ইসলামে যৌনতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RockyMasum (আলোচনা | অবদান) অ Abdus.Salam.24-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে আফতাবুজ্জামান-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
অ ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত RockyMasum (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল করে Abdus.Salam.24-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
||
২৪৩ নং লাইন:
{{quote|"যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার-অশ্লীলতা প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।”|[[আন-নূর]] ২৪ঃ১৯<ref name="cite quran|24|19|s=ns">{{cite quran|24|19|s=ns}}</ref>}}
=== <big>ইসলাম ও হস্তমৈথুন</big> ===
হস্তমৈথুন যাকে আরবিতে বলে ইসতিমনা( '''('''Arabic: استمناء, ''istimnā’''''')''' ). হস্তমৈথুনের অনুমতি নিয়ে ইসলামি চিন্তাবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ এটা হারাম বলেছেন আবার কেউ কেউ এটা জায়েজ বলেছেন। যদিও কুরআন ও হাদিসে এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলা নেই।
== আলেমদের মতামত ==
'''এ ব্যাপারে ডঃ আবু আমেনা বিলাল ফিলিপ্স বলেছেন-'''
'''“হস্তমৈথুন হারাম বলার পক্ষে কুরআন ও হাদিসে কোন দলিল নেই। আমি একে হারাম বলতে পারি না।”'''https://www.youtube.com/watch?v=n8qE2aoi9Jw
'''ডাক্তার জাকির নায়েক বলেছেন-'''
"যদি হস্তমৈথুনের কথা বলতে হয়, '''ইসলামে এ ব্যাপারে সরাসরি কোন আয়াত বা দলিল নেই।''' বিভিন্ন আলেমের মত রয়েছে। এ নিয়ে কুরআন হাদিসে নিশ্চিতভাবে সরাসরি কিছু বলা নেই। আলেমদের বিভিন্ন মত রয়েছে। এ ব্যাপারে সরাসরি কোন আয়াত উল্লেখ নেই। হস্তমৈথুনের ব্যাপারে দুটি গ্রুপ রয়েছে। বেশিরভাগ স্কলারের মতে এটা পাপ। কিছু স্কলারের মতে, যদি এটা যৌন অপরাধ থেকে দূরে রাখে সে ক্ষেত্রে এটা হালাল। এ ক্ষেত্রে মত পার্থক্য রয়েছে। https://www.youtube.com/watch?v=Hak1oWgGIdw
<big>'''হস্তমৈথুন কি ইসলামে হারামঃ'''</big>
যে ব্যাপারে নির্দেশ নেই আবার নিষেধও নেই সেটাকে ইসলাম বলে মুবাহ। মুবাহ মানে ব্যাক্তির ইচ্ছাধীন।
হস্তমৈথুন জায়েজ বা হালালের পক্ষে আরো কিছু আলেমের মতঃ
এটি একটি মুবাহ(জায়েয) কর্ম এবং এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে হলে বড়জোর এতোটুকু বলা যায় যে, এ কাজ উন্নত নৈতিক বৃত্তির বিরোধী হবার কারণে এটি একটি মাকরুহ ও অপছন্দনিয় কাজ। এই অভিমতের সমর্থকরা এ যুক্তি পেশ করেন যে, হাদিস ও কুরআনের কোথাও এ কাজটিকে হারাম বলে উল্লেখ করা হয়নি।
উপরন্তু '''আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ'''
'''"তিনি সকল নিষিদ্ধ বিষয় বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছেন।"'''
'''- কুরআন, সুরা আল আনামঃ ১১৯।'''
