বিলকিসু ইউসুফ

নাইজেরীয় সাংবাদিক

বিলকিসু ইউসুফ (২ ডিসেম্বর, ১৯৫২ – ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫) এক জন নাইজেরিয়ান সাংবাদিক, সংবাদপত্রের বিভাগীয় লেখিকা এবং নাইজেরিয়ার আবুজা, কানো, ও কাদুনার বিশিষ্ট সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন। তিনি নাইজেরিয়ায় জাতীয় সংবাদপত্র পরিচালনাকারী প্রথম মহিলা হিসেবে পরিচিত এবং আরও দুটি সংবাদ পত্রে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন হাউসা, মুসলিম, নারীবাদী ও আস্থাযোগ্য সমাজের পক্ষে ছিলেন, এছাড়াও নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও এনজিও প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচিত ছিলেন, যেমন উইমেন ইন নাইজেরিয়া (উইন) ও ফেডারেশন অব মুসলিম উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন (ফোমওয়ান)। বিলকিসু ইউসুফ ২০১৫ সালে সৌদি আরবের মক্কায় হজে যাওয়ার সময় মিনা পদদলনে নিহত হন। [১] [২]

বিলকিসু ইউসুফ

ব্যক্তিগত সম্পাদনা

 
বিলকিসু ইউসুফ আহমাদু বেলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৮০- এর দশকের গোড়ার দিকে নাইজেরিয়ায় নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

বিলকিসু ইউসুফ ১৯৫২ সালের ২রা ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন । [৩] তিনি ১৯৬৪ সালে কানোর আনসার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে কানোর দালাইয় অবস্থিত সরকারি বালিকা কলেজের মাধ্যমিক স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করেন। [৪]

বিলকিসু ইউসুফের উচ্চশিক্ষা রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সাংবাদিকতা উভয় ক্ষেত্রেই ছিল। তিনি নাইজেরিয়ার জারিয়ার আহমাদু বেলো বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন; যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন -উইসকনসিন -ম্যাডিসনের উইসকনসিন -ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে তার মাস্টার্স ডিগ্রি; এবং ১৯৮৬ সালে রাশিয়ার মস্কোর মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস -এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজম স্কুল থেকে সাংবাদিকতায় একটি উন্নত ডিগ্রি অর্জন করেন[৪][৫]

তিনি প্রথম আলহাজি সানুসি সিরোমা ইউসুফের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি হন।[৬] এই দম্পতির দুটি সন্তান ছিল, একটি পুত্র মোশহুদ সানুসি ইউসুফ ও একটি কন্যা সন্তান নানা ফাতেমা।[৩][৪] পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।[৪] তার প্রথম স্বামী ৭৩ বছর বয়সে মারা যান। তিনি তার দ্বিতীয় স্বামী হিসাবে মুস্তাফা বিনতুবকে বিয়ে করেন।[৪]

হাজীয়া বিলকিসু ইউসুফকে মক্কায় তীর্থযাত্রা সম্পন্ন করার পর সম্মানজনক হাজিয়া উপাধি (হাজী পুরুষ রূপ) প্রদান করা হয়। নাইজেরিয়ার জাতীয় হজ কমিশনের পক্ষ থেকে মহিলাদের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি মারা যান।[৩]

সংস্কৃতিতে উপস্থিতি সম্পাদনা

বিলকিসু ইউসুফ হলেন মাইক আওয়েইনফা ও ডিমগবা ইগওয়ে দ্বারা লিখিত এনক্লোপেডিক রেফারেন্স নাইজেরিয়ান জার্নালিজম এর জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া ৪২ জন সাংবাদিকের মধ্যে একজন ছিলেন। [৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Lost in the Hajj stampede was a pioneering journalist who united Christians and Muslims"Public Radio International। সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫। 
  2. Chesa, Chesa; Oyoyo, Juliet। "Female Editor, Bilikisu; El-Miskeen, 4 Others Die In Hajj Stampede"Dailyindependentnig.com। ২০১৫-০৯-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-২৮ 
  3. "Bilkisu died on national assignment – Husband"Dailytrust.com.ng। ২০১৫-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৬ 
  4. "Hajiya Bilkisu: She was too good and true"The Nation Nigeria 
  5. "Bilkisu Yusuf"wisemuslimwomen.org। ২০১৩-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. "Obituary: Hajiya Bilkisu, mni (1952-2015)"Dailytrust.com.ng। ২০১৫-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-০৪