স্থির খাড়া অবস্থান এবং [[দ্বিপদী]] [[চলৎশক্তি]]; অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন এবং ভারী সরঞ্জাম ব্যবহারে সক্ষমতা; অন্যান্য প্রাণির চেয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে জটিলতর [[ভাষা]]র ব্যবহার, আকারে বৃহত্তর ও জটিল [[মানব মস্তিষ্ক|মস্তিষ্ক]] এবং খুবই উন্নত ও [[সমাজ|সংঘবদ্ধ প্রাণী]]।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=গুডম্যান, এম. |লেখক২=ট্যাগল, ডি. |লেখক৩=ফিচ, ডি. |লেখক৪=বেইলি, ডব্লিউ. |লেখক৫=চেলুসনিয়াক, জে. |লেখক৬=কুপ, বি. |লেখক৭=বেনসন, পি. |লেখক৮=স্লাইটম, জে. |শিরোনাম=Primate evolution at the DNA level and a classification of hominoids |ইউআরএল=https://archive.org/details/sim_journal-of-molecular-evolution_1990-03_30_3/page/260 |সাময়িকী=J Mol Evol |খণ্ড = 30 |সংখ্যা নং=3 |পাতাসমূহ=260–66 |বছর=1990 |pmid=2109087 |ডিওআই=10.1007/BF02099995}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Hominidae Classification |কর্ম=Animal Diversity Web @ UMich |ইউআরএল=http://animaldiversity.ummz.umich.edu/site/accounts/classification/Hominidae.html |সংগ্রহের-তারিখ=2006-09-25}}</ref>
 
মানুষের বিস্তার এবং তাদের বৃহত্তর ও বর্ধমান [[জনসংখ্যা]]রজনসংখ্যার পরিমাণ পরিবেশের বৃহৎ ক্ষেত্র এবং বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ স্থানীয় প্রজাতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই বিবর্তনীয় সাফল্য ব্যাখ্যা করে যে তাদের বিশেষভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত নিওকরটেক্স, প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং অস্থায়ী ভাগসহ অপেক্ষাকৃত বড় [[মস্তিষ্ক]] সামাজিক শিক্ষার মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার যুক্তি খণ্ডন, [[ভাষা]]র ব্যবহার, সমস্যার সমাধান, সামাজিকতা এবং [[সংস্কৃতি]] গড়তে সক্ষম করে তুলে। মানুষ অন্য কোনও প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি [[যন্ত্রপাতি]] ব্যবহার করে। তারাই একমাত্র বিদ্যমান প্রজাতি যারা [[আগুন|আগুনের ব্যবহার]] সম্পর্কে দক্ষ এবং তারা খাবার [[রান্না]] করে খায় এবং তারাই একমাত্র বিদ্যমান প্রজাতি যারা [[লজ্জা]] নিবারণের জন্য [[কাপড়]] পরিধান করে এবং বিভিন্ন ধরনের [[প্রযুক্তি]] ও [[শিল্পকলা]] উদ্ভাবন এবং ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও তারা পারদর্শী।
প্রারম্ভিক হোমিনিন-বিশেষত অস্ট্রালোপিথেসিন, যাদের [[মস্তিষ্ক]] এবং [[শারীরিক গঠন]] অনেকটা পূর্বতন অ-মানব [[বানর]]ের মতো, যাদের হমো প্রজাতির হোমিনিন না বলে "মানব" বলা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Tattersall Ian |লেখক২=Schwartz Jeffrey | বছর = 2009 | শিরোনাম = Evolution of the Genus Homo | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annual Review of Earth and Planetary Sciences | খণ্ড = 37 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 67–92 | ডিওআই = 10.1146/annurev.earth.031208.100202 }}</ref> এই হোমিনিনিদের কিছু অংশ [[আগুন]] ব্যবহার করত, ইউরেশিয়ার অধিকাংশ স্থান তারা দখল করে নিয়েছিল এবং [[আফ্রিকা]]তে প্রায় ২০০,০০০ বছর পূর্বে আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্সরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক১ = Antón, Susan C. |লেখক২=Swisher III, Carl C. | বছর = 2004 | শিরোনাম = Early Dispersals of homo from Africa | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annual Review of Anthropology | খণ্ড = 33 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 271–96 | ডিওআই = 10.1146/annurev.anthro.33.070203.144024 }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক = Trinkaus Erik | বছর = 2005 | শিরোনাম = Early Modern Humans | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annual Review of Anthropology | খণ্ড = 34 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 207–30 | ডিওআই = 10.1146/annurev.anthro.34.030905.154913 }}</ref> তারা প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে আচরণগত আধুনিকতার প্রমাণ দিতে শুরু করেছিল। [[অভিবাসন]]ের বেশ কয়েকটি তরঙ্গের মাধ্যমে আধুনিক মানুষ [[আফ্রিকা]] থেকে বেরিয়ে এসেছিল এবং বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে বসবাস করা আরম্ভ করেছিল।<ref name="evolutionthe1st4billionyears">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Evolution: The First Four Billion Years|ইউআরএল=https://archive.org/details/evolutionfirstfo00ruse|লেখক=McHenry, H.M|অধ্যায়=Human Evolution|editor1=Michael Ruse |editor2=Joseph Travis|বছর=2009|প্রকাশক=The Belknap Press of Harvard University Press|অবস্থান=Cambridge, Massachusetts|আইএসবিএন=978-0-674-03175-3|পাতা=[https://archive.org/details/evolutionfirstfo00ruse/page/n275 265]}}</ref>
 
মানুষের বিস্তার এবং তাদের বৃহত্তর ও বর্ধমান [[জনসংখ্যা]]র পরিমাণ পরিবেশের বৃহৎ ক্ষেত্র এবং বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ স্থানীয় প্রজাতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই বিবর্তনীয় সাফল্য ব্যাখ্যা করে যে তাদের বিশেষভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত নিওকরটেক্স, প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং অস্থায়ী ভাগসহ অপেক্ষাকৃত বড় [[মস্তিষ্ক]] সামাজিক শিক্ষার মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার যুক্তি খণ্ডন, [[ভাষা]]র ব্যবহার, সমস্যার সমাধান, সামাজিকতা এবং [[সংস্কৃতি]] গড়তে সক্ষম করে তুলে। মানুষ অন্য কোনও প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি [[যন্ত্রপাতি]] ব্যবহার করে। তারাই একমাত্র বিদ্যমান প্রজাতি যারা [[আগুন|আগুনের ব্যবহার]] সম্পর্কে দক্ষ এবং তারা খাবার [[রান্না]] করে খায় এবং তারাই একমাত্র বিদ্যমান প্রজাতি যারা [[লজ্জা]] নিবারণের জন্য [[কাপড়]] পরিধান করে এবং বিভিন্ন ধরনের [[প্রযুক্তি]] ও [[শিল্পকলা]] উদ্ভাবন এবং ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও তারা পারদর্শী।
 
==বিবর্তন==
{{মূল নিবন্ধ|নৃতত্ত্ব|মানব বিবর্তন|মানব বিবর্তনের কালপঞ্জি}}
{{align|right|{{মানব সময়রেখা}}}}
===বিবর্তনবাদী তথ্য===
মানুষের [[বিবর্তন]] সম্পর্কে নানা [[নৃতত্ত্ব|নৃতাত্ত্বিক মতবাদ]] আছে। বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ আর পৃথিবীতে বিদ্যমান অন্যান্য [[নরবানর|নরবানরেরা]] অনেককাল আগে একই পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত হয়ে বিবর্তিত হয়েছে এবং ভিন্ন উৎসজাত অন্যান্য শাখাগুলো থেকে অতীতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে বিদ্যমান [[শিম্পাঞ্জি]] ও [[গরিলা]] থেকে আলাদা ধারা বা বংশানুক্রম তৈরি করেছে। সে হিসেবে মানুষ আধুনিক নরবানরগুলোর সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও সরাসরি উত্তরসূরী নয়। মানুষ আসলে এসেছে বহুদিন আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক ধরনের সাধারণ পূর্বপুরুষ হিসেবে কথিত [[প্রাইমেট]] থেকে। আধুনিক মানুষ বা হোমো স্যাপিয়েন্স প্রজাতি বা হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স উপপ্রজাতি সকল [[মহাদেশ]] ও বড় [[দ্বীপ]]গুলোতে বসতি স্থাপন করে; তারা ১২৫,০০০-৬০,০০০ বছর পূর্বে [[ইউরেশিয়া]]য়,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sciencenews.org/view/generic/id/69197/title/Hints_of_earlier_human_exit_from_Africa |শিরোনাম=Hints of Earlier Human Exit From Africa |সাময়িকী=সায়েন্স |খণ্ড=৩৩১ |সংখ্যা নং=৬০১৬ |পাতাসমূহ=৪৫৩–৫৬ |ডিওআই=10.1126/science.1199113 |pmid=21273486 |সংগ্রহের-তারিখ=২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=no |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110427201317/http://www.sciencenews.org/view/generic/id/69197/title/Hints_of_earlier_human_exit_from_Africa |আর্কাইভের-তারিখ=27 April 2011 |df=dmy-all |বিবকোড=2011Sci...331..453A |বছর=২০১১ |শেষাংশ১=আর্মিটেজ |প্রথমাংশ১=এস. জে. |শেষাংশ২=জসিম |প্রথমাংশ২=এস. এ. |শেষাংশ৩=মার্কস |প্রথমাংশ৩=এ. ই. |শেষাংশ৪=পার্কার |প্রথমাংশ৪=এ. জি. |শেষাংশ৫=ইউসিক |প্রথমাংশ৫=ভি. আই. |শেষাংশ৬=উয়ের্পম্যান |প্রথমাংশ৬=এইচ. পি.}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=রিঙ্কন |প্রথমাংশ1=পল |ইউআরএল=https://www.bbc.co.uk/news/science-environment-12300228 Humans 'left Africa much earlier' |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120809051349/http://www.bbc.co.uk/news/science-environment-12300228 |আর্কাইভের-তারিখ=৯ আগস্ট ২০১২ |কর্ম=[[বিবিসি নিউজ]] |তারিখ=২৭ জানুয়ারি ২০১১}}</ref> ৪০,০০০ বছর পূর্বে [[অস্ট্রেলিয়া]]য়, ১৫,০০০ বছর পূর্বে আমেরিকায় এবং হাওয়াই, ইস্টার আইল্যান্ড, [[মাদাগাস্কার]] ও [[নিউজিল্যান্ড]]সহ দূরবর্তী দ্বীপসমূহে ৩০০ থেকে ১২৮০ খ্রিষ্টাব্দে পৌঁছে।<ref name=Lowe>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://researchcommons.waikato.ac.nz/bitstream/10289/2690/1/Lowe%202008%20Polynesian%20settlement%20guidebook.pdf |শিরোনাম=Polynesian settlement of New Zealand and the impacts of volcanism on early Maori society: an update |শেষাংশ=লু |প্রথমাংশ=ডেভিড জে. |বছর=২০০৮ |প্রকাশক=ওয়াইকাতো বিশ্ববিদ্যালয় |সংগ্রহের-তারিখ=২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=no |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100522032853/http://researchcommons.waikato.ac.nz/bitstream/10289/2690/1/Lowe%202008%20Polynesian%20settlement%20guidebook.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=22 May 2010 |df=dmy-all }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=টিম |প্রথমাংশ১=অ্যাপেনজেলার |বছর=২০১২ |শিরোনাম=Human migrations: Eastern odyssey |ইউআরএল= |সাময়িকী=ন্যাচার |খণ্ড=৪৮৫ |সংখ্যা নং=৭৩৯৬ |পাতাসমূহ=২৪–২৬ |ডিওআই=10.1038/485024a |pmid=22552074|বিবকোড=2012Natur.485...24A }}</ref>
 