কাজেই হারামের ফিরিস্তিতে যখন এর উল্লেখ নেই তখন এটি হালাল। ইবনে হাযম মুহাল্লা পূর্ণ দলীল ও প্রমাণাদি ও সনদসহ এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন এবং একথাও উল্লেখ করেছেন যে, হাসান বসরি, আমর ইবনে দিনার, ও মুজাহিদ এ কাজের বৈধতার পক্ষপাতি ছিলেন এবং আতা একে নিছক মাকরুহ মনে করতেন । (আল মুহাল্লাহ, ১১ খণ্ড , পৃষ্ঠা ৩৯২-৯৩) ।
'''তাবেঈ আমর ইবনে দিনার বলেছেন-'''
'''"হস্তমৈথুনে আমি কোন ক্ষতি দেখি না।"- মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিসঃ১৩৫৯৪'''
----কুরআন ও হাদিসে হস্তমৈথুন হারাম হবার কোন দলিল নেই। অর্থাৎ এটা হালাল বা মুবাহ। মুবাহ বা হালালকে হারাম বলে দেয়াই বরং হারাম।
'''নবী (সাঃ) বললেন,'''
'''"নিশ্চয়ই আল্লাহর কিতাবে যা হালাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা হালাল আর আল্লাহর কিতাবে যা হারাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা হারাম।'''
'''আর যে সব বিষয়ে অনুল্লেখিত রয়েছে সেগুলো তার ভুলে যাওয়া নয়, সেগুলো তার ক্ষমা। সেগুলো নিয়ে তর্ক করো না।"'''
- আল বায়হাকি ১০/১২২ এবং দারে কুতনি ৪/১৯৯
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
== কিছু সংশয়ের জবাব ==
'''কিছু লোক সুরা মুমিনুনের ৫-৭ নাম্বার আয়াত দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে বলে যে হস্তমৈথুন হারাম। কিন্তু এটা নিতান্ত প্রসঙ্গ ছাড়া ভুল বক্তব্য।''' '''সুরা মু'মিনুন ৫-৭ আয়াতের প্রসঙ্গ দেখলে খুব সহজেই বুঝা যায় এটা কি বলছে। এখানে বলা হয়েছে কাদের সাথে সেক্স বৈধ।''' উত্তর হল স্ত্রী এবং দাসি। এখনে যৌন আচরণ সম্পর্কে বলা হয় নি। বলা হয় নি হস্তমৈথুন করা যাবে কি যাবে না। মাসিকের সময় সেক্স করা যাবে কি যাবে না, এনাল সেক্স করা যাবে কি যাবে না এসব উক্ত তিন আয়াতের আলোচ্য বিষয় না। হস্তমৈথুন সম্পর্কে উক্ত তিন আয়াতে কিছুই বলা হয় নি। আয়াতের প্রসঙ্গ এবং কথা লক্ষ করুন। উক্ত তিন আয়াতের আলোচ্য বিষয় হল "কাদের সাথে সেক্স করা যাবে"। " কি ধরনের সেক্স করা যাবে" তা উক্ত তিন আয়াতের আলোচ্য বিষয় নয়।
'''"এদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে কামনা"''' বলতে বুঝায় এই দুই শ্রেণীর মানুষ ছাড়া অর্থাৎ স্ত্রী অথবা দাসি ব্যাতিত অন্য মানুষের সাথে সেক্স করা। এর সাথে হস্তমৈথুনের দূরতম সম্পর্ক নেই। হস্তমৈথুন কোন নারী বা পুরুষের সাথে সেক্স করা নয়। আয়াতের প্রসঙ্গ দেখলেইত বুঝা যায়।
সুরা মুমিনুন ৫ থেকে ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
"এবং যারা নিজেদের '''যৌনাঙ্গকে সংযত''' রাখে।তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের '''ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে''' তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ '''এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা''' করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।" -কোরআন ২৩ঃ৫-৭ [অনুবাদঃ মুহিউদ্দিন খান]
আয়াতে স্পষ্ট বলা হয়েছে- '''এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা।''' তারপরও কেউ কেউ আয়াত বিকৃত করে প্রচার করে- '''এদেরকে ছাড়া অন্য কোন পন্থা কামনা।''' কেন?
