রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
৩৯ নং লাইন:
নাটকটি ইতালির ভেরোনা শহরের পটভূমিতে রচিত। শুরুতেই দেখা যায় মণ্টেগু ও ক্যাপুলেটের ভৃত্যদ্বয় পথে বচসায় রত, মনিবদের মতন তারাও আজীবন শত্রু। বচসা চরমে উঠলে প্রিন্স এসকলাস মধ্যস্থতা করতে বাধ্য হন এবং তিনি ঘোষণা করেন পুনরায় কেউ নগরের শান্তি ভঙ্গ করলে তার মৃত্যুদণ্ড হবে। পরে কাউন্ট প্যারিস ক্যাপুলেট কন্যা জুলিয়েটকে বিবাহ করতে চাইলে ক্যাপুলেট তাকে আরো দুই বছর অপেক্ষা করতে বলেন এবং তাকে আসন্ন ক্যাপুলেটের নাচের আসরে নিমন্ত্রণ জানান। জুলিয়েটের মা ও ধাত্রী জুলিয়েটকেে প্যারিসের বিবাহ প্রস্তাব গ্রহণ করতে পরামর্শ দেন।
এদিকে মন্টেগুতনয় রোমিও, ক্যাপুলেট পরিবারের কন্যা রোজালিনের প্রতি প্রণয়াসক্ত, রোমিওর ভাই তথা বন্ধু বেনভোলিও তা জানতে পারে।ক্যাপুলেটের নাচের আসরে রোজালিন আসবে জেনে বেনভোলিও ও মার্কুশিও, রোমিওর আরেক বন্ধু, রোমিওকে নিয়ে ছদ্মপরিচয়ে সেই নাচের আসরে যায়। সেখানে রোমিওর জুলিয়েটের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়, প্রথম দর্শনেই তারা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়।। আসরে রোমিওদের প্রকৃত পরিচয় ধরা পড়ে যায়। ক্রূদ্ধ টিবাল্ট, জুলিয়েটের ভাই, রোমিওকে হত্যা করতে যায় কিন্তু জুলিয়েটের পিতা তাকে নিবৃত্ত করেন। বাড়ি ফেরার পথে রোমিও মত পরিবর্তন করে ক্যাপুলেটের বাগানে চুপিসাড়ে প্রবেশ করে।জুলিয়েট তখন বাড়ির দ্বিতল বারান্দায় দাঁড়িয়ে আপনমনে রোমিওকে প্রেম নিবেদন করছে। রোমিও তা শুনতে পেয়ে আত্মপ্রকাশ করে। উভয়ের প্রেম বিনিময়ের পরে তারা শীঘ্র বিবাহ করতে মনস্থির করে।সন্ন্যাসী লরেন্স, যিনি এই দুই পরিবারের মিলন চাইতেন, পরের দিন গোপনে দুই প্রেমিক-প্রেমিকার বিবাহ দেন।
টিবাল্টের ক্রোধ তখনো শান্ত হয়নি। রোমিওর সঙ্গে তার নূতন সম্পর্ক সম্বন্ধে অনবহিত সে রোমিওকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান জানায়। রোমিও কিন্তু আত্মীয়তার কথা ভেবে সে আহ্বান অস্বীকার করে। সম্মান রাখতে মার্কুশিও দ্বন্দ্বযুদ্ধ স্বীকার করে নেয়, রোমিও যখন যুদ্ধ থামাতে চাইছে, টিবাল্টের তরবারির আঘাতে মার্কুশিও প্রাণ হারায়।<ref>''Romeo and Juliet'', III.i.73.</ref> শোকে উন্মত্ত রোমিও টিবাল্টকে হত্যা করে। বিচারে দুপক্ষের কথা শুনে রাজা রোমিওকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন না বটে কিন্তু তাকে অবিলম্বে ভেরোনা ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেন এবং কখনো তাকে ভেরোনায় দেখা গেলে তার প্রাণদণ্ড অবধি হতে পারে এ কথাও জানিয়ে রাখলেন।
রোমিওর নির্বাসনে সদ্য পরিণীতা জুলিয়েটের হৃদয় ভেঙে গেল।টিবাল্টের মৃত্যুই এই শোকের কারণ বলে সকলে মনে করল। পিতা ক্যাপুলেটও আর দেরি না করে কাউন্ট প্যারিসের সঙ্গে জুলিয়েটের বিবাহ এখনই দিয়ে দিতে চাইলেন। জুলিয়েটের আপত্তি কেউ কানেও তুলল না। অসহায় জুলিয়েট সাহায্যের জন্য সন্ন্যাসী লরেন্সের কাছে ছুটে গেল। তিনি জুলিয়েটকে একটি পুষ্পনির্যাস দিলেন, যেটি পান করলে বিয়াল্লিশ ঘণ্টার জন্য দেহে সমস্ত প্রাণস্পন্দন থেমে যাবে। ইতিমধ্যে তিনি রোমিওকে খবর পাঠাবেন, সমাধিগৃহে জ্ঞান ফিরলে জুলিয়েট সামনে প্রিয়তম রোমিওকে দেখতে পাবে।
জুলিয়েট সন্ন্যাসীর কথামত কাজ করল। পরিবারের সকলে তাকে মৃত ভেবে পারিবারিক সমাধিগৃহে সমাধিস্থ করে এল।