ইসলামে যৌনতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত RockyMasum (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল করে Abdus.Salam.24-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
অ ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত Abdus.Salam.24 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল করে RockyMasum-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
||
২৪৩ নং লাইন:
{{quote|"যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার-অশ্লীলতা প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।”|[[আন-নূর]] ২৪ঃ১৯<ref name="cite quran|24|19|s=ns">{{cite quran|24|19|s=ns}}</ref>}}
=== স্বমেহন ===
{{মূল নিবন্ধ|ইসলাম ও হস্তমৈথুন}}
ইসলামী আইনবিদদের মতে, [[হস্তমৈথুন]] বা স্বমেহন হল মুসলিমদের জন্য হারাম বা নিষিদ্ধ এবং এটি একটি বড় পাপ বা কবিরাহ গুনাহ।<ref name= "Shia">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.al-islam.org/marriage-and-morals-islam-sayyid-muhammad-rizvi/chapter-three-islamic-sexual-morality-2-its#b-masturbation |অধ্যায়=3. The Islamic Sexual Morality (2) Its Structure |শিরোনাম=Marriage and Morals in Islam |ভাষা=ইংরেজি|প্রথমাংশ=Muhammad |শেষাংশ=Rizvi |তারিখ=1994 |স্থান=Scarborough, ON, Canada |প্রকাশক=Islamic Education and Information Center}}</ref><ref>The Lawful And The Prohibited In Islam, Yusuf Al-Qardawi - 1997</ref><ref name="The New Arab Man p 168">The New Arab Man: Emergent Masculinities, Technologies, and Islam in the Middle East, p 168, Marcia C.: Inhorn - 2012</ref> তারা হস্তমৈথুন নিষেধের ক্ষেত্রে কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের উদ্ধৃতি দেন।<ref name=iqa2>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Ruling on masturbation and how to cure the problem - Islam Question & Answer |ইউআরএল=https://islamqa.info/en/answers/329/ruling-on-masturbation-and-how-to-cure-the-problem |ওয়েবসাইট=islamqa.info |সংগ্রহের-তারিখ=৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ |ভাষা=en}}</ref>
{{Quote|“এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।...মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। ... যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রএহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।”|আন-নূর ২৪: ৫-৭, ৩০-৩১, ৩৩}}
সালাফি ফেকাহবিদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ বলেন, আলেমগণ এ ব্যাপারে সাহাবী আব্দুল্লাহ্ বিন মাসউদ এর নিম্নোক্ত হাদিস দিয়ে দলিল দেন: {{quote|নবী মুহাম্মাদের সাথে আমরা এমন কিছু যুবকে ছিলাম যাদের কিছু ছিল না। তখন মুহাম্মাদ বললেন: হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যার باءة (বিয়ের খরচ বহন ও শারীরিক সামর্থ্য) রয়েছে সে যেন বিয়ে করে ফেলে। কেননা, তা তার দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করায় সহায়ক হয়। আর যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কারণ তা যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।”|[সহীহ বুখারী (৫০৬৬)]}}
উক্ত আলেমদের মতে, "উক্ত হাদিসে নবী বিয়ে করতে অক্ষম হলে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও রোযা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন, হস্তমৈথুন করার পরামর্শ দেননি। যদিও হস্তমৈথুনের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে, হস্তমৈথুন করা রোযা রাখার চেয়ে সহজ; কিন্তু তদুপরি তিনি সে অনুমতি দেননি।"<ref name=iqa/>