আয়াতে বলা হয়েছে স্ত্রীকে কামনা করা যাবে। মজার বিষয় স্ত্রীকে কামনা করেও হস্তমৈথুন করা সম্ভব । '''একজন প্রবাসি যুবক তার স্ত্রীকে কামনা করে হস্তমৈথুন করতে পারে। দেশের দুই প্রান্তে অবস্থান করা স্বামী-স্ত্রীও এই কাজ করতে পারে। হয়ত ফোনে কথা বলে অথবা স্ত্রীর ছবি দেখে। সেত স্ত্রী ব্যাতিত অন্য কাউকে কামনা করছে না। অর্থাৎ সুরা মুমিনুন ৫-৭ আয়াত মেনে সে স্ত্রীকে কামনা করে হস্তমৈথুন করছে। যা থেকে এই কর্ম ১০০% হালাল প্রমাণিত হয়।'''
অনেকে মনে করে- হস্তমৈথুন শুধু পুরুষ করে। অথচ নারীরাও হস্তমৈথুন করে যা নারীদের মত ও গবেষণা দ্বারা ১০০% প্রমাণিত। এমনকি বিবাহিতা নারীরাও হস্তমৈথুন করে।
----অনেক বলতে পারে '''রাসুলুল্লাহ সিগারেটের হারামের ব্যাপারেও কিছু বলেন নি।''' লক্ষণীয় রাসুলুল্লার সময় সিগারেট ছিল না। কিন্তু হস্তমৈথুন আদিকাল থেকে চলে আসছে। রাসুলুল্লাহ (সঃ) অবশ্যই এ ব্যাপারে জানতেন। জেনেও হারাম না বলার অর্থ সেটা হালাল। '''এছাড়া তামাক দ্রব্য ক্যান্সারের অন্যতম কারন যা সুরা বাকারার ১৯৫ নং আয়াতের প্রেক্ষাপটে হারাম সাব্যস্ত হয়।'''
----'''অনেকে বলতে পারে কোরানে সুরা নুরের ৩০-৩১ আয়াতে যৌনাঙ্গ হেফাজত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এর সাথে মাস্টারবেশনের কি সম্পর্ক?''' এখানেও প্রসঙ্গ ছাড়া অপব্যাখ্যা। হস্তমৈথুনের মত গোপন আর কি আছে! আর এটা যৌন বাহিত রোগ সংক্রমন থেকে আশংকা মুক্ত। এমন কি স্ত্রীর সাথে সেক্স করলেও কিছু যৌন বাহিত রোগ ছড়ানোর আশংকা থাকে। যেমনঃ গনেরিয়া, সিফিলিস এমন কি জন্ডিস। এখন কি স্ত্রীর সাথে সেক্স হারাম বলবেন? হালাল।
----হস্তমৈথুনের সময় পরনারী কল্পনা করা হয় বলে দাবি করা হয়। স্ত্রীর সাথে সেক্স করার সময়ও পরনারীকে কল্পনা করা সম্ভব। তার মানে স্ত্রীর সাথে সেক্স করা হারাম? এছাড়া প্রবাসী যুবক তার স্ত্রীকে কল্পনা করেও হস্তমৈথুন করতে পারে।
'''২০০ বছর আগের মানুষ কিভাবে হস্তমৈথুন করত? তখন টিভি ছিল না, মোবাইল ছিল না, কম্পিউটার ছিল না। অর্থাৎ পর্ণও ছিল না। হস্তমৈথুনের সাথে পর্ণ র ধারনা যুক্ত করা হাস্যকর। পর্ণ অতি সাম্প্রতিক। আর হস্তমৈথুন আদিম।'''
----যার '''বিয়ে করার যার সামর্থ্য নেই, সে যেন সিয়াম পালন করে"'''। অনেক সাহাবী অবিবাহিত ছিলেন। অবিবাহিত সাহাবিরা এই উদ্দেশ্যে প্রতিদিন সিয়াম পালন করতেন? এরুপ দলিল কি আছে??? সিয়ামের আরেকটি অর্থ ধৈর্য বা সংযম । অবিবাহিত সাহাবিরা ধৈর্য বা সংযম(সিয়াম) অবশ্যই পালন করতেন। সাহাবিরা এই হাদিস কিভাবে বুঝেছেন দেখুন। এছাড়া যেভাবেই ভাবেন '''এ হাদিস দ্বারা হারাম ফতুয়া দেয়া যায় না। স্পষ্ট নিষেধ ছাড়া হারাম বলা যায় না। এটা হালাল-হারামের মূলনীতি বিরোধী।''' যার বিয়ে করার সামর্থ্য নাই সে যেন রোজা রাখে। এখানে হস্তমৈথুন হারাম কোথায় বলা হল? '''ডাক্তার বলল কমলা কিনার সামর্থ্য না থাকলে লেবু কিনে খাবেন। এ থেকে কি বলবেন ডাক্তার ভাত খেতে নিষেধ করেছেন?''' আশ্চর্য চিন্তাভাবনা। তাছাড়া বিয়ে করেও কেউ হস্তমৈথুন করতে পারে।
----<big>'''হস্তমৈথুন কি ক্ষতিকর?'''</big>
----চিকিৎসা শাস্ত্র মতে '''হস্তমৈথুন না করলে ক্যান্সারের রিস্ক আছে।''' অর্থাৎ জীবন নাশের আশংকা। এখানে গবেষক ডাক্তারগণ বলেছেন হস্তমৈথুন না করলে ক্যান্সার রিস্ক অনেক বেশি থাকে। '''হস্তমৈথুন করলে প্রোস্টেড ক্যান্সারের ঝুকি কমে। বিবিসির দলিলঃ''' http://news.bbc.co.uk/1/hi/health/3072021.stm
'''ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায় হস্তমৈথুন। কালের কন্ঠঃ'''https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2015/01/21/178118
অনেকে বলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ভাত খাওয়াও ক্ষতিকর। তাহলে কি ভাত হারাম? এখানে অতিরিক্ত প্রসঙ্গ আসে কি করে?