বানর থেকে মানুষের উদ্ভব হয়নি, বরং সঠিকভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, [[প্রাকৃতিক নির্বাচন|প্রাকৃতিক নির্বাচনের]] মাধ্যমে মানুষ প্রজাতিরও উদ্ভব ঘটেছে বহুদিন আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক ধরনের [[প্রাইমেট]] থেকে। [[শিম্পাঞ্জি]], [[গরিলা]] এবং [[বনমানুষ|ওরাং ওটাং (বনমানুষ)]]-এর মতো প্রাণীকূলেরও উদ্ভব ঘটেছে সেই একই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে। প্রাণের বিকাশ এবং [[বিবর্তন|বিবর্তনকে]] একটা বিশাল গাছের সাথে তুলনা করা যায়। একই পূর্বপূরুষ থেকে উদ্ভূত হয়ে বিবর্তনীয় জাতিজনি বৃক্ষের বিভিন্ন ডাল পালা তৈরি হয়েছে । এর কোন ডালে হয়তো শিম্পাঞ্জির অবস্থান, কোন ডালে হয়ত গরিলা আবার কোন ডালে হয়ত মানুষ। অর্থাৎ, একসময় তাদের সবার এক সাধারণ পূর্বপুরুষ ছিলো, ১.৪ কোটি বছর আগে তাদের থেকে একটি অংশ বিবর্তিত হয়ে ওরাং ওটাং প্রজাতির উদ্ভব ঘটে। তখন, যে কারণেই হোক, এই পূর্বপুরুষের বাকি জনপুঞ্জ নতুন প্রজাতি ওরাং ওটাং এর থেকে প্রজননগতভাবে আলাদা হয়ে যায় এবং তার ফলে এই দুই প্রজাতির বিবর্তন ঘটতে শুরু করে তাদের নিজস্ব ধারায়। আবার প্রায় ৯০ লক্ষ বছর আগে সেই মুল প্রজাতির জনপুঞ্জ থেকে আরেকটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে এবং পরবর্তিতে ভিন্ন ধারায় বিবর্তিত হয়ে গরিলা প্রজাতির উৎপত্তি ঘটায়। একইভাবে দেখা যায় যে, ৬০ লক্ষ বছর আগে এই সাধারণ পুর্বপুরুষের অংশটি থেকে ভাগ হয়ে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির বিবর্তন ঘটে। তারপর এই দুটো প্রজাতি প্রজননগতভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন থেকেই একদিকে স্বতন্ত্র গতিতে এবং নিয়মে মানুষের প্রজাতির বিবর্তন ঘটতে শুরু করে, আর ওদিকে আলাদা হয়ে যাওয়া শিম্পাঞ্জির সেই প্রজাতিটি ভিন্ন গতিতে বিবর্তিত হতে হতে আজকের শিম্পাঞ্জিতে এসে পৌঁছেছে।
 