ফকিহগণ হস্তমৈথুন প্রতিরোধে বিবাহ অক্ষম মুসলিম ব্যক্তিকে আল্লাহভীতি বৃদ্ধি করা ও আল্লাহর আদেশনিষেধ অধিক মেনে চলা, দ্রত বিবাহ করা, দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ, জীবন্ত কিংবা আঁকা উভয়প্রকার অশ্লীল দৃশ্যতে দৃষ্টিপাত হতে বিরত থাকা, রোজা রাখা, গায়রে মাহরামের সঙ্গ ত্যাগ, অসৎসঙ্গ ত্যাগ ও সৎসঙ্গ বৃদ্ধি, একাকি রাত্রিযাপন ত্যাগ, যৌনচিন্তা ত্যাগ, ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণময় চিন্তা বৃদ্ধি, হস্তমৈথুনের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া, শয়নের ইসলামী আদব অনুসরণ ও আল্লাহর কাছে ধের্য্য, সংযম ও সতীত্ব রক্ষার প্রার্থনা এবং ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করে ফেললে তওবা, ইস্তিগফার ও অধিক ভালো কাজ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।<ref name=iqa/> তবে হস্তমৈথুন নিয়ে কতক ইসলামী পণ্ডিতের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।<ref name="oxfordislamicstudies.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Omar |প্রথমাংশ=Sara |শিরোনাম=Oxford Islamic Studies Online |ভাষা=ইংরেজি|ইউআরএল=http://www.oxfordislamicstudies.com/article/opr/t349/e0011 |প্রকাশক=Oxford University Press}}</ref> তাদের মতে, কুরআনে হস্তমৈথুন নিয়ে সরাসরি কিছু বলা হয় নি, এবং হস্তমৈথুন বিষয়ক বলে গণ্য হাদিসগুলোতে সরাসরি হস্তমৈথুনের কোন উল্লেখ না থাকায় তারা এ ব্যাপারে হাদিসগুলোর অবস্থান অনির্দিষ্ট ও অস্পষ্ট বলে মনে করেন, এ কারণে হস্তমৈথুন সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে তাদের অভিমতে পার্থক্য রয়েছে। আদদিন-তারবিয়াহ অবিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে সকল প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পরও আত্মনিয়ন্ত্রণে পূর্ণ অপারগ হয়ে ব্যভিচারের আশঙ্কা থাকলে ব্যাভিচারের বিকল্প হিসেবে এর অনুমতি দিয়েছেন।<ref>Islam, Gender, and Social Change - Page 28, Yvonne Yazbeck Haddad, John L. Esposito - 1998</ref> হানাফি ও হাম্বলি মাজহাব অনুসারে, বৈধ যৌনসঙ্গীর অভাবে সমস্যায় ভুগছেন এমন নারী পুরুষ, মুসাফির ও বন্দীদের জন্য ব্যভিচারের ন্যায় তুলনামুলক বড় পাপ থেকে বেঁচে থাকার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে তা বৈধ।<ref name="The New Arab Man p 168"/> আবার শাফেয়ী, মালেকি মাজহাব ও শিয়া আইনে এটি সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। সালাফি অভিমত অনুসারে তা সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ এবং সালাফি আলেমগণ ক্ষেত্রবিশেষে হস্তমৈথুন বৈধ হওয়া বিষয়ক মতবাদকে বিভ্রান্তিমূলক দাবি করে এর কঠোর বিরোধিতা করে থাকেন, তাদের মতে, হস্তমৈথুন ত্যাগে অন্যতম করণনীয় হল "ভুল দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি পরিতুষ্টি দূর করা। কারণ কিছু কিছু যুবক ব্যভিচার ও সমকামিতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার ধুয়া তুলে এই কু-অভ্যাসকে জায়েয মনে করে। অথচ হতে পারে সে যুবক ব্যভিচার ও সমকামিতার নিকটবর্তী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই"। <ref name=iqa/> পূর্ব থেকেই একটি অভিমত প্রচলিত ছিল যে, ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে বিকল্প হিসেবে হস্তমৈথুনের অনুমতি দেয়া যেতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Inhorn |প্রথমাংশ=Marcia |শিরোনাম=Masturbation, Semen Collection and Men's IVF Experiences: Anxieties in|ভাষা=ইংরেজি |সাময়িকী=Body & Society |বছর=2007 |খণ্ড=13 |সংখ্যা নং=37}}</ref> প্রাথমিক ইসলামী যুগের কিছু ইসলামী পন্ডিত সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধতার বিষয়ে একমত পোষণ করেন নি। যে সকল স্বল্পসংখ্যক ফিকহবিদগণ বিবেচনাস্বাপেক্ষে হস্তমৈথুনের অনুমোদন দাবি করেন, তারা হস্তমৈথুনকারীদের মধ্যে যারা নিজ সতীত্ব রক্ষার জন্য হস্তমৈথুন করে এবং যারা সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও আকাঙ্ক্ষাকে তৃপ্ত করতে হস্তমৈথুন করে, তাদের উভয়কে আলাদা দৃষ্টিতে বিচার করে থাকেন।<ref name="oxfordislamicstudies.com"/><ref>http://www.abdurrazzaqbinyousuf.com/?p=372 {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20141024001147/http://abdurrazzaqbinyousuf.com/?p=372 |তারিখ=২৪ অক্টোবর ২০১৪ }} (ইংরেজি ভাষায়)</ref>