----'''পুরুষ হস্তমৈথুন করলে এই সেই মারাত্মক ক্ষতি হয় বলে প্রচার করা হয়। মেডিক্যাল সাইন্সে যার কোন ভিত্তি নাই।'''
ইউরুপ আমেরিকা তাদের পর্ণ শিল্প টিকিয়ে রাখতে হস্তমৈথুনের খারাপ দিক লুকিয়ে রাখে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করে। '''কিন্তু এটা নিতান্ত কুযুক্তি এবং তামাম পৃথিবীর ডাক্তার ও মেডিক্যাল সাইন্সের উপর মিথ্যা অপবাদ।''' ডাক্তার বা মেডিক্যাল সাইন্সের সাথে পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির কি সম্পর্ক? ইসলাম এমন মনগড়া অপবাদের অনুমতি দেয় না। এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। '''চিন্তা করুন ডাক্তারগণ যদি এমন হতেন তাহলে ইউরুপ আমেরিকার ডাক্তারগণ কি কখনো সিগারেট এবং মদের ক্ষতিগুলো তুলে ধরতেন???''' চিন্তা করেন, ভাবেন। মদ ও সিগারেট-ত আরো বড় ইন্ডাস্ট্রি। ডাক্তার ও মেডিক্যাল সাইন্সের উপর এমন নির্লজ্জ অপবাদ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
----১।অনেকে বলে হস্তমৈথুন করলে শরীরে রক্ত কমে যায়। চিন্তা করুন, এই যুক্তিতে বিবাহিত দম্পতিদের শরীরে কোন রক্তই থাকার কথা নয়। কারন হস্তমৈথুনেও শরীর থেকে একই বস্তু নির্গত হয়।
২। পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক হয় এটা বহুল প্রচারিত মিথ্যাচার। মেডিক্যাল সাইন্সে এর কোন ভিত্তি নাই।
৩। হস্তমৈথুন স্বাভাবিক যৌন মিলনের স্থায়িত্ব কমায় না। [[হস্তমৈথুন#স্বাস্থ্যগত উপযোগিতা]]
৪। মেডিক্যাল সাইন্স মতে হস্তমৈথুন স্বাস্থ্যকর।- [[হস্তমৈথুন#স্বাস্থ্যগত উপযোগিতা]]
৫।মেডিক্যাল সাইন্স মতে হস্তমৈথুন সাইকোলজিক্যালি স্বাভাবিক আচরণ।-[[হস্তমৈথুন#স্বাস্থ্যগত উপযোগিতা]]
৬। American Medical Association ১৯৭২ সালে হস্তমৈথুন স্বাভাবিক বলে ঘোষণা দিয়েছে।- [[হস্তমৈথুন#স্বাস্থ্যগত উপযোগিতা]]
৭। হস্তমৈথুন শরীরের শক্তি নিঃশেষ করে না।- [[হস্তমৈথুন#স্বাস্থ্যগত উপযোগিতা]]
৮। হস্তমৈথুন করলে প্রোস্টেড ক্যান্সারের ঝুকি কমে। http://news.bbc.co.uk/1/hi/health/3072021.stm
৯। হস্তমৈথুন স্বাস্থের পক্ষে ভাল। এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2015/01/21/178118
১০। হস্তমৈথুন স্বাস্থের পক্ষে ভাল। ভিডিওঃ https://www.youtube.com/watch?v=czHow9it1Xc
= '''ইসলাম ধর্মে ওরাল সেক্স বা মুখমেহন''' =
আগে কিছু ইসলামিক বিষয় বুঝে নেয়া জরুরী।
'''ফরজঃ'''
ফরজ অর্থ আবশ্যিক। যা আল্লাহ অথবা তার রাসুল আমাদেরকে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাই ফরজ। আল্লাহ কুরআনে বলেন-
“আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।”- [কুরআন ৩৩:৩৬]
'''সুন্নাতঃ'''