===জীবাশ্ম রেকর্ড থেকে প্রমাণ===
গরিলা, শিম্পাঞ্জী এবং হোমিনিন বংশের মধ্যে পার্থক্যের সামান্য পরিমাণ জীবাশ্ম প্রমাণ রয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক = Begun David R | বছর = 2010 | শিরোনাম = Miocene Hominids and the Origins of the African Apes and Humans | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annual Review of Anthropology | খণ্ড = 39 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 67–84 | ডিওআই=10.1146/annurev.anthro.012809.105047}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Begun David R. |লেখক২=Nargolwalla Mariam C. |লেখক৩=Kordos Laszlo | বছর = 2012 | শিরোনাম = European Miocene Hominids and the Origin of the African Ape and Human Clade | ইউআরএল = | সাময়িকী = Evolutionary Anthropology | খণ্ড = 21 | সংখ্যা নং = 1| পাতাসমূহ = 10–23 | ডিওআই = 10.1002/evan.20329 | pmid = 22307721 }}</ref> হোমিনিন বংশের সদস্য হিসাবে প্রস্তাবিত প্রাচীন জীবাশ্মগুলি ছিল স্যালেনথ্রোপাস টিচডেনেসিস ৭ মিলিয়ন বছর আগের, অর্রোরিন টিউগেনেসিস ৫ কোটি ৭০ লক্ষ বছর আগের এবং আর্দিপীথেকাস কাদাব্বা ছিল ৫.৬ মিলিয়ন বছর আগের । এই প্রতিটি প্রজাতির হোমিনিনদের দ্বিপদী পূর্বপুরুষদের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু এই ধরনের সব দাবী অনেক বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল । এটাও সম্ভব যে এই তিনটি শাখার যেকোনো একটি আফ্রিকান এপস এর অন্য শাখার পূর্বপুরুষ, অথবা একটি পূর্বপুরুষ হোমিনিন এবং অন্যান্য আফ্রিকান হোমোনয়েডিয়ার (এপস) সাথে ভাগ করে নিয়েছে । এই প্রাথমিক জীবাশ্ম প্রজাতি এবং হোমিনিন বংশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশ্ন এখনো সমাধান করা সম্ভব হয়নি । এই প্রারম্ভিক প্রজাতিগুলি থেকে প্রায় ৪ মিলিয়ন বছর আগে অস্ট্রালোপিথেসিন্স উদ্ভূত হয় যা পরে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে পড়েছিল (প্যারানথ্রোপাস নামেও পরিচিত)।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ১=Henry M. | শেষাংশ১=McHenry | প্রথমাংশ২=Katherine | শেষাংশ২=Coffing | সাময়িকী=Annual Review of Anthropology | শিরোনাম=Australopithecus to Homo: Transformations in Body and Mind | খণ্ড=29 | পাতাসমূহ=125–46 | ডিওআই=10.1146/annurev.anthro.29.1.125}}</ref> সম্ভবত তাদের মধ্যে একটি শাখা হল ২৫ মিলিয়ন বছর আগের অস্ট্রালোপিথেসিন্স গর্হী, একে জেনাস হোমোর সরাসরি পূর্বপুরুষ বলে ধারণা করা হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | শিরোনাম=Early Homo at 2.8 Ma from Ledi-Geraru, Afar, Ethiopia | প্রথমাংশ১=Brian | শেষাংশ১=Villmoare | প্রথমাংশ২=William H. | শেষাংশ২=Kimbel | প্রথমাংশ৩=Chalachew | শেষাংশ৩=Seyoum | প্রথমাংশ৪=Christopher J. | শেষাংশ৪=Campisano | প্রথমাংশ৫=Erin N. | শেষাংশ৫=DiMaggio | প্রথমাংশ৬=John | শেষাংশ৬=Rowan | প্রথমাংশ৭=David R. | শেষাংশ৭=Braun | প্রথমাংশ৮=J. Ramón | শেষাংশ৮=Arrowsmith
| প্রথমাংশ৯=Kaye E. | শেষাংশ৯=Reed | সাময়িকী=Science| তারিখ=March 20, 2015 | খণ্ড=347 | সংখ্যা নং=6228 | পাতাসমূহ=1352–55 | ডিওআই=10.1126/science.aaa1343 | pmid=25739410}}</ref>
[[File:Lucy Skeleton.jpg|thumb|[[লুসি (অস্ট্রালোপিথেকাস)|লুসির]] কঙ্কালের পুনর্গঠন যা অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেনসিস প্রজাতির প্রাপ্ত প্রথম কঙ্কাল]]
হোমো প্রজাতির প্রাথমিক সদস্য হোমো হ্যাবিলিস ২.৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে বিকশিত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/news/science-environment-31718336|শিরোনাম='First human' discovered in Ethiopia|তারিখ=|কর্ম=BBC News}}</ref> হোমো হ্যাবিলিস প্রথম প্রজাতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে কারণ তারা যে পাথরের সরঞ্জাম ব্যবহার করত তার সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে । সম্প্রতি ২০১৫ সালে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় কেনিয়াতে যে পাথরের সরঞ্জামগুলি পাওয়া গেছে তা সম্ভবত হোমো হ্যাবিলিসের পূর্বাভাস দিয়েছে যেগুলি প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন বছর বয়স পুরাতন ছিল।<ref name="Harmand 2015">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Harmand |প্রথমাংশ১=Sonia |শেষাংশ২=Lewis |প্রথমাংশ২=Jason E. |শেষাংশ৩=Feibel |প্রথমাংশ৩=Craig S. |শেষাংশ৪=Lepre |প্রথমাংশ৪=Christopher J. |শেষাংশ৫=Prat |প্রথমাংশ৫=Sandrine |শেষাংশ৬=Lenoble |প্রথমাংশ৬=Arnaud |শেষাংশ৭=Boës |প্রথমাংশ৭=Xavier |শেষাংশ৮=Quinn |প্রথমাংশ৮=Rhonda L. |শেষাংশ৯=Brenet |প্রথমাংশ৯=Michel |শেষাংশ১০=Arroyo |প্রথমাংশ১০=Adrian |শেষাংশ১১=Taylor |প্রথমাংশ১১=Nicholas |শেষাংশ১২=Clément |প্রথমাংশ১২=Sophie |শেষাংশ১৩=Daver |প্রথমাংশ১৩=Guillaume |শেষাংশ১৪=Brugal |প্রথমাংশ১৪=Jean-Philip |শেষাংশ১৫=Leakey |প্রথমাংশ১৫=Louise |শেষাংশ১৬=Mortlock |প্রথমাংশ১৬=Richard A. |শেষাংশ১৭=Wright |প্রথমাংশ১৭=James D. |last18=Lokorodi |first18=Sammy |last19=Kirwa |first19=Christopher |last20=Kent |first20=Dennis V. |last21=Roche |first21=Hélène |শিরোনাম=3.3-million-year-old stone tools from Lomekwi 3, West Turkana, Kenya |সাময়িকী=Nature |খণ্ড=521 |সংখ্যা নং=7552 |বছর=2015 |পাতাসমূহ=310–15 |ডিওআই=10.1038/nature14464 |pmid=25993961}}</ref> তবুও, হোমো হ্যাবিলিসের মস্তিষ্কগুলি শিম্পাঞ্জীর মতো একই আকারের ছিল এবং তাদের প্রধান অভিযোজন ছিল পার্থিব জীবনযাত্রার অভিযোজন হিসেবে বাইপেডালিজম (দুপায়ে চলাফেরা করা) । পরের মিলিয়ন বছরে এন্সিফালিজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং জীবাশ্ম রেকর্ড অনুযায়ী হোমো ইরেক্টাস এর আগমন ঘটেছিল যাদের করোটির ক্ষমতা দ্বিগুণ ছিল। [[হোমো ইরেক্টাস]] ছিল প্রথম হোমোনিনা যারা আফ্রিকা ছেড়েছিল এবং এই প্রজাতিগুলি আফ্রিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে ১.৩ থেকে ১.৮ মিলিয়ন বছর আগে ছড়িয়ে পড়েছিল। এইচ. ইরেক্টাসের একটি জনগোষ্ঠীকে কখনও কখনও একটি পৃথক প্রজাতি [[হোমো এরগ্যাস্টার]] হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় যারা আফ্রিকায় থাকত এবং পরে হোমো স্যাপিয়েন্সে পরিণত হয়েছিল। বিশ্বাস করা হয় যে তারাই প্রথম অগ্নি এবং জটিল সরঞ্জাম ব্যবহার করত। হোমো এরগ্যাস্টার / ইরেক্টাস এবং আর্কাইক মানুষেরা যেমন হোমো রোডেসিয়েন্সিস আফ্রিকা থেকে এসেছিল, কিন্তু জর্জিয়ার দুমানসিতে তাদের transitional ফর্মগুলি পাওয়া গিয়েছিল। আফ্রিকান হোমো ইরেক্টাস এর বংশধররা ৫০০,০০০ বৎসর পূর্বে ইউরেশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল পরে তারা পর্যায়ক্রমে হোমো এন্টিসেসর, হোমো হাইডেলবার্গেনসিস এবং [[নিয়ানডার্থাল|হোমো নিয়ানডার্টালেনসিস]] এ বিবর্তিত হয়েছিল । আধুনিক মানুষের প্রাচীন জীবাশ্ম মধ্য পেলিওলিথিক প্রায় ২০০,০০০ বছর আগে যেমন ওমো ইথিওপিয়া অবশিষ্ট আছে এবং হার্টোর জীবাশ্মকে কখনও কখনও হোমো স্যাপিয়েন্স ইডাল্টু হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। পরবর্তীকালে ফিলিস্তিন এবং দক্ষিণ ইউরোপ থেকে যে স্কাল বা আর্কাইক হোমো স্যাপিয়েন্সের জীবাশ্ম পাওয়া যায় তা প্রায় ৯০,০০০ বছর আগের ছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |সাময়িকী=[[Journal of Human Evolution]] |শিরোনাম=Femoral neck-shaft angles of the Qafzeh-Skhul early modern humans, and activity levels among immature near eastern Middle Paleolithic hominids |লেখক=Trinkaus, E. |লেখক-সংযোগ=Erik Trinkaus |ইউআরএল=http://cat.inist.fr/?aModele=afficheN&cpsidt=4290541 |প্রকাশক=[[INIST-CNRS]] |বছর=1993 |খণ্ড=25 |পাতাসমূহ=393–416 |issn=0047-2484 |ডিওআই=10.1006/jhev.1993.1058 |সংখ্যা নং=5 |সংগ্রহের-তারিখ=১ আগস্ট ২০১৭ |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ অক্টোবর ২০১৩ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131017024934/http://cat.inist.fr/?aModele=afficheN |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref>
২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী আধুনিক মানুষ প্রায় ২ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল [[বতসোয়ানা]]<ref>[https://www.prothomalo.com/international/article/1621761/%E0%A6%86%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F প্রথম আলো, ৩০ অক্টোবর ২০১৯]</ref>
 
===শারীরিক অভিযোজন===
{{multiple image
<!-- Layout parameters -->
| align = right
| direction = vertical
| width =
<!--image 1-->
| image1 = Australopithecus afarensis.png
| caption1 = ''[[অস্ট্রালোপিথেসিন্স আফারেন্সিস]]'' এর পুনর্গঠন
<!--image 2-->
| image2 =
| caption2 = ''[[হোমো হ্যাবিলিস]]'' এর পুনর্গঠন
<!--image 3-->
| image3 =
| caption3 = ''[[হোমো ইরেক্টাস]]'' এর পুনর্গঠন
<!--image 4-->
| image4 =
| caption4 = প্রাপ্তবয়স্ক নারী ''[[হোমো ইরেক্টাস]]'' এর পুনর্গঠন
}}
 
মানব বিবর্তনটি বেশ কিছু মস্তিষ্কগত, উন্নয়নমূলক, শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত পরিবর্তনের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে যা মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিদের শেষ সাধারণ পূর্বপুরুষের মধ্যে সংগঠিত হয়েছিল। এই অভিযোজনগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১. দুপায়ে হাঁটা , ২. বর্ধিত মস্তিষ্কের আকার, ৩. দীর্ঘ অন্টোজেনি (গর্ভাবস্থা এবং শিশুকাল), ৪. যৌন দ্বিমাত্রিকতা (নিউটেনি)। এই সব পরিবর্তনগুলির মধ্যে সম্পর্ক চলমান বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।<ref name=Boyd2003>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক১=Boyd, Robert |লেখক২=Silk, Joan B. |বছর=2003 |শিরোনাম=How Humans Evolved |ইউআরএল=https://archive.org/details/howhumansevolved03edboyd |অবস্থান=New York, New York |প্রকাশক=Norton |আইএসবিএন=0-393-97854-0}}</ref> অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অঙ্গসংস্থানসংক্রান্ত পরিবর্তনগুলির মধ্যে ক্ষমতার বিবর্তন এবং নির্ভুল গ্রিপ অন্তর্ভুক্ত ছিল, একটি পরিবর্তন এইচ.ইরেক্টাসের মধ্যে ঘটেছিল।<ref name=Brues1965>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Brues, Alice M. |লেখক২=Snow, Clyde C. |শিরোনাম=Physical Anthropology |সাময়িকী=Biennial Review of Anthropology |বছর=1965 |খণ্ড=4 |পাতাসমূহ=1–39 |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=9WemAAAAIAAJ&pg=PA1 |আইএসবিএন=9780804717465}}</ref>
 