===মুখমৈথুন===
ইসলামে বৈবাহিক মুখমৈথুনকে কিছু আইনবিদ মাকরুহ তাহরীমী<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Oral Sex in Islam|ভাষা=ইংরেজি|ইউআরএল=http://www.central-mosque.com/fiqh/OralSexInIslam.htm|কর্ম=The Majlis|প্রকাশক=JamiatKZN, Central-Mosque.com|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2012|অবস্থান=Vol. 6 No. 8|তারিখ=14 June 2003}}</ref><ref name="Moulana Ismail Desai">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Are partners allowed to lick each other’s private parts? |ভাষা=ইংরেজি|ইউআরএল=http://www.askimam.org/public/question_detail/21483#_ftnref1|কর্ম=Mawlana Saeed Ahmed Golaub|প্রকাশক=Moulana Ismail Desai|সংগ্রহের-তারিখ=9 October 2012}}</ref> বা কঠোরভাবে বর্জনীয় বলে স্বাব্যস্ত করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Ask The Scholar: What is meant by makruh? |ভাষা=ইংরেজি|ইউআরএল=http://askthescholar.com/question-details.aspx?qstID=1750|কর্ম=Shaik Ahmad Kutty|প্রকাশক=Ahmad Kutty|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2012}}</ref> এর পেছনে কারণটি কুরআন ও হাদিসে একে উৎসাহিত করা হয় নি সে কারণে নয়, বরং তা হল শালীনতা, পবিত্রতা ([[ইসলামে ধর্মীয় রীতিনীতিগত পবিত্রতা]] বা [[তাহারাত]]) ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক দ্বন্দ্ব।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Questions On Sexuality, Oral sex |ভাষা=ইংরেজি|ইউআরএল=http://www.livingislam.org/fiqhi/fiqha_e92.html#2|কর্ম=Living Islam|প্রকাশক=GF Haddad|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2012|লেখক=Hajj Gibril}}</ref> এর পেছনে সবচেয়ে সাধারণ দাবিটি হল,<ref name="Moulana Ismail Desai"/> যে, মুখ এবং জিহ্বা কুরআন পঠন ও আল্লাহর স্মরণে ব্যবহৃত হয়, তাই তা অপবিত্রতায় ব্যবহার করা উচিত নয়।<ref name="rem allah 1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Remembrance of Allaah|ভাষা=ইংরেজি|ইউআরএল=http://www.islaam.net/main/display.php?id=391&category=134|কর্ম=Islamic Network.|প্রকাশক=Islamic Network.|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2012|লেখক='Alî Abd-ur-Rahmân al-Hudhaifî|তারিখ=4 May 2001|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120415032643/http://www.islaam.net/main/display.php?id=391&category=134|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ এপ্রিল ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> প্রথমত, মুসলিম পন্ডিতগণ মুখের মাধ্যমে গুপ্তাঙ্গ স্পর্শকে বর্জনীয় বলে বিবেচনা করেন, যার কারণ, বাম হাতের পরিবর্তে ডান হাতে গুপ্তাঙ্গ স্পর্শ করতে নবী মুহাম্মাদ নিষেধ করেছেন; তাদের মতে যেহেতু মুখ ডান হাতের তুলনায় অধিক সম্মানিত, সেই হিসেবে মুখের মাধ্যমে গুপ্তাঙ্গ স্পর্শ অধিক ঘৃণ্য ও বর্জনীয়। দ্বিতীয়ত, চারটি সুন্নি মাজহাবের পণ্ডিতগণের মধ্যে বীর্য নিঃসরণ পবিত্র কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, কিছু পণ্ডিত একে অপবিত্র মনে করেন এবং কিছু পণ্ডিত করেন না।
===ব্যভিচার ও পরকীয়া===
{{মূল|যিনা}}
|