সুন্নাত হল রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর সেসব আমল যে গুলো তিনি উম্মাহকে করার নির্দেশ দেন নাই। কিন্তু নিজে করেছেন। আর তা উম্মার জন্য উত্তম।
'''হালালঃ'''
হালাল হল সেসব বিষয় যার বিষয়ে কোন নিষেধ নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
'''"তিনি সকল নিষিদ্ধ বিষয় বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছেন।"'''
'''- কুরআন, সুরা আল আনামঃ ১১৯।'''
অর্থাৎ কুরআন ও হাদিস দ্বারা যা নিষিদ্ধ নয় তাই হালাল।
'''হারামঃ'''
হারাম অর্থ নিষিদ্ধ। হারাম হল সেসব বিষয় যার ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে।
----ইসলামে কোরআন ও হাদিসে কোথাও পরিষ্কারভাবে এর সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি। তবে রাসুলুল্লাহর একটি হাদিস থেকে আমরা পাই- তোমরা পশুর মত সেক্স করো না। আর আমরা জানি পশুরা সাধারনত ওরাল সেক্স করে না। গাই কখনো ওরাল সেক্স করে না। মুরগী কখনো ওরাল সেক্স করে না। এই কথা থেকে ফোর প্লে এবং সেক্সের সময় হাসাহাসি বা মজা করার প্রতি উৎসাহ যুগানো হয়েছে। '''মুখ মৈথুন ফোর প্লের একটি বিষয়। এর মাধ্যমে পারস্পরিক ভালোবাসা গভীর হয়। স্বাভাবিক যৌনমিলনের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে। যার ফলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো হয়। এ থেকে এর বৈধতা ও গুরুত্বের প্রমান পাওয়া যায়।'''
----'''নবী (সাঃ) বললেন,'''
নিশ্চয়ই আল্লাহর কিতাবে যা হালাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা হালাল আর আল্লাহর কিতাবে যা হারাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা হারাম। '''আর যে সব বিষয়ে অনুল্লেখিত রয়েছে সেগুলো তার ভুলে যাওয়া নয়, সেগুলো তার ক্ষমা। সেগুলো নিয়ে তর্ক করো না।'''
* '''বায়হাকিঃ ১০/১২২'''
* '''দারে কুতনী ৪/১৯৯'''
'''হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ'''
'''কুরআন থেকে দলিলঃ'''
আল্লাহ কুরআনে বলেন--
<nowiki>''</nowiki>তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। '''তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।'''...<nowiki>''</nowiki>'''-বাকারাঃ ২২৩'''
'''অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সব বৈধ। ওরাল সেক্স বা মুখ মৈথুনও হালাল।''' শুধুমাত্র এনাল সেক্স নিষিদ্ধ। আর পিরিয়ডের সময় সর্ব প্রকার সেক্স নিষিদ্ধ। কারন এই দুই বিষয়ে স্পষ্ট নিষেধ আছে কুরআন ও হাদিসে।
'''এছাড়া বাকি সব বৈধ, হালাল।'''
'''<big>কিছু যুক্তি খন্ডনঃ</big>'''
'''যেই মুখে কোরআন পড়া হয় সেই মুখ কিভাবে লজ্জাস্থানে লাগানো হালাল হতে পারে?'''