বাইপেডালিজম হচ্ছে হোমিনিন লাইনের মৌলিক অ্যাডাপটিশন, এবং এটিকে সকল বাইপেডাল হোমিনিনদের কঙ্কাল পরিবর্তনের পিছনে একটি প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। প্রাচীনতম দ্বিপদীয় হোমিনিনকে বলা হয় সাহেলানথ্রপাস বা অর্রোরিন,<ref name=Brunet2002>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Brunet |প্রথমাংশ১=Michel |শেষাংশ২=Guy |প্রথমাংশ২=Franck |শেষাংশ৩=Pilbeam |প্রথমাংশ৩=David |শেষাংশ৪=Mackaye |প্রথমাংশ৪=Hassane Taisso |শেষাংশ৫=Likius |প্রথমাংশ৫=Andossa |শেষাংশ৬=Ahounta |প্রথমাংশ৬=Djimdoumalbaye |শেষাংশ৭=Beauvilain |প্রথমাংশ৭=Alain |শেষাংশ৮=Blondel |প্রথমাংশ৮=Cécile |শেষাংশ৯=Bocherens |প্রথমাংশ৯=Hervé |শেষাংশ১০=Boisserie |প্রথমাংশ১০=Jean-Renaud |শেষাংশ১১=De Bonis |প্রথমাংশ১১=Louis |শেষাংশ১২=Coppens |প্রথমাংশ১২=Yves |শেষাংশ১৩=Dejax |প্রথমাংশ১৩=Jean |শেষাংশ১৪=Denys |প্রথমাংশ১৪=Christiane |শেষাংশ১৫=Duringer |প্রথমাংশ১৫=Philippe |শেষাংশ১৬=Eisenmann |প্রথমাংশ১৬=Véra |শেষাংশ১৭=Fanone |প্রথমাংশ১৭=Gongdibé |last18=Fronty |first18=Pierre |last19=Geraads |first19=Denis |last20=Lehmann |first20=Thomas |last21=Lihoreau |first21=Fabrice |last22=Louchart |first22=Antoine |last23=Mahamat |first23=Adoum |last24=Merceron |first24=Gildas |last25=Mouchelin |first25=Guy |last26=Otero |first26=Olga |last27=Campomanes |first27=Pablo Pelaez |last28=De Leon |first28=Marcia Ponce |last29=Rage |first29=Jean-Claude |last30=Sapanet |first30=Michel |last31=Schuster |first31=Mathieu |last32=Sudre |first32=Jean |last33=Tassy |first33=Pascal |last34=Valentin |first34=Xavier |last35=Vignaud |first35=Patrick |last36=Viriot |first36=Laurent |last37=Zazzo |first37=Antoine |last38=Zollikofer |first38=Christoph |শিরোনাম=A new hominid from the Upper Miocene of Chad, Central Africa |সাময়িকী=Nature |খণ্ড=418 |সংখ্যা নং=6894 |পাতাসমূহ=145–51 |বছর=2002 |pmid=12110880 |ডিওআই=10.1038/nature00879 }}</ref> [[আর্ডিপিথেকাস]] হল একটি পূর্ণ বাইপেডাল<ref name=White2015>{{citation| title=Neither chimpanzee nor human, Ardipithecus reveals the surprising ancestry of both | last1=White | first1=Tim D. | last2=Lovejoy | first2=C. Owen | last3=Asfaw | first3=Berhane | last4=Carlson | first4=Joshua P. | last5=Suwa | first5=Gen | journal=Proceedings of the National Academy of Sciences | volume=112 | issue=16 | pages=4877–84 | date=April 2015 | doi=10.1073/pnas.1403659111 | bibcode=2015PNAS..112.4877W | postscript=.
}}</ref> যা কিছুটা পরে ঘটেছিল। গরিলা এবং শিম্পাঞ্জি একই সময়ের মধ্যে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। এবং সাহেলানথ্রপাস বা অর্রোরিন হতে পারে মানুষের পূর্বপুরুষ যারা ঐসব প্রাণীদের সাথে মিল ছিল । প্রাথমিকভাবে দ্বিপদলগুলি অস্ট্রালোপিথেসিন্স যা পরবর্তীতে জেনাস হোমোতে রূপান্তরিত হয়েছিল। বাইপেডালিজমের অভিযোজনীয় মূল্যের বেশ কিছু তত্ত্ব রয়েছে। এটা সম্ভব যে বাইপেডালিজম অনুকূলে ছিল কারণ এটি পৌঁছানোর এবং খাদ্য বহন করার জন্য হাতকে মুক্ত করে দিয়েছিল । কারণ এটি চলন্ত অবস্থায় শক্তি সংরক্ষণ করেছিল যা তাদেরকে দীর্ঘ পথ চলতে এবং শিকার করতে সক্ষম করেছিল। অথবা সরাসরি সূর্যের উদ্ভাসিত পৃষ্ঠকে হ্রাস করে হাইপারথারমিয়া এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল হিসেবে মনে করা যেতে পারে।
 
মানব প্রজাতির মস্তিষ্ক অন্য প্রাইমেটদের তুলনায় অনেক বড় হয়ে থাকে - সাধারণত আধুনিক মানুষের মধ্যে ১,৩৩০ সেন্টিমিটার যা শিম্পাঞ্জি বা গরিলার মস্তিষ্কের আকারের দ্বিগুণ।<ref name="Schoeneman">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Evolution of the Size and Functional Areas of the Human Brain|লেখক= P. Thomas Schoenemann|সাময়িকী=Annu. Rev. Anthropol.|বছর= 2006|খণ্ড=35|পাতাসমূহ=379–406|ডিওআই=10.1146/annurev.anthro.35.081705.123210}}</ref> এনসেফালাইজেশনের প্যাটার্নটি হোমো হ্যাবিলিসের সাথে শুরু হয়েছিল যা প্রায় ৬০০ সেন্টিমিটার শিম্পাঞ্জির চেয়ে বড় মস্তিষ্ক ছিল এবং হোমো ইরেক্টাস (৮০০-১,১০০ সেমি ) এবং এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল গড় সাইজের ১,৩০০-১,৯০০ সেন্টিমিটার যা নিনদারথালস এর মস্তিষ্ক ছিল যা কিনা হোমো স্যাপিয়েন্সের চেয়েও বড় (কিন্তু কম স্বস্তিযুক্ত)।<ref>[http://archaeologyinfo.com/homo-neanderthalensis/ Homo neanderthalensis – H. neanderthalensis is a widely known but poorly understood hominid ancestor] {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20150908094004/http://archaeologyinfo.com/homo-neanderthalensis/ |date=৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ }}. Archaeologyinfo.com.</ref>
 
মানবজাতির জন্মকালীন মস্তিষ্কের বৃদ্ধির প্যাটার্নটি অন্যান্য এপস (হিট্রোক্রনি) থেকে পৃথক যা অল্পবয়স্ক মানুষের মধ্যে সামাজিক শিক্ষা ও ভাষা শিক্ষার জন্য বর্ধিত সময়ের সুযোগ করে দেয় । যাইহোক, মানুষের মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য এপসের কাঠামোর মধ্যে পার্থক্যগুলি মাপের পার্থক্যগুলির তুলনায় আরো বেশি গুরুত্ব বহন করে।<ref name=Park2007>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Park, Min S. |লেখক২=Nguyen, Andrew D. |লেখক৩=Aryan, Henry E. |লেখক৪=U, Hoi Sang |লেখক৫=Levy, Michael L. |লেখক৬=Semendeferi, Katerina |শিরোনাম=Evolution of the human brain: changing brain size and the fossil record |ইউআরএল=https://archive.org/details/sim_neurosurgery_2007-03_60_3/page/555 |সাময়িকী=Neurosurgery |বছর=2007 |খণ্ড=60 |সংখ্যা নং=3 |পাতাসমূহ=555–62 |pmid=17327801 |ডিওআই= 10.1227/01.NEU.0000249284.54137.32}}</ref><ref name=Bruner2007>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Bruner |প্রথমাংশ১=Emiliano |শিরোনাম=Cranial shape and size variation in human evolution: structural and functional perspectives |সাময়িকী=Child's Nervous System |খণ্ড=23 |সংখ্যা নং=12 |পাতাসমূহ=1357–65 |বছর=2007 |pmid=17680251 |ডিওআই=10.1007/s00381-007-0434-2 }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক = Potts Richard | বছর = 2012 | শিরোনাম = Evolution and Environmental Change in Early Human Prehistory | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annu. Rev. Anthropol. | খণ্ড = 41 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 151–67 | ডিওআই = 10.1146/annurev-anthro-092611-145754 }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Leonard William R. |লেখক২=Snodgrass J. Josh |লেখক৩=Robertson Marcia L. | বছর = 2007 | শিরোনাম = Effects of Brain Evolution on Human Nutrition and Metabolism | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annu. Rev. Nutr. | খণ্ড = 27 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 311–27 | ডিওআই=10.1146/annurev.nutr.27.061406.093659 | pmid=17439362}}</ref> সময়ভিত্তিক ভলিউম বৃদ্ধির ফলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন এলাকায় অসমভাবে প্রভাব পড়েছে - ভাষাগত প্রক্রিয়াগুলির জন্য কেন্দ্রগুলির অন্তর্গত সাময়িক লোবগুলি অপরিসীমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমন প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স রয়েছে যা জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের সাথে সম্পর্কিত।<ref name="Schoeneman"/> এনসেফালাইজেশন খাদ্য হিসাবে মাংসের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছিল<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://berkeley.edu/news/media/releases/99legacy/6-14-1999a.html |শিরোনাম=06.14.99 – Meat-eating was essential for human evolution, says UC Berkeley anthropologist specializing in diet |কর্ম=Berkeley.edu |তারিখ=1999-06-14 |সংগ্রহের-তারিখ=2012-01-31}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thefreelibrary.com/Meat+in+the+human+diet:+an+anthropological+perspective-a0169311689 |শিরোনাম=Meat in the human diet: an anthropological perspective. – Free Online Library |কর্ম=Thefreelibrary.com |তারিখ=2007-09-01 |সংগ্রহের-তারিখ=2012-01-31}}</ref> বা রান্নার বিকাশ ঘটেছিল,<ref name=PNAS>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি| ইউআরএল= http://www.pnas.org/content/108/35/14555.full?sid=95c4876b-9870-4259-888f-24a6179be4fc | শিরোনাম = Phylogenetic rate shifts in feeding time during the evolution of Homo | প্রথমাংশ = Chris | শেষাংশ = Organ | কর্ম= [[PNAS]] | তারিখ = 22 August 2011 | সংগ্রহের-তারিখ=17 April 2012 | ডিওআই=10.1073/pnas.1107806108 | pmid=21873223 | খণ্ড=108 | pmc=3167533 | পাতাসমূহ=14555–59}}</ref> এবং ধারণা করা হয় যে মানব সমাজ আরো জটিল হয়ে উঠায় সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পেয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Dunbar|প্রথমাংশ১=Robin I.M.|শিরোনাম=The Social Brain Hypothesis|সাময়িকী=Evolutionary anthropology|তারিখ=1998|ইউআরএল=http://psych.colorado.edu/~tito/sp03/7536/Dunbar_1998.pdf|সংগ্রহের-তারিখ=8 June 2016|আর্কাইভের-তারিখ=১২ এপ্রিল ২০১৬|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160412210459/http://psych.colorado.edu/~tito/sp03/7536/Dunbar_1998.pdf|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>
 