'''জবাবঃ'''
এটা কোরআন ও হাদিসের বাইরে কেবল একটা যুক্তি মাত্র। নিছক যুক্তি দিয়ে হারামের ফতুয়া দেয়া জায়েজ নেই। হারামের জন্য কোরআন বা হাদিসের দলিল লাগবে। তাছাড়া যুক্তিটাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারন এই যুক্তি ফলো করলে আপনি শৌচ কাজ করতে পারবেন না। একইভাবে সেই প্রশ্ন আসবে- যেই হাতে কোরআন স্পর্শ করেছেন, যেই হাতে রেখে কোরআন পড়েছেন, যেই হাতে কোরআনের আয়াত লেখেছেন সেই হাত দ্বারা কিভাবে প্রশ্রাব পায়খানা পরিষ্কার করা যায়? বলবেন বাম হাতে। কিন্তু বাম হাতে আপনি কুরআন ধরেন না? অর্থাৎ যুক্তি মানা যাচ্ছে না। গরুর ভুড়ি আপনি খুব মজা করে খান। ভুঁড়িতে গরুর পায়খানা থাকে। আর তা আপনি খান সেই মুখে যেই মুখে কুরআন তিলাওয়াত করেন। হুজুররাও এটা মজা করে খায়। তখন যুক্তি মাথায় আসে না। তাহলে বুঝা যাচ্ছে এসব যুক্তি অর্থহীন। কথা হল ওরাল সেক্স অনেক প্রাচিন প্র্যাকটিস। এটা হারাম হলে কোরআন বা হাদিসে এর নিষেধাজ্ঞা আসত। যেমন নিষেধাজ্ঞা এসেছে এনাল সেক্সের ব্যাপারে। এটা খারাপ হলে আল্লাহ অথবা তার রাসুল স্পষ্ট করে নিষেধ করতেন।
........................................................
'''<big>ওরাল সেক্স করলে মুখে অপবিত্র লাগে</big>'''
'''জবাবঃ'''
এখানেও একটা প্রশ্ন আসে বীর্য কি পাক না নাপাক? কুরআন ও হাদিস কি বলে? আসুন দেখি-
আমাদের দেশের অনেক বক্তার মুখেই শুনা যায় মানুষকে এক ফোটা নাপাক পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। নাপাক শব্দটি বানোয়াট ও দলীল বিহীন কথা। আমাদের সকলের অন্তরেই একটি প্রশ্ন জাগে যেঃ মানুষকে সামান্য পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তা হচ্ছে নারী-পুরুষের মনী বা বীর্য। এই পানি কি অপবিত্র? তাই যদি হয় তাহলে মানুষও তো অপবিত্র। কারণ মানুষ সৃষ্টির উপাদনও তো এই বীর্য।
উপরের প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যেঃ
প্রত্যেক মানুষকেই মনী তথা বীর্য হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। এটিই সত্য কথা। আল-কুরআন আমাদেরকে এই সংবাদ দিয়েছে। পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমেও তা প্রমাণিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
“আমি কি তোমাদেরকে সামান্য পানি থেকে সৃষ্টি করিনি?"
<nowiki>***</nowiki>সূরা মুরসালাতঃ আয়াতঃ ৭৭:২০।
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত গুলোতে যে পানির কথা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের মাধ্যমে নির্গত মনী বা বীর্য।
এটি পবিত্র না অপবিত্র, আলেমদের নিকট থেকে এ ব্যাপরে দু’টি মত পাওয়া যায়। সঠিক কথা হচ্ছে এটি পবিত্র।
এই পানি পবিত্র হওয়ার ব্যাপারে অনেক দলীল রয়েছে।
১) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ
“আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাপড় হতে হাত দিয়ে ঘষে মনী (বীর্য) পরিস্কার করতাম। তিনি সেই কাপড় পরে নামায আদায় করতেন।"
<nowiki>***</nowiki>সহীহ মুসলিমঃ ২৮৮।
এটি জানা কথা যে, ঘষাঘষি করে মনী পরিস্কার করলে তা সম্পূর্ণরুপে পরিস্কার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাতে দাগ থেকে যাবে। আর তা সহ নামায পড়া প্রমাণ করে যে মনী অপবিত্র নয়।
২) এই পানি দিয়েই নবী, রাসূল অলী-আওলীয়া ও আল্লাহর সৎ বান্দাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সমস্ত প্রিয় বান্দাদেরকে আল্লাহ্ তাআলা অপবিত্র উপাদান দিয়ে সৃষ্টি করবেন, তা হতেই পারে না।
দেখুনঃ আশ্ শরহুল মুমতিউঃ ১/৩৮৮।
.....................................
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ কাপড়ে মনী লাগলে কি তা নাপাক হয়ে যায়? মনী কি নাপাক?
উত্তরে তারা বলেছেনঃ
মনী পবিত্র। তা অপবিত্র হওয়ার কোন দলীল আমাদের জনা নেই।
দেখুনঃ ফতোয়া নম্বরঃ ৬/৪১৬।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেছেনঃ
সঠিক কথা হচ্ছে মনী পবিত্র।
এটিই ইমাম শাফেঈ এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের প্রসিদ্ধ মত।
......................................................
এটি সকলের জানা কথা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যুগে সাহাবীদেরও স্বপ্নদোষ হত। তাদের শরীরে ও কাপড়ে বীর্য লেগে যেত। আর এটি এমন বিষয়, যা সকলেরই হয়ে থাকে এবং তা গোপন থাকার বিষয় নয়। তা যদি অপবিত্র হত, তাহলে তিনি তাদের কাপড় ও কাপড় থেকে সসম্পূর্ণরূপে দূর করার আদেশ দিতেন। তিনি পায়খানা ও পেশাব শরীর ও কাপড় থেকে দূর করার এবং পরিস্কার করার আদেশ দিয়েছেন। রাসুল (সাঃ) কাপড় থেকে হায়েযের (মাসিকের) রক্ত ধৌত করার আদেশ দিয়েছেন। কারণ এগুলো অপবিত্র। মাসিকের রক্ত কাপড়ে ও শরীরে লাগার চেয়ে মনী বা বীর্য কাপড়ে ও শরীরে আরও অধিক শক্তভাবে লেগে থাকে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন সাহাবী থেকে সহীহ সূত্রে এ কথা বর্ণিত হয়নি যে, তিনি কাউকে শরীর ও কাপড় থেকে বীর্য ধৌত করার আদেশ দিয়েছেন। সুতরাং অকাট্যভাবে জানা গেল যে, বীর্য পবিত্র বলে তা ধৌত করা ওয়াজিব নয়।
দেখুনঃ '''মাজমুআয়ে ফতোয়াঃ ২১/৬০৪।'''
<big>'''ওরাল সেক্স বা মুখ মৈথুন সম্পর্কে আলেমদের মতঃ'''</big>
<big>'''শফি মাঝহাবে''' স্বামী যখন তার স্ত্রীকে '''ওরাল সেক্স''' দেয় তখন তা '''হালাল''' হিসাবে বিবেচিত হয়। '''ফাতহুল-মুইন'''-এ মালিবারি উল্লেখ করেছেন:</big>
<big>يجوز للزوج كل تمتع منها بما سوى حلقة دبرها ولو بمص بظرها</big>
<big>"স্বামীর জন্য স্ত্রীর মলদ্বার উপভোগ করা ব্যাতিত সর্ব প্রকার সেক্স হালাল, '''এমনকি স্ত্রীর ভগাংকুর চুষাও হালাল'''।"</big>
'''<big>-ফাতহুল মুইন (৩/৩৮৬)</big>'''
বর্তমান সময়ের বিখ্যাত আলেম ইউসুফ আল কারযাভির মতে ওরাল সেক্স হালাল।
সালাফিদের একটি গ্রুপ ও শাফি মাঝহাব মতে ওরাল সেক্স হালাল। কারন রাসুলুল্লাহ (সঃ) স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ফোর প্লে উৎসাহিত করেছেন। আর '''ওরাল সেক্স এক প্রকার ফোর প্লে। আর তা স্বামী স্ত্রীকে সুন্দর বৈবাহিক সম্পর্কে নিয়ে যায়।'''
ডঃ হেবা কট একজন মিশরিয় সুন্নি ইসলামিক স্কলার যিনি মিশরিয় টিভিতে সেক্স এডভাইস দেন। '''তিনি বলেন ওরাল সেক্স হালাল, কারন এর বিপক্ষে কুরআন ও হাদিসে কোন নিষেধ নেই।''' তিনি এটাকে ফোর প্লের অংশ মনে করেন। আর ইসলামে ফোর প্লের গুরুত্ব দেয়া হয়।
ডঃ আলী জুমাহ (ইসলামি ফিকার প্রফেসর, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়), '''বলেন সকল প্রকার ওরাল সেক্স স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হালাল।''' আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামুলক ফিকাহের অধ্যাপক ডঃ সাবরি ও আব্দুর রউফ একই মত পোষণ করেন।
'''<big>আরও কিছু প্রশ্নঃ</big>'''
<nowiki>--------------------</nowiki>
'''প্রশ্নঃ বীর্য পবিত্র হলে এর ফলে গোসল ভেঙ্গে যায় কেন?'''