হ্রাসকৃত যৌন ডিমরফিজম প্রাথমিকভাবে পুরুষের দাঁতে তা লক্ষ্য করা গেছে অন্যান্য এপের প্রজাতি (গিবনস ব্যতীত)। মানুষের মধ্যে যৌনতা সম্পর্কিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন বিবর্তনের সাথে জড়িত ছিল। মানব জাতিই হল বানরসদৃশ একমাত্র প্রজাতি যাদের মধ্যে মেয়েরা সারা বছর উর্বর থাকে এবং যার মধ্যে শরীরের দ্বারা উৎপাদিত কোন বিশেষ সংকেত উৎপাদিত হয় (যেমন estrus এর সময় জেনিটাল ফুলে যাওয়া)। তবুও মানুষের শরীরের চুল এবং চামড়ার অধীনস্থ ফ্যাটের মধ্যে যৌন দ্ব্যর্থতা বজায় রাখে এবং সামগ্রিক আকারে নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এর পরিমাণ প্রায় ২৫% বেশি থাকে । বংশবৃদ্ধির দীর্ঘসূত্রতা বৃদ্ধির কারণে বেড়ে যাওয়া পিতামাতার জন্য প্রয়োজনীয় সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে জোড়া সম্পর্কের উপর জোর দেয়ার কারণ হিসাবে এই পরিবর্তনগুলি ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।
 
===হোমো স্যাপিয়েন্সের উত্থান===
উচ্চ প্যালিওলিথিক সময়ের (৫০,০০০ বিপি) প্রারম্ভে, ভাষার উৎপত্তি, [[সঙ্গীতের উৎপত্তি]] এবং অন্যান্য [[সাংস্কৃতিক বিশ্ব]] নিয়ে [[আচরণগত আধুনিকতা]]র পূর্ণ বিকাশ ঘটে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক = Nowell April | বছর = 2010 | শিরোনাম = Defining Behavioral Modernity in the Context of Neandertal and Anatomically Modern Human Populations | ইউআরএল = | সাময়িকী = Annual Review of Anthropology | খণ্ড = 39 | সংখ্যা নং = | পাতাসমূহ = 437–52 | ডিওআই = 10.1146/annurev.anthro.012809.105113 }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Francesco d'Errico |লেখক২=Chris B | বছর = 2011 | শিরোনাম = Evolution, revolution or saltation scenario for the emergence of modern cultures? | ইউআরএল = | সাময়িকী = Phil. Trans. R. Soc. B | খণ্ড = 366 | সংখ্যা নং = 1567| পাতাসমূহ = 1060–69 | ডিওআই = 10.1098/rstb.2010.0340 | pmid=21357228 | pmc=3049097}}</ref> আধুনিক মানুষ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়ে, যেমন হোমো নিনডারথালেন্সিস এবং তথাকথিত ডেনিসোভ্যানের মতো অন্য হোমিনিডদের মুখোমুখি তারা হয়েছিল। প্রারম্ভিক মানুষ এবং এই বোন প্রজাতির মধ্যে মিথস্ক্রিয়া একটি দীর্ঘ বিতর্কিত উৎস ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে যে মানুষ এই আগের প্রজাতির প্রতিস্থাপিত হয়েছিল কিনা বা নাকি তারা ইন্টারব্রিডের মতই ছিল।<ref name=Grine2009>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=Wood, Bernard A. |editor1=Grine, Frederick E. |editor2=Fleagle, John G. |editor3=Leakey, Richard E. |অধ্যায়=Where does the genus ''Homo'' begin, and how would we know? |শিরোনাম=The First Humans: Origin and Early Evolution of the Genus ''Homo'' |বছর=2009 |প্রকাশক=Springer |অবস্থান=London, UK |আইএসবিএন=978-1-4020-9979-3 |পাতাসমূহ=17–27 |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=ITp_RnsPfzQC&pg=PA17}}</ref> এমনকি এই ক্ষেত্রে এই পূর্ববর্তী জনগোষ্ঠী আধুনিক মানুষের জিনগত উপাদানে অবদান রাখতে পারে। মানব ও নিনার্থাল জিনোমের সাম্প্রতিক গবেষণায় আর্কিয়াক হোমো স্যাপিয়েন্স, নিনেন্ডারথাল এবং ডেনিসোভানদের মধ্যে জিন প্রবাহের বৈশিষ্ট্য আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|সাময়িকী=Nature|খণ্ড=464|পাতাসমূহ=838–39|ডিওআই=10.1038/464838a|শিরোনাম=Human evolution: Stranger from Siberia|ইউআরএল=https://archive.org/details/sim_nature-uk_2010-04-08_464_7290/page/838|লেখক=Brown, Terence A.|সংখ্যা নং=7290|pmid=20376137|তারিখ=8 April 2010}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Reich |প্রথমাংশ১=David |শেষাংশ২=Patterson |প্রথমাংশ২=Nick |শেষাংশ৩=Kircher |প্রথমাংশ৩=Martin |শেষাংশ৪=Delfin |প্রথমাংশ৪=Frederick |শেষাংশ৫=Nandineni |প্রথমাংশ৫=Madhusudan R. |শেষাংশ৬=Pugach |প্রথমাংশ৬=Irina |শেষাংশ৭=Ko |প্রথমাংশ৭=Albert Min-Shan |শেষাংশ৮=Ko |প্রথমাংশ৮=Ying-Chin |শেষাংশ৯=Jinam |প্রথমাংশ৯=Timothy A. |শেষাংশ১০=Phipps |প্রথমাংশ১০=Maude E. |শেষাংশ১১=Saitou |প্রথমাংশ১১=Naruya |শেষাংশ১২=Wollstein |প্রথমাংশ১২=Andreas |শেষাংশ১৩=Kayser |প্রথমাংশ১৩=Manfred |শেষাংশ১৪=Pääbo |প্রথমাংশ১৪=Svante |শেষাংশ১৫=Stoneking |প্রথমাংশ১৫=Mark |শিরোনাম=Denisova Admixture and the First Modern Human Dispersals into Southeast Asia and Oceania |সাময়িকী=The American Journal of Human Genetics |খণ্ড=89 |সংখ্যা নং=4 |পাতাসমূহ=516–28 |বছর=2011 |pmid=21944045 |pmc=3188841 |ডিওআই=10.1016/j.ajhg.2011.09.005 }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|vauthors=Hebsgaard MB, Wiuf C, Gilbert MT, Glenner H, Willerslev E |শিরোনাম=Evaluating Neanderthal genetics and phylogeny|ইউআরএল=https://archive.org/details/sim_journal-of-molecular-evolution_2007-01_64_1/page/50 |সাময়িকী=J. Mol. Evol.|খণ্ড=64|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=50–60|বছর=2007|pmid=17146600|ডিওআই=10.1007/s00239-006-0017-y}}</ref> ২০১৬ সালের মার্চে, গবেষণায় দেখা যায় যে আধুনিক মানুষ হোমিনিন এবং ডেনিসোভানস এবং নেনডারথালসের সাথে প্রজনন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িয়ে পরেছিল যার প্রমাণ বহু জায়গায় পাওয়া যায় বলে ধারণা করা হয়।<ref name="NYT-20160317">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Zimmer |প্রথমাংশ=Carl |লেখক-সংযোগ=Carl Zimmer |শিরোনাম=Humans Interbred With Hominins on Multiple Occasions, Study Finds |ইউআরএল=https://www.nytimes.com/2016/03/22/science/neanderthals-interbred-with-humans-denisovans.html |তারিখ=17 March 2016 |কর্ম=[[The New York Times]] |সংগ্রহের-তারিখ=17 March 2016 }}</ref>
 