'''উত্তরঃ''' ভাত ত পবিত্র। ভাত খেলে রোজা ভেঙ্গে যায় কেন? কারন আল্লাহ ও তার রাসুল বলেছেন। একইভাবে বীর্য বের হলে আবার গোসল করতে হবে কারন আল্লাহ ও তার রাসুল বলেছেন। এর সাথে উপাদান অপবিত্র নাকি পবিত্র এর কোন সম্পর্ক নেই। উটের মাংস খেলেও ওজু ভেঙ্গে যায়। তাহলে উটের মাংস কি? পবিত্র বস্তু ভিতরে ঢোকার কারনে রোজা ভাঙ্গতে পারলে। অনুরূপভাবে পবিত্র বস্তু বাহিরে আসলে গোসল ভাঙ্গতে পারে।
.---
'''প্রশ্নঃ ওই অঙ্গে মুখ দিলে, ওখানে জীবাণূ থাকে না?'''
'''জবাবঃ''' মেডিক্যাল সাইন্স মতে ভেজাইনা হল, নারীর শরীরের সবচেয়ে সংরক্ষিত ও পরিস্কার এলাকা। মনে রাখবেন এটা মানুষ তৈরির ফ্যাক্টরি। পৃথিবীর যে কোন ল্যাবের চেয়ে কোটি গুন বেশি আধুনিক। এটা অটোম্যাটিক ওয়াশ হয়। মানুষ এ ধরনের একটি ল্যাব বানানোর চিন্তাও করতে পারছে না।
---
'''প্রশ্নঃ কেউ কেউ বলেন ওরাল সেক্সের কারনে ক্যান্সার হয়।'''
'''উত্তরঃ''' ওরাল সেক্সের মাধ্যমে ক্যান্সার হয় না। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী "হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস" একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়াতে পারে। তা যৌন মিলনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। যেমন যৌন মিলনের মাধ্যমে এইচ আই ভি ভাইরাস ছড়ায়। এখন কি বলবেন যৌন মিলনের কারনে এইডস হয়? কিন্তু এইডসের ভাইরাস যৌন মিলনের কারনে ছড়ায়। আর এই HPV ভাইরাস খুবই দুর্বল। এতে আক্রান্ত হয়ে গেলেও ৯০% ক্ষেত্রে তা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। পৃথিবীতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি খুবই নগণ্য।
---
'''প্রশ্নঃ ওরাল সেক্সের মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। এতে ঝুকি আছে।'''
'''উত্তরঃ''' বলা হয় আন প্রোটেক্টেড ওরাল সেক্স কমন কিন্তু এতে ঝুকি আছে। কি ঝুকি? ঝুকি হল একজনের দেহের রোগ আরেকজনের দেহে ছড়াতে পারে। যেমন এইডস, জন্ডিস, গনেরিয়া ইত্যাদি। লক্ষ করুন, ইত্যাদি রোগ হবে বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে একজনের দেহ থেকে অন্যের দেহে ছড়াতে পারে ওরাল সেক্সের মাধ্যমে।
এবং লিপ কিসের মাধ্যমেও একজনের রোগ অন্যের দেহে যেতে পারে। আর একজনের দেহের রোগ আরেকজনের দেহে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে সঙ্গম করা। মনে করেন আপনার সঙ্গি/সঙ্গিনীর এইডস আছে। আপনি ভাবলেন ওরাল সেক্সে যেহেতু ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে তাই ওরাল সেক্স করলেন না। আপনি কি করলেন। আপনি তার সাথে কনডম ছাড়াই সেক্স করলেন? এখন বলেন আপনার এই কাজ ঝুকি মুক্ত হইছে? আর যৌন মিলনের মাধ্যমে
===ব্যভিচার ও পরকীয়া===
{{মূল|যিনা}}
|