আফ্রিকার বাহিরে এই ছড়িয়ে পড়া উত্তরপূর্ব আফ্রিকা থেকে প্রায় ৭০,০০০ বছর বিপি শুরু হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। বর্তমান প্রমাণ থেকে বোঝা যায় যে এটি ছিল মাত্র এক ধরনের ছড়িয়ে পড়া যা কেবল কয়েকশ লোকের সাথে জড়িত ছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Vigilant|শিরোনাম=African populations and the evolution of human mitochondrial DNA|সাময়িকী=Science|বছর=1991|খণ্ড=253|সংখ্যা নং=5027|পাতাসমূহ=1503–07|ডিওআই=10.1126/science.1840702|pmid=1840702|লেখক-প্রদর্শন=etal}}</ref> মানুষের অধিকাংশই আফ্রিকায় থাকত এবং বিভিন্ন ধরনের পরিবেশে তারা রূপান্তরিত হতো। আধুনিক মানুষ হোমিনিনদের পরিবর্তে পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল (প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বা হাইব্রিডাইজেশনের মাধ্যমে)। তারা ইউরেশিয়া ও ওশেনিয়াতে ৪০,০০০ বৎসর বিপি এবং আমেরিকাতে অন্তত ১৪,৫০০ বৎসর বিপি বসবাস করত।<ref name=Wolman2008>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক=Wolman, David |তারিখ=April 3, 2008 |ইউআরএল=http://news.nationalgeographic.com/news/2008/04/080403-first-americans.html |শিরোনাম=Fossil Feces Is Earliest Evidence of N. America Humans |প্রকাশক=news.nationalgeographic.com}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | লেখক = Wood B | বছর = 1996 | শিরোনাম = Human evolution | ইউআরএল =https://archive.org/details/sim_bioessays_1996-12_18_12/page/945| সাময়িকী = BioEssays | খণ্ড = 18 | সংখ্যা নং = 12| পাতাসমূহ = 945–54 | ডিওআই = 10.1002/bies.950181204 | pmid = 8976151 }}</ref>
== ইতিহাস ==
{{মূল নিবন্ধ|বিশ্বের ইতিহাস}}
১২০ ⟶ ৬৮ নং লাইন:
প্রায় ১০,০০০ বছর আগে পর্যন্ত মানুষ শিকারি-জড়ক হিসাবে বসবাস করতো । তারা ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর আধিপত্য লাভ করতে শুরু করেছিল । সাধারণত তারা গুহাগুলির মধ্যে প্রায়ই ব্যান্ড সোসাইটি নামে পরিচিত ছোট ভ্রম্যমাণ দলগুলিতে বসবাস করত। কৃষি উদ্ভাবনের ফলে [[নব্যপ্রস্তর যুগীয় বিপ্লব]] ঘটেছিল, খাদ্যের উদ্বৃত্ততা বেড়ে যাবার ফলে মানুষের স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল, তাছাড়া পশুপালন এবং ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ধাতু সরঞ্জাম ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল। কৃষিকাজ বাণিজ্য ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করেছিল যা জটিল সমাজের দিকে নিয়ে গিয়েছিল ।
[[File:All Gizah Pyramids.jpg|thumb|[[গিজার মহা পিরামিড]],[[প্রাচীন মিশর|মিশর]]]]
প্রাথমিক সভ্যতাগুলি যেমন - [[মেসোপটেমিয়া সভ্যতা|মেসোপটেমিয়া]], [[মিশর]], [[ভারত]], [[চীন]], [[মায়া সভ্যতা|মায়া]], [[গ্রিস]] এবং [[রোমান সাম্রাজ্য|রোমান সভ্যতা]] যাদের মাধ্যমে মানব সভ্যতার যাত্রা শুরু হয়েছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক১=Thomas F. X. Noble|লেখক২=Barry Strauss|লেখক৩=Duane Osheim|লেখক৪=Kristen Neuschel| লেখক৫=Elinor Accamp|শিরোনাম=Cengage Advantage Books: Western Civilization: Beyond Boundaries|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Td4WAAAAQBAJ&pg=PA16&dq=western+civilisation+egypt&hl=en&sa=X&ei=i6mgVcGQOOPjywONz6WIDQ&ved=0CB0Q6AEwADgK#v=onepage&q=western%20civilisation%20egypt&f=false|সংগ্রহের-তারিখ=11 July 2015|আইএসবিএন=9781285661537}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=Spielvogel|প্রথমাংশ১=Jackson|শিরোনাম=Western Civilization: Volume A: To 1500|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=LceiAgAAQBAJ&pg=PT65&dq=western+civilisation+egypt&hl=en&sa=X&ei=i6mgVcGQOOPjywONz6WIDQ&ved=0CC4Q6AEwAjgK#v=onepage&q=western%20civilisation%20egypt&f=false|প্রকাশক=Cenpage Learning|সংগ্রহের-তারিখ=11 July 2015}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Greek Ways: How the Greeks Created Western Civilization |শেষাংশ=Thornton |প্রথমাংশ=Bruce |বছর=2002 |প্রকাশক=Encounter Books |অবস্থান=San Francisco, CA, USA |আইএসবিএন=1-893554-57-0 |পাতাসমূহ=1–14 |ইউআরএল=https://books.google.com/?id=fa6swJv64xkC&printsec=frontcover&dq=Greek+Ways:+How+the+Greeks+Created+Western+Civilization#v=onepage&q=Greek%20Ways%3A%20How%20the%20Greeks%20Created%20Western%20Civilization&f=false }}</ref> মধ্যযুগের শেষের দিকে এবং [[প্রারম্ভিক আধুনিক যুগ|প্রারম্ভিক আধুনিক যুগের]] মধ্যে বিপ্লবী চিন্তাভাবনা ও প্রযুক্তির উত্থান দেখা দেয়। পরবর্তী ৫০০ বছর ধরে অনুসন্ধান এবং ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকতা বিশ্বের অধিকাংশ অংশ ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল যা পরে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের দিকে জনগণকে বাধ্য করেছিল। আধুনিক বিশ্ব এবং প্রাচীন জগতের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে যে দ্রুত পরিবর্তন হয়েছিল এই ধারণাটি মূলত ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। মানুষের কার্যকলাপের সমস্ত অঞ্চলে অগ্রগতির ফলে বিবর্তন এবং মনোবিশ্লেষণের মত নতুন তত্ত্বের উদ্ভব ঘটেছে, যা পরিবর্তিত মানবতার দৃষ্টিভঙ্গি নামে পরিচিত। উনিশ শতাব্দী পর্যন্ত [[বৈজ্ঞানিক বিপ্লব]], [[প্রযুক্তি বিপ্লব]], [[শিল্প বিপ্লব]] এবং নতুনতর প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে স্বাধীন আবিষ্কারের, যেমন বিমান এবং অটোমোবাইল এর উদ্ভাবন হয়েছে। তাছাড়া শক্তি উন্নয়ন, যেমন কয়লা এবং বিদ্যুৎ এর ব্যবহার বেড়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Greatest Engineering Achievements of the 20th Century|ইউআরএল=http://www.greatachievements.org/|ওয়েবসাইট=greatachievements.org}}</ref> ইহা জনসংখ্যা বৃদ্ধি (বিশেষত আমেরিকাতে)<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.geohive.com/earth/his_history1.aspx |শিরোনাম=GeoHive – Regional Population 1750–2050 |ওয়েবসাইট=GeoHive |সংগ্রহের-তারিখ=8 June 2016 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160605192731/http://www.geohive.com/earth/his_history1.aspx |আর্কাইভের-তারিখ=5 June 2016 |df= }}</ref> এবং উচ্চতর জীবন প্রত্যাশার সাথে সম্পর্কযুক্ত, বিশ্ব জনসংখ্যা দ্রুত উনিশ এবং বিংশ শতাব্দীতে অনেক বৃদ্ধি পায় যা ছিল গত শতাব্দীর ১০% বেশি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://necrometrics.com/all20c.htm |শিরোনাম=Twentieth Century Atlas – Worldwide Statistics of Casualties, Massacres, Disasters and Atrocities |ওয়েবসাইট=Necrometrics.com |সংগ্রহের-তারিখ=8 June 2016}}</ref>
 
বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে তথ্য যুগের আবির্ভাবের সাথে সাথে আধুনিক মানুষ এমন এক জগতে বাস করে যারা ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ও পরস্পরের সাথে সংযুক্ত। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ [[ইন্টারনেট|ইন্টারনেটের]] মাধ্যমে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.internetworldstats.com/stats.htm |শিরোনাম=Internet Usage Statistics – The Internet Big Picture |ওয়েবসাইট=Internet World Stats}}</ref> এবং ৩.৩ বিলিয়ন মোবাইল ফোনের সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও মানুষের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বিজ্ঞান, শিল্প, আলোচনা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য উত্সাহিত করেছে সাথে সাথে এটি সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ এবং ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদন ও ব্যবহারকেও পরিচালিত করেছে। মানব সভ্যতা পরিবেশগত ধ্বংস এবং দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে অন্যান্য প্রকারের প্রাণীর চলমান বিলুপ্তিকে ত্বরান্বিত করছে,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Pimm |প্রথমাংশ১=S. |শেষাংশ২=Raven |প্রথমাংশ২=P. |শেষাংশ৩=Peterson |প্রথমাংশ৩=A. |শেষাংশ৪=Sekercioglu |প্রথমাংশ৪=C. H. |শেষাংশ৫=Ehrlich |প্রথমাংশ৫=P. R. |শিরোনাম=Human impacts on the rates of recent, present, and future bird extinctions |সাময়িকী=Proceedings of the National Academy of Sciences |খণ্ড=103 |সংখ্যা নং=29 |পাতাসমূহ=10941–6 |বছর=2006 |pmid=16829570 |pmc=1544153 |ডিওআই=10.1073/pnas.0604181103 }}<br />*{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |vauthors=Barnosky AD, Koch PL, Feranec RS, Wing SL, Shabel AB |শিরোনাম=Assessing the causes of late Pleistocene extinctions on the continents |সাময়িকী=Science |খণ্ড=306 |সংখ্যা নং=5693 |পাতাসমূহ=70–75 |বছর=2004 |pmid=15459379 |ডিওআই=10.1126/science.1101476 }}</ref> যা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকে আর দ্রুততর করবে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Lewis |প্রথমাংশ১=O. T. |শিরোনাম=Climate change, species-area curves and the extinction crisis |সাময়িকী=Philosophical Transactions of the Royal Society B: Biological Sciences |খণ্ড=361 |সংখ্যা নং=1465 |পাতাসমূহ=163–71 |বছর=2006 |pmid=16553315 |pmc=1831839 |ডিওআই=10.1098/rstb.2005.1712 }}</ref>
১৩৭ ⟶ ৮৫ নং লাইন:
| data3 = [[টোকিও]], [[দিল্লী]], [[সাংহাই]], [[সাও পাওলো]], [[মেক্সিকো সিটি]], [[কায়রো]], [[মুম্বাই]], [[বেইজিং]], [[ঢাকা]], [[ওসাকা]], [[New York City|নিউ ইয়র্ক]]-[[Newark, New Jersey|নিউজার্সি]], [[করাচি]], [[বুয়েন্স আয়ার্স]], [[চংকিং]], [[ইস্তাম্বুল]], [[কলকাতা]], [[ম্যানিলা]], [[লাগোস]], [[রিউ দি জানেইরু|রিও ডে জেনিরো]], [[থিয়েনচিন]], [[কিনশাসা]], [[কুয়াংচৌ]], [[লস অ্যাঞ্জেলেস]]-[[লং বিচ]], [[মস্কো]], [[শেনচেন]], [[লাহোর]], [[বেঙ্গালুরু]], [[প্যারিস]], [[জাকার্তা]], [[চেন্নাই]], [[লিমা]], [[বোগোতা]], [[ব্যাংকক]], [[লন্ডন]]
}}
প্রারম্ভিক মানুষের বসতিসমূহ [[জলের উৎস|জলের উৎসের]] কাছাকাছি ছিল এবং জীবনধারণের উপর ভিত্তি করে বেঁচে থাকার জন্য তারা অন্যান্য [[প্রাকৃতিক সম্পদ]] ব্যবহার করতো, যেমন - শিকারের জন্য পশু, শস্য চাষের জন্য জমি, এবং গবাদি পশু। মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবাসনের পরিবর্তন করেছিল, যেমন - [[সেচ]], [[নগর পরিকল্পনা]], [[নির্মাণ]], [[পরিবহন]], উৎপাদন সামগ্রী, বনভূমি উজাড় এবং মরুকরণ এর মাধ্যমে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://siteresources.worldbank.org/INTLACREGTOPHAZMAN/Resources/EN_Breve_Oct03_32_Nat_Dis_EN.pdf|শিরোনাম=Natural disasters and the urban poor|প্রকাশক=[[World Bank]]|তারিখ=October 2003|সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৭|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170809063303/http://siteresources.worldbank.org/INTLACREGTOPHAZMAN/Resources/EN_Breve_Oct03_32_Nat_Dis_EN.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=৯ আগস্ট ২০১৭|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> প্রায়ই বাসস্থান পরিবর্তন করার মূল কারণ ছিল বস্তুগত সম্পদ বৃদ্ধি, তাপের উৎস বৃদ্ধি, খাদ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি, নৃতাত্ত্বিক উন্নতি, বা সম্পদ বা অন্যান্য মানব বসতিগুলির অ্যাক্সেসের সুবিধার উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করা। বড় আকারের বাণিজ্য ও পরিবহন অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে এই সম্পদগুলির কাছাকাছি থাকা অপ্রয়োজনীয় হয়ে ওঠেছিল এবং অনেক স্থানে এগুলি জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং হ্রাসের পিছনে একটি চালিকা শক্তি নয়। তথাপি, যে পদ্ধতিতে বাসস্থান পরিবর্তিত হয় তা প্রায়ই জনসংখ্যার পরিবর্তনের একটি প্রধান নির্ধারক হিসাবে কাজ করে।
 
প্রযুক্তি দ্বারা মানুষ সব মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করতে এবং জলবায়ুর সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। গত শতাব্দীর মধ্যে মানুষ এন্টার্কটিকা,<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.nbcnews.com/id/42721506/ns/technology_and_science-science/t/purest-places-earth/#.WVFe87SQxjo|শিরোনাম=The 10 purest places on Earth|শেষাংশ=Gammon|প্রথমাংশ=Katharine|প্রকাশক=[[NBC]]|সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৭|আর্কাইভের-তারিখ=২৮ অক্টোবর ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20191028203519/http://www.nbcnews.com/id/42721506/ns/technology_and_science-science/t/purest-places-earth/#.WVFe87SQxjo|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/schools/gcsebitesize/geography/population/population_distribution_rev1.shtml|প্রকাশক=[[BBC]]|শিরোনাম=Population distribution and density|সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৭|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170623234027/http://www.bbc.co.uk/schools/gcsebitesize/geography/population/population_distribution_rev1.shtml|আর্কাইভের-তারিখ=২৩ জুন ২০১৭|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> সমুদ্রের গভীরে এবং বাইরের স্থান অনুসন্ধান করেছে, যদিও এই পরিবেশের বৃহৎ পরিসরে ঔপনিবেশীকরণ এখনও সম্ভবপর নয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলির মধ্যে মানুষই সংখ্যায় বেশি, প্রায় ৭ বিলিয়ন এর উপর জনসংখ্যা। অধিকাংশ মানুষ (৬১%) [[এশিয়া]]য় বাস করে। অবশিষ্ট লোক [[আমেরিকা অঞ্চল|আমেরিকা]]য় (১৪%), [[আফ্রিকা]]য় (১৪%), [[ইউরোপ|ইউরোপে]] (১১%) এবং [[ওশেনিয়া]]য় (০.৫%) বসবাস করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |vauthors=Bunn SE, Arthington AH |শিরোনাম=Basic principles and ecological consequences of altered flow regimes for aquatic biodiversity |ইউআরএল=https://archive.org/details/sim_environmental-management_2002-10_30_4/page/492 |সাময়িকী=Environmental Management |খণ্ড=30 |সংখ্যা নং=4 |পাতাসমূহ=492–507 |বছর=2002 |pmid=12481916 |ডিওআই=10.1007/s00267-002-2737-0}}</ref>
১৫১ ⟶ ৯৯ নং লাইন:
===শারীরবিদ্যা এবং দেহতত্ব===
{{মূল নিবন্ধ|মানব দেহ}}
[[File:Anterior view of human female and male, with labels 2.png|thumb|upright=1.5|[[নারী খৎনা|নারী]] ও পুরুষ মানুষের মৌলিক শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য। এই মডেলদের শরীরের লোম ও পুরুষ মডেলের মুখের দাঁড়ি-গোঁফ অপসারণ করা হয়েছে এবং মাথার চুল ছাঁটা হয়েছে৷ নারী মডেল তার পায়ের নখে লাল নেইলপলিশ এবং আঙুলে একটি আংটি পরেছেন]]
মানুষের শারীরবৃত্তির বেশিরভাগ দিকগুলো পশুপাখি সম্পর্কিত অনুঘটকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে বা সমানভাবে পরিচিত। মানুষের শরীর সাধারণত পা, ধড়, বাহু, ঘাড় এবং মাথা নিয়ে গঠিত । একটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীর প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন (১{{e|১৪}}) কোষ নিয়ে গঠিত। মানুষের শরীরের মধ্যে সর্বাধিক সংজ্ঞায়িত সিস্টেমগুলি হল, যেমন- [[স্নায়ুতন্ত্র]], [[কার্ডিওভাসকুলার]], [[সার্কোলেটরি]], [[ডাইজেস্টিব]], [[এ্যানডক্রিন]], [[ইমিউনি|ইমিউন]], [[ইন্টিগোমেন্টারী]], [[লিমফেটিক]], [[মোসকোস্কেলিটাল]], [[প্রজনন]], [[শ্বাসযন্ত্র]] এবং [[মূত্রনালী|মূত্রনালি]]।<ref name=Greg_Roza>[https://books.google.com/books?id=vhO8Ia2ik7oC&dq=human+body+cells+trillion&source=gbs_navlinks_s Page 21] Inside the human body: using scientific and exponential notation. Author: Greg Roza. Edition: Illustrated. Publisher: The Rosen Publishing Group, 2007. {{ISBN|1-4042-3362-8}}, {{ISBN|978-1-4042-3362-1}}. Length: 32pages</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Human Anatomy|ইউআরএল=http://www.innerbody.com/htm/body.html|প্রকাশক=Inner Body|সংগ্রহের-তারিখ=6 January 2013}}</ref>
 
অন্যান্য এপস এর মত মানুষের বহিরাগত লেজ নেই, তাদের বিভিন্ন ধরনের রক্তের গ্রুপ রয়েছে, প্রতিবাদযোগ্য অঙ্গুষ্ঠি রয়েছে এবং যৌন মিলনে তারা দ্বিরুপ। মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিদেরমানুষদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে ছোটখাটো শারীরিক পার্থক্য রয়েছে তার মধ্যে দুপায়ে হাটা অন্যতম। একটি বড় পার্থক্য হল যে মানুষের অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত এবং আরও নির্ভুলভাবে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে। প্রাণীজগতে মানুষ সর্বোত্তম লম্বা দূরত্বের দৌড়বিদদের মধ্যে রয়েছে, তবে অল্প দূরত্বে তারা ধীরগতি সম্পন্ন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.nytimes.com/2009/10/27/health/27well.html | কর্ম=The New York Times | শিরোনাম=The Human Body Is Built for Distance | প্রথমাংশ=Tara | শেষাংশ=Parker-Pope | তারিখ=October 27, 2009}}</ref><ref name="O'Neil">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=O'Neil|প্রথমাংশ=Dennis|শিরোনাম=Humans|ইউআরএল=http://anthro.palomar.edu/primate/prim_8.htm|কর্ম=Primates|প্রকাশক=Palomar College|সংগ্রহের-তারিখ=6 January 2013|আর্কাইভের-তারিখ=১১ জানুয়ারি ২০১৩|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130111004211/http://anthro.palomar.edu/primate/prim_8.htm|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> মানুষের শরীরের পাতলা চুল এবং আরও উৎপাদনশীল ঘাম গ্লান্ড দীর্ঘ পথ দৌড়ানোর সময় তাপের নিবিড়তা এড়িয়ে চলতে সাহায্য করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=John|প্রথমাংশ=Brenman|শিরোনাম=What is the role of sweating glands in balancing body temperature when running a marathon?|ইউআরএল=http://www.livestrong.com/article/514545-what-is-the-role-of-sweat-glands-in-balancing-body-temperature-when-running-a-marathon/|প্রকাশক=Livestrong.com|সংগ্রহের-তারিখ=6 January 2013}}</ref>
 
বাইপেডালিজমের ফলস্বরূপ, মানব নারীর সংকোচিত জন্ম নালি রয়েছে। পায়ের আঙ্গুলের মত মানব প্যালভিসের গঠন অন্য প্রাইমেটদের থেকে ভিন্ন। আধুনিক মানুষের পেলভির এই সুবিধার জন্য অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর তুলনায় শিশু জন্মদান অনেক বেশি কঠিন এবং বিপজ্জনক, বিশেষত অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মানব শিশুর মাথা বড় আকারের হয়ে থাকে। এর মানে হল যে, মানবজাতির সন্তানদের জন্মের সময় অবশ্যই তাদের দিক পরিবর্তন করতে হবে, যা অন্য প্রাইমেটগুলি করে না। এবং এটি মানুষকে একমাত্র প্রজাতি বানায় যেখানে সাধারণত মেয়েদের (তাদের নিজস্ব প্রজাতির অন্যান্য সদস্য) জন্ম প্রদানে ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। আংশিক বিবর্তনীয় সমাধান হিসাবে মানুষের ভ্রূণ কম উন্নত এবং দুর্বল হয়ে জন্মায়। শিম্পাঞ্জিদের শিশু ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মানব শিশুদের চেয়ে উন্নত থাকে, যখন মানুষের মস্তিষ্কের দ্রুত উন্নয়ন শিম্পাঞ্জীদের অতিক্রম করে ফেলে। মানব নারী ও শিম্পাঞ্জী নারীদের মধ্যে আরেকটি পার্থক্য হল নারীরা মেনোপজের মধ্য দিয়ে যায় এবং তাদের জীবনের শেষের দিকের কয়েক দশক তারা অনুর্বর হয়ে যায়। সকল অ-মানব বানর প্রজাতি মৃত্যু পর্যন্ত জন্ম দিতে সক্ষম। মেনোপজ সম্ভবত উন্নত হয়েছে তরুণ আত্মীয়দের বিবর্তনমূলক সুবিধা (আরও যত্নশীল সময়) প্রদান করার জন্য।
২৬১ ⟶ ২০৯ নং লাইন:
 
===মস্তিষ্ক===
[[File:NIA human brain drawing.jpg|thumb|[[মানব মস্তিষ্ক|মানব মস্তিষ্কের]] [[চিত্রাঙ্গদা|চিত্র]] যেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো দেখা যাচ্ছে]]
মানুষের মস্তিষ্ক, মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ফোকাল পয়েন্ট পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া "নিচু," অনাকাঙ্ক্ষিত বা প্রাথমিকভাবে স্বায়ত্তশাসিত কার্যক্রমগুলি যেমন শ্বাস ও হজম করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এটি চিন্তা, যুক্তি এবং বিমূর্ততার মতো "উচ্চতর" বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করে।<ref>[http://www.pbs.org/wnet/brain/3d/index.html 3-D Brain Anatomy], ''The Secret Life of the Brain'', Public Broadcasting Service. Retrieved April 3, 2005.</ref> এই জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলি মন গঠন করে, এবং তাদের আচরণগত পরিণতিগুলি মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অধ্যয়ন করা হয়।
 
৩০০ ⟶ ২৪৮ নং লাইন:
 
==আচরণ==
{{মূল নিবন্ধ|সংস্কৃতি|সমাজ|মানুষের আচরণ}}
 
===সামাজিক বিবর্তন===
অন্যন্য বাঁদর জাতীয় স্তন্যপায়ীর মত মানুষও সাধারণতঃ দলবদ্ধ-ভাবে থাকে। কিন্তু মানুষের স্থায়ী বসতি প্রতিষ্ঠা অপেক্ষাকৃত নতুন (১৫ হাজার বছরের কম)।
প্রাইমেটকে বানরের শব্দার্থ হিসেবে বিবেচনা করলে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, মানুষও একধরনের প্রাইমেট বা বানর জাতীয় প্রাণী বৈ কিছু নয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মাঙ্কি একটি অধিবর্গ বা প্যারাফাইলেটিক গ্রুপ, আধুনিক ফাইলোজেনেটিক্সে প্যারাফাইলেটিক গ্রুপ শক্তভাবে এড়িয়ে চলা হয়। আমরা কোন মাঙ্কি অবশ্যই নই, তবে অবশ্যই অবশ্যই আমরা প্রাইমেট। আমাদের পাশাপাশি অবস্থিত একজোড়া চোখ, ত্রিমাত্রিক, রঙ্গীন, স্টেরিও দৃষ্টি, চোখের পেছনে বিশাল বড় একটা মাথা, আড়াই শত দিনের কাছাকাছি গর্ভকালীন সময়, বয়ঃপ্রাপ্ত হবার পূর্বে একটা অস্বাভাবিক রকম বিশাল শৈশব, ল্যাটেরাল থেকে ক্রমান্বয়ে স্ক্যাপুলার ডোর্সাল অক্ষে পিছিয়ে যাওয়া, পেন্ডুলার পিনেস এবং টেস্টস, অস্বাভাবিক বিকাশপ্রাপ্ত প্রাইমারি সেন্সরি কর্টেক্স আমাদের বানায় বানরজাতীয় জীব বা প্রাইমেট, এটা আমরা পছন্দ করি আর নাই করি। মানুষ সহ সব [[নরবানর|নরবানরই]] স্তন্যপায়ী প্রাণীর অন্তর্গত প্রাইমেট বর্গে পড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাইমেটদের দু'শরও বেশি প্রজাতির সন্ধান বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। মানুষকে এই প্রাইমেট বর্গের মধ্যে হোমিনিডি অধিগোত্রের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়।
 
===ভাষার আবির্ভাব===
বিশ্বের সর্বত্র প্রচলিত মনুষ্য ভাষাগুলোর মধ্যে গাঠনিক সাদৃশ্য এ অনুমানের ভিত্তি। ধারণা করা হয়, আধুনিক ভাষাক্ষমতা বলতে যা বোঝায়, তার সূচনা ঘটেছিলো অস্ট্রেলিয়াতে হোমো স্যাপিয়েন্স (Homo Sapiens)-দের বসতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণা অনুসারে এ ঘটনাটি ঘটেছিলো প্রায় চল্লিশ থেকে ষাট হাজার বছর আগে।
মানুষের বুদ্ধির উন্নতি মানুষের জটিল ভাষা ব্যবহার করার ক্ষমতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। তাই এরা আজ আধুনিক সভ্যতা আবিষ্কার করতে পেরেছে।
 
===শারীরিক গঠন ও প্রক্রিয়া বিবর্তন===
চার পায়ের বদলে দুই পায়ে চলতে আরম্ভ করার সাথে সাথে মানব শরীর-গঠন ও [[শরীরতত্ত্ব|শরীর-প্রক্রিয়ায়]] ধীরে ধীরে নানা পরিবর্তন দেখা দিতে আরম্ভ করে। যেমন পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে নিচে পড়ে যাওয়ার থেকে রক্ষা করার জন্য শ্রোণীচক্রের ব্যাস ছোট হয়। বাচ্চার জন্মের পথ সরু হয়ে যাওয়াতে গর্ভে [[মস্তিষ্ক]] বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বাচ্চাকে ভূমিষ্ঠ হতে হয়। তার ফল সদ্যোজাত মানবশিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে পরনির্ভরশীল। তাকে বহুদিন মা-বাবা ও অন্যান্যদের অভিভাবকত্বে বড় হতে হয়। এখানে [[ভাষা|ভাষার]] অবদান গুরত্বপূর্ণ। মুখ ও গলার গঠনে পরিবর্তন হওয়ার কারণে মানুষ অনেক জটিল মনোভাব আদানপ্রদানে সক্ষম হয়। মানুষের উদ্বর্তনের সবথেকে মূল্যবান উপহার মস্তিষ্কের উন্নতি। মানুষের মস্তিষ্ক [[প্রাণীরাজ্য|প্রাণীরাজ্যে]] বৃহত্তম না হলেও আপেক্ষিকভাবে বৃহত্তরদের অন্যতম। মানুষ জন্মাবার বহুবছর অবধি [[স্নায়ুতন্ত্র|স্নায়ুতণ্ত্রের]] বিকাশ অব্যহত থাকে। অন্যান্য মানুষদের সঙ্গে ভাষা ও ভঙ্গীর সাহায্যে ভাব বিনিময় করতে করতে বহু আচার-ব্যবহার অধীকৃত হয়, যা জন্মগত ভাবে ([[জীন|জীনের]] মাধ্যমে) সহজে বর্তায়না। দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থাও এতে উপকৃত হয়। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে বয়স্কা মহিলদের মাসিকবন্ধ হয় তথা রজোনিবৃত্তি ঘটে বলে তাদের ভুমিকা মায়ের বদলে দিদিমায় উপনীত হয়, ফলে তাদের দুই প্রজন্ম পরের মানবশিশুদেরও সুরক্ষা বর্ধিত হয়, শিক্ষা ত্বরান্বিত হয়। মানুষই একমাত্র প্রাণী যাদের [[বয়ঃসন্ধি]] ও [[রজোনিবৃত্তি]] আছে।
 
== আরও দেখুন==